অনুসরণ করুন
Sandy
@432465573
192
পোস্ট
1,958
ফলোয়ার্স
Sandy
1.8K জন দেখলো
19 দিন আগে
বিদায়ের মধ্যেই ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি, 🕉️⚜️🕉️⚜️🕉️⚜️🕉️⚜️🕉️⚜️ 🙄‼️❕⚜️🕉️⚜️❕‼️🙄 ন’দিন ন’রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করে শেষপর্যন্ত দশম দিনে দেবী জয়ী হন।হৃত স্বর্গরাজ্য ফিরে পেয়ে স্বর্গ ও মর্ত্যে পালিত হয় বিজয়োৎসব।সেই ঘটনাকে মনে রেখেই দশমীর আগে ‘বিজয়া’ শব্দের প্রতিষ্ঠা। সম্বচ্ছরের শোক তাপ জ্বালা জুড়িয়ে তিনটে মাত্র দিনের জন্য যে উমাকে গিরিজায়া বুকের মাঝে পেয়েছিলেন,শত অনুরোধ, অশ্রুমোচন, বিলাপ,দীর্ঘশ্বাসের পথ পেরিয়ে হলেও সেই উমাকে নবমী নিশি পার করেই প্রস্তুত করতে হবে পতিগৃহে যাত্রার জন্য।শোকের ছায়া.....❕❕বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের "মৃণালিনী" উপন্যাসে তার অনেকটাই ব্যাক্ত।আমি একটু রূপক ভাবে লিখি ......ডানার নীল রং আকাশের গায়ে মাখিয়ে আগে আগে উড়ে যাবে নীলকণ্ঠ পাখি,কৈলাসে ভূতপ্রেত বেষ্টিত নন্দী-ভৃঙ্গীর মাঝে বসে থাকা শ্মশানচারী মহাদেবকে সেই আগমনের খবর পৌঁছে দিতে।তবু মায়ের মন কি মানে...!!!‼️ সমস্ত রাগ গিয়ে পরে সেই নবমী নিশির উপর। নারীর স্বামীগৃহে যাত্রার পাশাপাশি মায়ের চিরন্তন এই বেদনার কথা ‘গিরীশের রাণী’র বয়ানে তাঁর ‘বিজয়া দশমী’ কবিতায় ধরে রেখেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ....‼️..... 🙄‼️"তিনটি দিনেতে,কহ,লো তারা-কুন্তলে, এ দীর্ঘ বিরহ-জ্বালা এ মন জুড়াবে?‼️ তিন দিন স্বর্ণদীপ জ্বলিতেছে ঘরে দূর করি অন্ধকার;শুনিতেছি বাণী- মিষ্টতম এ সৃষ্টিতে এ কর্ণ-কুহরে!❕❕ দ্বিগুণ আঁধার ঘর হবে,আমি জানি, নিবাও এ দীপ যদি!”- কহিলা কাতরে নবমীর নিশা-শেষে গিরীশের রাণী। মনেপরে যায় একের পর এক শাক্ত পদাবলীর বিজয়া পর্যায়ের গানগুলি।সেখানেও সেই একই আর্তি যেন শব্দের মাঝে বসে পাথর হয়ে আছে! কমলাকান্ত ভট্টাচার্য্যের লেখা একটি পদে দেখতে পাই....❕❕❕ “ওরে নবমী'নিশি..! না হৈও'রে অবসান।/ শুনেছি দারুণ তুমি, না'রাখো সতের মান।।/ খলের প্রধান যত,কে আছে তোমার মত, আপনি হইয়ে হত,বধো'রে পরের'ই প্রাণ।।” ...❕❕শুধু তো মেনকা নয়, বিসর্জনের ঢাকে কাঠি পরলেই এই কাতর অনুরোধ এসে বসে আপামর বাঙালির কণ্ঠেও।পিতৃপক্ষের অবসানে মহালয়ার ভোরে পূর্বপুরুষদের তর্পণ দিয়ে যে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছিল,তারই ষষ্ঠীতে,বোধনের মাধ্যমে দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী রূপে প্রতিষ্ঠা।শরতের এই অকাল বোধনে,সপ্তমী,অষ্টমী,নবমীর পূজা পেরিয়ে,দশমীর দিন পূজার পরিসমাপ্তি। ঢাকের লয় আবাহন থেকে বিসর্জনের সুরে গড়ালেই দেবী আবার ফিরে যান তাঁর নিরাকার রূপে।তাই মাঝের কটা দিনই তাঁকে কন্যারূপে পাওয়া।আর দশমীতে সেই পেয়ে হারানোর বেদনায় ভারী হয়ে থাকা বুকে একে অপরকে জড়িয়ে নিয়ে কোলাকুলি,ভাগ করে নেওয়া,কষ্টের মাঝে সিঁদুর খেলার আনন্দ, বড়োদের পা ছুঁয়ে প্রণাম(★তবে এসব আর নেই লিখতে হয় তাই লিখলাম)আর মুখে তুলে দেওয়া মিষ্টির আস্বাদে মনে করে নেওয়া ‘আসছে বছর আবার হবে’।প্রতিমা জলে পরলে একে অপরকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানো।এই বিজয়া শুভেচ্ছার ইতিহাস, কেনই বা তা শুভ?শুধুমাত্র বাংলায় নয়,সারা ভারতবর্ষ জুড়ে পালিত ‘দশেরা’র প্রকৃত অর্থও বুঝতে হবে।।অতীতে দুর্গাপুজো ছিল ফসল কাটার উৎসব,কীভাবে বিলুপ্ত হল দুর্গা-ভোগ ধান?আমরা তো কেউ খোঁজই রাখি না...!!! দশমীকে ‘বিজয়া’ বলার পিছনের কারণ একটা মাত্র নয়।পুরাণ কথন অনুযায়ী, মহিষাসুর বধের যুদ্ধের সময় ন’দিন ন’রাত্রি, দেবী শেষপর্যন্ত মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হন।সেই ঘটনাকে মনে রেখেই দশমীতে ‘বিজয়া’।শ্রীশ্রীচন্ডীর কাহিনীতেও এই ঘটনারই সমর্থন পাই।আশ্বিনের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে দেবীর আবির্ভাব ও শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধের কথা পাই সেখানে।দশমীর দিন উত্তর ও মধ্য ভারতে বিশেষভাবে উদাযাপিত হয় ‘দশেরা’।সংস্কৃত ‘দশহর’ শব্দটি থেকে ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি।বাল্মিকী রচিত রামায়ণের কাহিনীসূত্র অনুযায়ী,ত্রেতা যুগে অকাল বোধনে দেবীর আশীর্বাদ পেয়ে,আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমীতেই রাবণকে বধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন রামচন্দ্র।দশানন রাবণের সমাপ্তি সূচক দিনটিতে তাই উত্তর ও মধ্য ভারতের নানা স্থানে রাবণের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে রাবণ-দহনের মাধ্যমে ‘দশেরা’ পালন করা হয়।রাবণের পরাজয়ের আনন্দে পালিত বিজয়োৎসব আর নবরাত্রির শেষে অশুভ শক্তির বিনাশে,শুভ শক্তির বিজয়'কে মাথায় রেখে তাই দশমীতে ‘শুভ বিজয়া’ বলা চলে। আবার মাইসোরে দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের কাহিনীকে মাথায় রেখেই দশেরা পালন করা হয়।আশ্বিনের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতেই হিমালয়'দুহিতা,আমাদের ঘরের মেয়ে উমার কৈলাস যাত্রার সূত্রপাত ঘটে।পুজোর চার দিনের দিন দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন হলে দেবীকে প্রতিমার আধার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।এবার তিনি তাঁর ইচ্ছামতো স্থানে গমন করতে পারেন,তবে অনুরোধ একটাই,শত্রু বিনাশের কাজ শেষ করে যেন দেবী আবার ফিরে আসেন তাঁর পিতৃগৃহে- “ওঁ গচ্ছ দেবি পরং স্থানং যত্র দেব নিরঞ্জনঃ।অস্মাকং তু সুখং দত্তা পুনরেস্যসি সর্বদা।। … ওঁ গচ্ছ ত্বং ভগবত্যম্ব স্বস্থানং পরমেশ্বরী। শত্রোদর্পবিনাশায় পুনরাগমনায় চঃ।।” বিজয়ার বিসর্জনে দেবীকে তাই ত্যাগ নয়, আসলে তা বিশেষরূপে অর্জন।নয়ন ভুলানো রূপের চর্ম'চক্ষের বাইরে এবার তাঁকে ধরা যাবে শুধুমাত্র অনুভূতিতে।সারা বছরের অনুভূতি।তাই যেন হৃদয়ের সেই অধিষ্ঠাত্রী'কে মনে রেখে সমস্ত রাগ-ক্ষোভ-ঈর্ষা-অসূয়ার মতো ঋণাত্মক শক্তিদের দূরে সরিয়ে বিজয়ার কোলাকুলিতে প্রকৃত অর্থে মিলন মানুষের সঙ্গে মানুষের।রবীন্দ্রনাথের ‘ধর্ম’ বইটির ‘উৎসবের দিন’ প্রবন্ধের কথাও প্রাসঙ্গিক- “আজ আমাদের কীসের উৎসব? শক্তির উৎসব। … জ্ঞানে,প্রেমে,বা কর্মে মানুষ যে অপরিমেয় শক্তিকে প্রকাশ করিয়াছে,আজ আমরা সেই শক্তির গৌরব স্মরণ করিয়া উৎসব করিব।আজ আমরা আপনাকে,ব্যক্তি বিশেষ নয়,কিন্তু মানুষ বলিয়া জানিয়া ধন্য হইব।” তাই বিজয়া সম্মিলনী।★আমিও আজ বিজয়া সম্মিলনী করলাম পোস্ট দিয়ে। ভাসানের আগে বরণের সময় দেবীর কানে কানে বলে দেওয়া হয়,‘পরের বছর আবার এসো, মা!’।ঘরের মেয়েকে বিদায় দেবার এই বিষাদ গাথার সুরটিকে🙄🙄 দীনেন্দ্র কুমার রায় তাঁর ‘পল্লীচিত্র’-এর ‘দুর্গোৎসব’ রচনায় ধরে রেখেছেন- “আজ দশমীর এই বিষাদাপ্লুত প্রভাতে সানাইয়ের আর বিরাম নাই;সে শুধু কাঁদিয়া কাঁদিয়া বিরহ গাথা গাহিয়া যাইতেছে। … তিন দিনের উৎসব যে নিমিষের মধ্যে শেষ হইয়া গেল,তাই পিতা মাতার চক্ষে জল ও বক্ষে দুর্বহভার।” সেই চিরন্তন ‘যেতে নাহি দিব’-র কান্না।তবুও তো যেতে দিতে হয়। ★আমার আগের পোস্টেই একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি খুব সুন্দর বলেছেন,কান্না পেলেও মেনে নিতে হয় স্যার..... বিজয়া পেরিয়ে শুধু দেবী দুর্গার নয়,প্রবাস থেকে আসা প্রতিটা মানুষেরও তাড়া পরে নিজের ঘরে ফেরার।আগেকার দিনে যেমন নদীর ঘাটে ঘাটে জমে উঠত বাক্স প্যাঁটরা, বর্তমানে দাম বাড়ে ফ্লাইটের,‘সোশ্যাল ডিসট্যান্স’ মেনে ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপে সেরে নেওয়া যায় ভার্চুয়াল কোলাকুলি। দেশের বয়স যত বাড়ে,পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের মানুষ ফুরোয় দ্রুত।তারই মধ্যে যতটা কাছে যাওয়া যায় আর কী! তারপর একাদশী বা দ্বাদশীর দিন সেই ‘যাত্রা করা’, বচ্ছরকার জমানো ছুটি খরচা করে ফেরা নিজের নিজের কর্মক্ষেত্রে,নিজের নিজের ঘরে,যাকে যেখানে মানায়।ফিরতে তো হয়ই,শুধু আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে বসে থাকা নাছোড় এক নীলু অবিরাম শুধু বলে চলে – “শেষ? হ্যাঁ,শেষ। প্রণাম তোমায়, শেষ। প্রণাম তোমায়,ওই দ্বাদশীর বিকেল। প্রণাম,ওই খালের মুখে নদীর জলের ঢেউ। প্রণাম তোমায় তুলসীতলা,মঠ।প্রণাম ফুলমামি। প্রণাম,তবে প্রণাম তোমায় সুপুরিবনের সারি।”মেয়ের ‘যাত্রা করা’,বরণ ও ভাসান শেষ হলে একে অপরের মুখে তুলে দেওয়া মিষ্টি,যাতে মিশে যায় পরবর্তী দীর্ঘ অপেক্ষার রেশ।যে পথে দুর্গা বেরোবেন,সেই পদচিহ্ন ধরেই আলপনার পথ বেয়ে ফিরে আসেন শ্রী লক্ষ্মী।আশ্বিন পেরিয়ে কার্তিকে পরবে শুক্ল চাঁদের জ্যোৎস্না।নুয়ে'পরা ধানের বুকে জমে উঠবে দুধ,হিম নামবে,‘অক্ষয় মালবেরি’র ছেলেটি লণ্ঠন নিয়ে বড়পুকরের ঘাটে গিয়ে দেখবে,জলে ডোবা ঘাটের পইঠায় নিথর হয়ে কেমন স্নিগ্ধ সেঁটে থাকে শামুকেরা।...কার্তিকের ভরে ওঠা ধানের গোলার পাশ দিয়ে গৃহস্থীর আঁকা আলপনায় পা ফেলে আমাদের রূপ,জয়,যশ প্রাপ্তির প্রার্থনাকে সত্যি করে ঘরে এসে উঠবেন ঐশ্বর্যের দেবী। আবারও সেই শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘সুপুরি'বনের সারি’ বইয়ের ফুল'মামিমার কথা,এমনই এক বিজয়া শেষের ভোরে যিনি নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন আর বোকা নীলু বিশ্বাস করেছিল,“যেন লক্ষ্মীপুজোর দিন ওই পায়ের চিহ্ন ধরে ধরে ঘরে ফিরে আসছে ফুলমামি,তার নিজের ঘরে।”তবে আমি চাইব বোকা নীলুর বিশ্বাস যেনো প্রতিটি ''অভয়া"র পিতা মাতার সাথে থাকে,তাদের সেই লক্ষী মেয়ে ফিরবে তার নিজের ঘরে লক্ষী পুজোর দিন।কিজানি হয় তো তাই,বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।মা লক্ষ্মী সকলকে ধন,মান ও ঐসর্য্যে ভরিয়ে দিক,এই কামনা রইলো। 🙏শ্রী শ্রী লক্ষী দেব্যই নমঃ 🙏 ⚜️🌸🕉️🌸🕉️🌸🕉️⚜️ #শুভেচ্ছা #🔱শুভ বিজয়ার স্ট্যাটাস 🪷 #👣জয় মা লক্ষ্মী🌷 #🙏 কোজাগরী লক্ষ্মী পুজা স্ট্যটাস ২০২৫👣 #ভক্তি
Sandy
2.5K জন দেখলো
25 দিন আগে
""টান টান উত্তেজনার সেই ৪৮ মিনিটের পুজো"" 🙏🕉️🙏🕉️🙏🕉️🙏🕉️🙏 আসলে মায়ের পুজো চলছে ...আমি আগের পোস্ট এ লিখেছি।এ যেনো গতিময়,আবেগ ঘন।শিশু থেকে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের মনের মধ্যেই একটা আনন্দ অথচ,তাতে নিজে থেকে ভক্তি মিশে থাকে,সারা বছরের থেকে আলাদা।রামায়ণ মহাভারতেও কিছু কিছু বিষয় লিখতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে,কবিগুরু এ বিষয়ে আলোকপাত করেছিলেন ....রামায়ণে আছে এভাবে খানিকটা বলি,বোধনের মাধ্যমে মা জাগরিত হলেন,তাঁদের ঘুম ৬ মাস মানে এক রাত।কৈলাস থেকে আগত,সর্বদা করজোড়ে পূজা প্রয়োজন।শ্রী রামের অনুযোগ রাবণের প্রতি শুনলেন। শুক্লা-সপ্তমী থেকে মহা-নবমী অবধি বিশেষ পুজো চলতে লাগল।সপ্তমীর দিন দেবী স্বয়ং রামের ধনুঃশ্বরে প্রবেশ করলেন।অষ্টমীতে রামের বাণে আশ্রয় নিলেন।অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে দশানন রাবণের মস্তক পুনঃ পুনঃ ছেদন করলেন রামচন্দ্র।....‼️ দেবী দুর্গা'ও এই দুই তিথির মিলন-ক্ষণেই আবির্ভূতা হন দেবী চামুন্ডা রূপে।চন্ড এবং মুন্ড এই দুই উগ্রমূর্ত্তি ভয়ানক অসুরকে বধ করেছিলেন এই সন্ধিক্ষণে।আশ্বিন মাসে রামচন্দ্রের অকালবোধন এবং অপ্রতিরোধ্য রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য যে দুর্গাপুজোর উল্লেখ পাওয়া যায় কৃত্তিবাসের রামায়ণে সেখানেও দেখি রামচন্দ্র সন্ধিপূজা সমাপন কালে দেবীর চরণে একশো আট পদ্ম নিবেদন করার আশায় হনুমানকে দেবীদহ(মনোস সরোবর)থেকে একশো আটটি পদ্মফুল তুলে আনতে বলেন।হনুমান একশো সাতটি পদ্ম পেলেন,এটা ভুল ছিল না।হমুমানও তো জ্ঞানী,লঙ্কা জয়ে তাঁর বুদ্ধির দৌড় কম নয়।দেবীদহে আর পদ্মই ছিলনা।★ময়ের মন পেতে রামকে কম কিন্তু বেগ পেতে হয়নি,ময়ের ছল চতুরির যথেষ্ট পরিচয় ছিল।এবার প্রশ্ন কেন দেবীদহে একটি পদ্ম কম ছিল।তার কারণ স্বরূপ এটাই,দীর্ঘদিন অসুর নিধন যজ্ঞে মা দুর্গার ক্ষত বিক্ষত দেহের অসহ্য জ্বালা দেখে মহাদেব কাতর হলেন।মায়ের সারা শরীরে একশো আটটি স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল।মহাদেব তাঁকে দেবীদহে স্নান করতে বললেন সেই জ্বালা জুড়ানোর জন্য।দেবীদহে মায়ের অবতরণে একশো সাতটি ক্ষত থেকে সৃষ্টি হয়েছিল একশো সাতটি পদ্মের।মহাদেব দুর্গার এই জ্বালা সহ্য করতে না পারায় তাঁর চোখ থেকে এক ফোঁটা অশ্রু নিক্ষিপ্ত হল মায়ের একশো আটতম ক্ষতের ওপর।দেবীদহে স্নানকালে সেই অশ্রুসিক্ত ক্ষতটির থেকে যে পদ্মটি জন্ম নিয়েছিল সেটি মা নিজে হরণ করেছিলেন।🙄😁🙄কারণ স্বামীর অশ্রুসিক্ত পদ্মফুলটি কেমন করে তিনি চরণে নেবেন।আবার কৃত্তিবাসের রামায়নে পাই রাবণ নিধন যজ্ঞের প্রাক্কালে রামচন্দ্র বলছেন....‼️‼️‼️ #যুগল নয়ন মোর ফুল্ল নীলোত্পল, সংকল্প করিব পূর্ণ বুঝিয়ে সকল# ব্যাখ্যা স্বরূপ বলি.... রাম ধনুর্বাণ নিয়ে যখন নিজের নীলোত্পল সদৃশ একটি চক্ষু উত্পাটন করতে উদ্যত তখন দেবী রামচন্দ্রের হাত ধরে তাঁকে নিবৃত্ত করে বলেন.....!!!! "“অকালবোধনে পূজা কৈলে তুমি,দশভুজা বিধি মতে করিলা বিন্যাস। লোকে জানাবার জন্য আমারে করিতে ধন্য অবনীতে করিলে প্রকাশ ।। রাবণে ছাড়িনু আমি,বিনাশ করহ তুমি এত বলি হৈলা অন্তর্ধান ”" তাহলে কি ময়ের স্বতস্ফূর্ততা ছিলনা রাবণ বধে???‼️‼️‼️★★★এ প্রশ্ন আমার,আজও কি তাই এত নারী নির্যাতন?? এত পাপিষ্ঠরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বেমালুম..!!??‼️তাই বোধয় রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে স্বয়ং বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র ও যথার্থ সময় শ্রী যুক্ত মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় কে দিয়ে মহালয়ায় গাইয়েছিলেন .... ❔❔❔❔❔ ...!!!!তব অচিন্ত্য রূপ-চরিত-মহিমা, নব শোভা,নব ধ্যান রূপায়িত প্রতিমা, বিকশিল জ্যোতি প্রীতি মঙ্গল বরণে। তুমি সাধন ধন ব্রহ্ম বোধন সাধনে।। তব প্রেম-নয়ন ভাতি নিখিল তারণী কনক-কান্তি ঝরিছে কান্ত বদনে।। হে মহালক্ষ্মী জননী গৌরী শুভদা, জয় সংগীত ধ্বনিছে তোমারই ভুবনে।। ‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️ কি জানি হয়ত....!!!তাই দুর্গা পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষণ হল এই সন্ধিপুজো।অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির শুরুর ২৪ মিনিট....এই মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যেই  অনুষ্ঠিত হয়।খুব গুরুত্ব পূর্ণ হলো #"সময়"#, টান টান এই সময়ের মধ্যেই শেষ করতেই হবে। মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধের সময় দেবী দুর্গার পিছন দিক থেকে আক্রমণ করেছিল দুই ভয়ানক অসুর চন্ড ও মুন্ড।দেবী তখন এক অদ্ভূত রূপ ধারণ করেন।কেশরাজিকে মাথার ওপরে সু-উচ্চ কবরীতে বেঁধে নিয়ে, কপালে প্রজ্জ্বলিত অর্ধ-চন্দ্রাকৃতি টিপ ও তিলক এঁকে, গলায় বিশাল মালা ধারণ করে,কানে সোনার কুন্ডল ও হলুদরঙা শাড়িতে নিজেকে সজ্জিত করেন।তাঁর রক্তচক্ষু,লাল জিহ্বা,নীলাভ মুখমন্ডল  এবং ত্রিনয়ন থেকে অগ্নি বর্ষণ করতে থাকেন।ঢাল ও খড়্গ নিয়ে চন্ড ও মুন্ডকে বধ করেছিলেন দেবী এই সন্ধি-পুজোর মাহেন্দ্রক্ষণে। ৪৮ মিনিট।। ‼️‼️‼️🔱☸️🔱☸️🔱তবে সন্ধিপূজার এই মাহেন্দ্রক্ষণে কেউ বলি দেন।কেউ সিঁদুর সিক্ত একমুঠো মাসকলাই বলি দেন।সব কিছুই প্রতিকী কিন্তু। সর্বকালের সর্বক্ষণের দুষ্টের দমন হয় দেবীর দ্বারা।রক্ত-বীজ অসুর কুল বিনষ্ট হয়।ঢাকের বাদ্যি বেজে ওঠে যুদ্ধ-জয়ের ভেরীর মত।একশো আট প্রদীপের আলোক-মালায় উদ্ভাসিত হয় ভারতবর্ষের আনাচকানাচ।উত্তিষ্ঠত ভারতবাসীর জাগ্রত মননে দুষ্কৃতের বিনাশিনী এবং সাধুদের পরিত্রাণ কারী মা দুর্গা কান্ডারী হয়ে প্রতিবছর অবতীর্ণ হন মর্ত্যলোকে । সংস্কৃত মন্ত্রের উচ্চারণে মুখরিত হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস।শঙ্খধ্বনি,উলুধ্বনি,ঢাকের বাদ্যি,ঘন্টা,পটকা,দামামা সব মিলিয়ে শব্দের স্রোত যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায় চারপাশ। মন্ত্রোচ্চারণ আর ১০৮ প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে দেবী দুর্গার ঘামতেল মাখা মুখমন্ডল।অষ্টমীর বিদায় আর নবমীর আগমনে এই সন্ধিপুজো আমরাও ভক্তিপূর্ণ আনন্দিত হই কিন্তু একটু হলেও নবমীর সুর বেজে যায়,ওটা কিন্তু মন খারাপেরই পালা। সকলে মিলে আনন্দ করুন পরিবার প্রিয়জনের সাথে।এ সময়টা খুশি থাকুন সকলেই।আমার আন্তরিক শুভ কামনা রইলো। 🙏জয় মা দুর্গে দুর্গতিনাশিনী🙏 🔱☸️শুভ মহাষ্টমী☸️🔱 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏 NB.এ লেখার দায়িত্বভার নিজস্ব 🌸🌸🌸 #শুভেচ্ছা #🔱দুর্গাপুজোর মহাঅষ্টমীর স্ট্যাটাস 🪷 #🪷 শুভ শারদীয়া ২০২৫🔱 #🙏জয় মা দুর্গা🙏 #🙂ভক্তি😊
Sandy
2.6K জন দেখলো
27 দিন আগে
⚜️""বোধদয়ের অন্তরালে....""⚜️ 💮☸️🔱💮☸️🔱💮☸️🔱💮 আজ তো ষষ্ঠী।এর পরই তো সকলে ব্যস্ত হয়ে যাবেন আরও !!!‼️পুজোর কেনা কাটার রেশ এখনো শেষ যেনো নয়।আমার তো ওই পঞ্চমী আর আজ,যা কিছু সারা বছরে এই কটা দিন। এ উৎসব বাঙালির আবেগ ঠিক কিন্তু শুধু তাই নয়‼️‼️বিশ্বের কোল জুড়ে রয়েছে,বিদেশীরাও কেনা কাটা করে,সমগ্র ধর্মের মানুষের'ই একটা আবেগ এ যেনো নস্টালজিয়া... এ বিষয়'টা পরের পোস্টে লিখব।পোস্ট ৬ মাস তো থাকবে পুজোর আনন্দের মাঝে না হলেও পড়বেন আশাকরি ভালো লাগবে।আজ আমি একটু গল্পের ছলে বলি হালকা শব্দে কারণ এই কাহিনী গুলো পূরাণে ভীষণ সম্পৃত্য জটিল শব্দে ভরা। ওভাবে ভালো লাগবে না,তারচেয়ে সরলীকরণ করে বলি..... শ্রীরামচন্দ্রের অকাল বোধনের ফলেই শরৎকালে দুর্গাপুজোর সূচনা।একথা সকলেই প্রায় জানে!কিন্তু এই অকাল বোধনেরই কত অজানা কাহিনি ছড়িয়ে আছে,আমরা তার খোঁজ রাখি না।যার মধ্যে অন্যতম হল,রাবণ'ই রামচন্দ্রের পুজোয় পৌরোহিত্য করেছিলেন!এটাই সত্য। না না।...❕❕বাল্মীকির রামায়ণে রামচন্দ্রের এই অকাল বোধন বা পুজোর উল্লেখ নেই।তবে কৃত্তিবাস ওঝা সবিস্তারে লিখেছেন অকাল বোধনের কথা।এছাড়া দেবী ভাগবত পুরাণ ও কালিকা পুরাণেও রয়েছে এর উল্লেখ।তাছাড়া পুঁথি থেকে পুঁথিতে ভাষান্তর,নতুন ঘটনার সংযোজন তো ছিলই।তারপর লোকায়ত চর্চায় মিশে যায় নানা কাহিনি। দেবীর অকাল বোধনে রামের পুরোহিত ছিলেন স্বয়ং রাবণ! ‼️‼️‼️তাহলে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে নিজেই এ কাজ করেছিলেন রাক্ষস রাজ?⁉️❔❕❕❕❕আসলে রাবণও কম পন্ডিত ছিলেন না,বুদ্ধির চূড়ান্ত শীর্ষে।  দেবীর বরপ্রাপ্ত রামের পক্ষে রাবণকে বধ করা ছিল কেবলই সময়ের অপেক্ষা।তাহলে কি,মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও দেবীর অকাল বোধনে রামের পুরোহিত ছিলেন স্বয়ং রাবণ!⁉️⁉️⁉️কিন্তু রাবণ কেন রামের অকাল বোধনের পুরোহিত হলেন?তিনি তো জানতেনই রামচন্দ্র তাঁকে বধ করে সীতাকে উদ্ধার করতে চান।নিজেই নিজের মৃত্যুকে নিশ্চিত করতে কেন চাইলেন রাক্ষস রাজ? ★এ ভাবনা গুলো আমারও হয়েছিল কিন্তু বেশ কিছু পড়ে,বর্তমান সময়ের কলি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেখেছি,এই ২১ শতকের রাজনৈতিক অভিসন্ধির পরম্পরা আর পারিবারিক অস্থিরতা,সেই পৌরাণিক যুগেই রচিত হয়ে গিয়েছিল।বর্তমানের রাজনৈতিক দল গুলো সম্মন্ধে সকলেই কম বেশি বোঝেন।আসলে আজকের ফাঁকা রাজনীতির কৌশল সেই পৌরাণিক যুগেই রচিত।তবে ভাবনার অন্তরালে থেকে যায়,রাবণ কী করে ব্রাহ্মণ হলেন?আসলে রাবণের বাবা বিশ্রবা মুনি ছিলেন ব্রাহ্মণ।তাই রাক্ষসী কৈকসীর পুত্র হলেও রাবণ ব্রাহ্মণ।এখানেই শেষ নয়, শাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন তিনি।সংস্কৃতজ্ঞ,সুপণ্ডিত এবং মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ত্রিসন্ধ্যা গায়ত্রী করা রাবণকে তাই একজন উচ্চশ্রেণীয় ব্রাহ্মণ হিসেবেই ধরা হত।কেবল রাবণই নন, অহিরাবণ এবং মহিরাবণের মতো রাবণ বংশীয় অন্যদের সম্পর্কেও বলা হয়,যে তাঁরা রীতিমতো সাধক ছিলেন। বর্তমানে তো ওই সব মানার বলাই নেই বিশেষ করে বারোয়ারী পুজো মণ্ডপে।একবার সল্টলেকে বিজেপির দুর্গাপুজোয় মহিলা পুরোহিত হয়েছিলেন।ওই শুনে নাড্ডা-শাহ রা এসে ছিলেন দিল্লি থেকে উড়ে। যাই হোক,রাম-রাবণের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে যখন একে একে লঙ্কার বড় বড় বীররা ধরাশায়ী,তখন রাবণ মা দুর্গার স্তব পড়তে লাগলেন।দুর্গা কালীরূপে রাবণকে অভয় দিলেন।মা কালীর কোলে আশ্রিত রাবণ যুদ্ধে অপরাজেয় হয়ে উঠতে লাগলেন।তাহলে ★খেয়াল করে দেখবেন সকলে মায়ের'ই তো আর এক রূপ ⁉️ বর্তমানেও দেখা যায় কোনো মা তাঁর বড় ছেলেকে বেশি দেখেন ফলে ভবিষ্যতে সম্পত্তি গত বিবাদ লেগে আছে,সেই মা তখন স্বর্গে⁉️ বাস্তব সত্য'টা বললাম মনে কিছু করবেন না ।.....‼️‼️‼️‼️দেখুন ‼️‼️এই পরিস্থিতিতে দুর্গাকে তুষ্ট করতে অকালেই (বসন্তকালের বদলে শরৎকালে)তাঁর পুজো করতে মনস্থ করলেন রাম।কিন্তু সেই পুজোয় কে করবেন পৌরোহিত্য?রামের অকাল বোধনের পুরোহিত হিসেবে রাবণের নাম উত্থাপন করেন স্বয়ং প্রজাপতি ব্রহ্মা।ভাবুন একবার⁉️⁉️,মেলান বর্তমান কে❕❕❕‼️তিনিই পরামর্শ দেন,”তোমার এই পুজোর উপযুক্ত পুরোহিত হতে পারেন রাবণই।” অগত্যা রাক্ষস'রাজ রাবণকেই পৌরোহিত্যের প্রস্তাব দেন রঘুনন্দন।আর রাবণও রাজি হয়ে যান।অর্থাৎ যা হয় হোক সকলে মায়ের'ই সন্তান..‼️👁️🤖👁️আজ আভয়া বিচার পেলো না শুধুমাত্র এই রাজনীতির কারণে বোধনের মন্ত্র বলার সময় রাবণ উচ্চারণ করেন, ”রাবণস্য বধার্থায়…” অর্থাৎ নিজের মৃত্যুর জন্য পুজোয় নিজেই পৌরোহিত্য করলেন,সংকল্প করলেন তিনি। আসলে রাবণ জানতেন,রাক্ষস বংশের উদ্ধারের জন্য রামের হাতেই তাঁর বধ হওয়া প্রয়োজন।আজও তাই শত শত নারী রাক্ষস ঘুরে বেড়াচ্ছে।আর সেই কারণেই এই পুজোয় পৌরোহিত্য করতে তাঁর রাজি হওয়া।সেই মনে পরে আড়াল করতে পুলিশ কমিশনার গোয়েল টাকে উচু পোষ্টে প্রমোশন করানো আর আর.জি.করের প্রিন্সিপাল টাকে অন্য মেডিকেল কলেজ এ বদলি করা,শুধু তাই নয় তিনি পুলিশ কর্তাকে দিয়ে এক কারি টাকা অভয়ার পিতা মাতাকে ঘুষ দিতে পাঠিয়েছিলেন।মমতায় ভরপুর মা মমতা । কি ছিল রাবণের মনে⁉️⁉️⁉️❕❕ সীতাহরণের সময়'ই কি রামের হাতে বধ হওয়ার আশঙ্খা কাজ করেছিল রাবণের মনে? তাই নতজানু ❕❕❔কিন্তু দেখা গেল,রাবণ যতই পৌরোহিত্য করুন,যুদ্ধে তিনি অপরাজেয়।‼️❕❕রাম যতবার মুণ্ডচ্ছেদ করেন ততবার সেই ছিন্ন মাথা জোড়া লেগে যায় দেবীর আশীর্বাদে। বাস্তব মেলাবেন ......❕কিন্তু শ্রীরাম তো রাম'ই,সেই শ্রীকৃষ্ণ এসে যায়...অর্জুন'কে দেওয়া উপদেশ এসে পরে যেনো....সৎ ব্যক্তিরও অধমের সাথে কুট বুদ্ধি প্রয়োগ জরুরি ❕এই পরিস্থিতিতে রাম বুঝতে পারলেন চণ্ডী অশুদ্ধ করতে হবে।আর উপায় নেই।এই ভার পরল হনুমানের উপর।মাছির রূপ ধরে পবন পুত্র গিয়ে পরে চণ্ডীর উপরে।ঢাকা পরল একটি অক্ষর।ফলে মন্ত্র পড়তে গিয়ে ভুল করলেন রাবণ।তিনি ওই একটি অক্ষর উচ্চারণ না করায় চণ্ডী হল অশুদ্ধ।‼️‼️চণ্ডী অশুদ্ধ হওয়ায় ....দেবী হলেন ক্ষুদ্ধ।...❕❕❕####@তবে এই কাহিনি কিন্তু কৃত্তিবাসী রামায়ণে আলাদা।পড়ে দেখেছি...?....সেখানে বলা আছে,রাবণ রামের পুজোর কথা জানতে পেরে শঙ্কিত। তাই দেবীর কৃপা পেতে তিনি ডাক পাঠালেন দেবগুরু বৃহস্পতিকে।কিন্তু রাত্রিকালে চণ্ডীপাঠ নিষিদ্ধ।আর তাই বৃহস্পতি বেঁকে বসলেন। বিবাদ বাঁধলো ....❕কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাবণের রক্তচক্ষু দেখে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বৃহস্পতি শুরু করলেন পাঠ।আর তখনই সেখানে হাজির হলেন হনুমান।মাছির রূপ ধারণ করে।....‘যথা বৃহস্পতি আছে, উপনীত তাঁর কাছে,/ একমনে করে চণ্ডীপাঠ ।।/ মক্ষিকার রূপ ধরে, চাটিলেন দ্বি অক্ষরে,/ দেখিতে না পান বৃহস্পতি ।/ অভ্যাস আছিল তায়, পড়িল অবহেলায়,/ হনুমান সচিন্তিত অতি ।।’ স্বাভাবিক ভাবেই চণ্ডীপাঠে ত্রুটি হওয়ায় দেবী ক্রুদ্ধ হলেন।এদিকে রাবণও পালটা ক্রোধ দেখিয়ে বললেন,যেহেতু দেবী তাঁর শত্রুর পক্ষ নিয়েছেন,তাই দেবীও এখন তাঁর শত্রু।এমনই রাক্ষস রাজের অহং।.......‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️⁉️❔দেখলেন ??? এই লোককেই কালী মাতা কোলে করে রেখেছিলেন ??? হয় না ? বাস্তবে হাজার হাজার পরিবার আছে এমনই,কলি যুগের অনেক মা ও কিঞ্চিত অমনই।আসলে মহাজ্ঞানী হলেও রাবণ শেষ পর্যন্ত ছিলেন রাক্ষস--গুণসম্পন্ন,দাম্ভিক।সাধে কী বলেছে ‘অতি দর্পে হত লঙ্কা…’ ফলে দেবীর কৃপা আর রইল না রাবণের উপরে।প্রশস্ত হল তাঁর বধের পথ।এর সঙ্গেই এসে পরে,মানস সরোবর থেকে আনা ১০৮টি নীলপদ্মের সেই কাহিনি।হনুমানের এনে দেওয়া পদ্মগুলি দেবীর উদ্দেশে অর্পণ করতে গিয়ে রামের নজরে পড়ল একটি পদ্ম কম।তখন তিনি নিজের নীলপদ্মের মতো চোখ দেবীকে নিবেদন করতে চাইলেন।এরপর? কৃত্তিবাস বলছেন, ”চক্ষু উৎপাটিতে রাম বসিলা সাক্ষাতে।/ হেনকালে কাত্যায়নী ধরিলেন হাতে।।/ কর কি কর কি প্রভু জগৎ গোঁসাই।/ পূর্ণ তোমার সংকল্প চক্ষু নাহি চাই।।” এরপর দেবীর বরপ্রাপ্ত রামের পক্ষে রাবণকে বধ করা ছিল অত্যন্ত সহজ।বর্তমানেও দেখা যায় মায়ের বড় ছেলে বিদেশে ,হুকুম বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে,আর ছোট ছেলে কোনো কিছু না পেয়েও মা কে নিজ অর্থে নিজ গৃহে যত্নে মগ্ন সামর্থ্য না থাকলেও।বসন্তকালের বদলে শরৎকালে দেবীর সেই পুজোই আজকের দুর্গাপুজোর কাহিনি।যা বাল্মীকি রামায়ণে নেই।পরে সংযোজিত হয়েছে।আবার অকাল বোধনে রাবণের পৌরোহিত্যের কাহিনিও একই ভাবে ঢুকে পরেছে কোনও কোনও রামায়ণের কাহিনিতে। আসলে রামায়ণের নানা সংস্করণ ছড়িয়ে রয়েছে।এই বিভিন্ন সংস্করণ গুলির কথা ভাবতে বসলে সত্যিই অবাক হতে হয়।চেনা কাহিনি বদলে বদলে গিয়েছে ভিন্ন ভাষা,ভিন্ন সংস্কৃতির আঁচে!রামায়ণ-মহাভারতের কথা বলতে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘এত বড়ো বৃহৎ দুইটি গ্রন্থ,আমাদের সমস্ত ভারতবর্ষ-জোড়া দুইটি কাব্য,তাহাদের নিজের রচয়িতা কবিদের নাম হারাইয়া বসিয়া আছে— কবি আপন কাব্যের এতই অন্তরালে পড়িয়া গেছে।’ এভাবেই মহাকাব্য দেশের ভিন্ন সংস্কৃতিকে নিজের মধ্যে ধারণ করে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। এখন প্রশ্ন হলো আমরা মায়ের কাছে কি চাইব?????⁉️‼️ মা এসেছেন।আনন্দদায়িনী ময়ের আশীর্বাদ আমাদের সকলেরই প্রয়োজন।তাঁর কাছে আমি যা চাই আমার ভিডিও পোস্টেই চেয়েছি।আসুন দেখুন আশাকরি সহমত হবেন। আবদার এই টুকুই যেন তিনি আমাদের সারা বছর খুশি ,আর সুস্থতা বজয় রাখেন। তাঁকে সহস্র কোটি প্রণাম।🙏🙏🙏🙏 সকলে পুজোর শুভেচ্ছা নেবেন। অনেক অনেক শারদীয় অভিনন্দন রইলো। ##NB.. উক্ত লেখার সম্পূর্ণ দায়ভার নিজস্ব 💮💮💮💮💮 #শুভেচ্ছা #🔱শুভ ষষ্ঠী২০২৫🪔 #🙂ভক্তি😊 #🌷সিদ্ধিদাতা গণেশ🐘 #🙏জয় মা দুর্গা🙏
Sandy
3.4K জন দেখলো
1 মাস আগে
⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️ দুর্গাদেবীর আগমনী সংগীতই মহালয়া ‼️দানবীর কর্ণ ও মহালয়‼️ ⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️ ঐযে বলে নিয়তি কেনো বধ্যতে...‼️‼️ দানবহাভারতের আখ্যান মতে,কর্ণ কুন্তী পুত্র হয়েও নিয়তির খেলাতে নিজের অজ্ঞাতেই তিনি দুর্যোধনের সবচেয়ে কাছের বন্ধুতে পরিণত হন।বীরত্বের পাশাপাশি তিনি দাতা হিসেবে অদ্বিতীয় হয়ে ওঠেন।তার কাছে কিছু চেয়ে বিমুখ হয়নি কখনো কেউ।সোনা-দানা, মণিমাণিক্য যে যা চেয়েছে তাই দিয়েছেন তিনি।এমনকি নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় সুরক্ষা অভেদ্য কবচকুণ্ডলও তিনি অবলীলায় হাসিমুখে দান করেছেন।কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কর্ণ নিহত হন।তবে পুণ্যময় কাজের পরিণামে স্থান পান স্বর্গে।নরলোকে যে পরিমাণ সম্পদ তিনি দান করেছিলেন তার সহস্রগুণ ফিরে আসে তাঁর কাছে।স্বর্ণ-সম্পদের বিপুল বৈভবের নিচে তিনি যেন চাপা পরে যান।তবুও দুঃখী তিনি। সব পাচ্ছেন তিনি কিন্তু পাচ্ছেন না খাদ্য।এই যন্ত্রণা তাকে অস্থির করে তোলে। ক্ষুধায় তৃষ্ণায় কাতর কর্ণ যান যমরাজের কাছে।ক্ষুব্ধ কণ্ঠেই বলেন,এ কেমন বিচার! অফুরন্ত স্বর্ণ রত্ন তিনি পাচ্ছেন,কিন্তু সেসব তো খাদ্য নয়।ক্ষুধার অন্ন নয়।কাজেই সোনাদানার তাঁর দরকার নেই।দরকার খাদ্য। কর্ণের এই জিজ্ঞাসার মুখে যমরাজ কিছুটা বিব্রত কণ্ঠেই বলেন,এর আমি কী করব? নরলোকে মানুষ যা দান করে,পরলোকে এসে তাই কয়েক সহস্রগুণ ফিরে পান।কর্ণ কুণ্ঠিত ভাবেই বলেন,আমি তো মর্ত্যে দানে কোনো ত্রুটি রাখিনি।আমার সব ধনসম্পদ আমি অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছি।তাহলে কেন বঞ্চিত থাকব খাদ্য-পানীয় থেকে?যমরাজ বলেন, তুমি ধনসম্পদ দান করেছ,এটা সত্য।কিন্তু তুমি কোনো দিন কাউকে অন্নদান করোনি। দাওনি কোনো তৃষ্ণার্তকে জল।সে কারণে এখানে বঞ্চিত তুমি সেসব থেকে।কিন্তু আমি যে ক্ষুধায় অস্থির।এর একটা বিহিত করুন আপনি।ফিরিয়ে নিন সম্পদ,পরিবর্তে দিন একটু খাদ্য।একটু জল।যমরাজ বলেন,আমি নিরুপায়।ঈশ্বরের বিধান বদলের কোনো ক্ষমতা আমার নেই।না জেনে অপরাধ করেছি।অন্ন-জল দান যে এত মহত্তোম দান, এটা জানা ছিল না।সেই অনিচ্ছাকৃত অপরাধ ক্ষমা করুন।একটা কিছু প্রতিবিধান করুন। কর্ণের প্রতি যমরাজ সদয় হন।বলেন,বেশ একটা সুযোগ তোমাকে দিচ্ছি।তুমি এক পক্ষের জন্য মর্ত্যলোকে ফিরে যাও।যথেচ্ছ দান কর অন্ন-জল।এরপর পনেরো দিনের জন্য কর্ণ ফিরে আসেন মর্ত্যে।এই পনেরো দিন তিনি অকাতরে দান করেন অন্ন-জল। পরিণামে ফিরে গিয়ে স্বর্গে,ফিরে পান অন্ন-জল।..... আশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত পনেরো দিন কর্ণের ছিল দ্বিতীয় দফার মর্ত্য বাস।আর এই পনেরটি দিনই হিন্দু শাস্ত্রে পিতৃপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত।কর্ণ স্বর্গে ফিরে আসেন যে অমাবস্যা তিথিতে- সেটিই অভিহিত মহালয় বা মহালয়া নামে।‼️‼️.....আজ সেই দিন,তামাম ভারতবর্ষের বিভিন্ন মানুষ গঙ্গায় যান পিতৃ পক্ষের শেষ সময় পূর্ব পুরুষ দের অন্ন জল দান করেন।তাদের বিশ্বাস স্বর্গ থেকে তাঁরা পাপ মোচন করবেন আশীর্বাদ দেবেন। তবে শাস্ত্র-বিশেষজ্ঞরা বলেন,পিতৃপক্ষের অবসানে,অমাবস্যার অন্ধকার পেরিয়ে আমরা আলোকোজ্জ্বল দেবীপক্ষে আগমন করি,তাই সেই মহা-লগ্ন আমাদের জীবনে ‘মহালয়া’।এ ক্ষেত্রে দেবী দুর্গা কেই সেই মহান আশ্রয় বলা হয়ে থাকে এবং আঁধার থেকে আলোকে উত্তরণের লগ্ন টিকে বলা হয় মহালয়া।কিন্তু গত বছরের দগ-দগে ঘা শুকোলো না।অভয়ার পিতা মাতার চোখের জল কেউই পারেনি মোছাতে।খালি রাজনীতি সার।বাংলার মুখ্য মন্ত্রী মঞ্চে উঠে যে দান ক্ষয়রাতের আসফালন,নাচানাচি,চিৎকার করে,মানুষের করের অর্থে দম্ভ,এক দিন ছুটবে,কারণ প্রকৃত গরীব মানুষ,অসহায় ফুট পাথ বাসী গৃহ মঞ্চিত মানুষের অভিসম্পাত,তাদের অন্ন জল জোটে না,আমাদেরই হাল তলানিতে।পাপ খণ্ডাবে কে?শত "তর্পণ" এও খন্ডন সম্ভব নয়। কৃষ্ণপক্ষ বা পিতৃপক্ষের অবসান এবং শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনায় অমবস্যার একটি নির্দিষ্ট ক্ষণকে মহালয়া বলা হয়।আর এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে মহালয়া আসলে কী? মহালয়া শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল মহান যে আলয় বা আশ্রয়।অর্থাৎ মহা+আলয় জুড়ে এই শব্দ।যদিও সন্ধির নিয়ম মেনে শব্দটি‘মহালয়’ হওয়ার কথা।তবে‘মহালয়া’ বলার পিছনে কোনও ব্যকরণগত ব্যাখ্যা নেই। দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয় বলে শব্দটিকে স্ত্রীলিঙ্গ করে ‘মহালয়া’ বলা হয়।এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন,সেই মহান আলয়।আমাদের পরম আরাধ্য দেবী,দেবী দুর্গতিনাশিনী।মা তুমি এসো দেখো কী অনাচার টাই'না চলছে,গরীব গর্বারা খেতে পাচ্ছেনা,তাদের যে দুবেলা অন্ন জল জোটে না।শাসক শ্রেণী কোটি কোটি মানুষের করের টাকায়,ধন্দার টাকায় অপ্রয়োজনীয় দান করে চলেছে।সেদিন দেখছিলাম আমারই জানা একজন তাঁর পোষ্টে ট্যাগ লাইন দিয়েছেন....!!!কিছু পুরুষ আর কিছু নারী অত্যন্ত ভয়ংকর এই অ্যাপস এ।প্রকৃত নারী শক্তিকে জগাও মা তুমি।সর্ব শক্তি চেতনা যোগাও।তা না হলে ধ্বংস অনিবার্য।পুরাণ থেকে মহাভারত, মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনি।পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে উঠেছিলেন।শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত ছিল।অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ,তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা,বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন।তিনিই মহামায়া'রূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা।সেইকারণে বিশ্বাস করা হয়,এই উৎসবে অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা হয়।★যদিও মহালয়ার সঙ্গে দুর্গা পুজোর প্রত্যক্ষ ভাবে কোনও যোগ নেই। বরং মহালয়ার রয়েছে পৃথক মাহাত্ম্য। দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত উৎসব নয় মহালয়া। আসলে এই দিনটি পিতৃপুরুষের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।সারাবছর কোনও সময় তর্পণ না করলেও মহালয়ার তর্পণে সর্বসিদ্ধি বলে মনে করা হয়।লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন,যা অকালবোধন নামে পরিচিত।এরপর থেকেই যুগ যুগ ধরে শারদীয়া দুর্গাপুজো চলে আসছে।আগে রাজবাড়ি কিংবা জমিদার বাড়িতেই দুর্গাপুজো হত।রথের দিন কাঠামো পুজো হত এবং মহাসপ্তমীর দিন নবপত্রিকা প্রবেশের পর দেবীর চক্ষুদান পর্ব হত।যেহেতু মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়,তাই পরবর্তীকালে মহালয়ার দিনই প্রতিমার চক্ষু আঁকার চল শুরু হয়। 👉🔱⚜️🔱 দেবী তোমার আগমনের ..প্রস্তুতি তাই, মহেশ তোমায় দিলেন বিদায় ..‼️ মহিষাসুরের নিধন করে, চলেই এসো পিত্রালয় …‼️ 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏 দেবী তুমি আসবে বলে,শিশির বিন্দু ঘাসে, মাঠে মাঠে শোভা বাড়ায়,শুভ্র বরণ কাশে …‼️ এটা ২১শ শতাব্দীর ২৫তম বছর; এমনি আশ্বিনের এক প্রাগৈতিহাসিক সকালে শ্রীরামচন্দ্র যে দুর্গার বোধন করেছিলেন স্বর্গের দেব'পুরুষগণ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে যে রণ'দেবীকে অসুর নিধনে পাঠিয়েছিলেন, সেই দুর্গাই একুশ শতকে নারীর ক্ষমতায়ন। তাঁর মহা তেজ চির'জাগরুক আগুন হয়ে জ্বলে উঠুক,মাটির পৃথিবীর প্রতিটি নারীর মধ্যে। 🔱🙏🌅🙏🌅🙏🌅🙏🌅🙏🌅🙏🔱 হে মহামানবী,দেবী তোমাকে সহস্র কোটি প্রণাম। সকলে খুশির জোয়ারে মেতে জান।পুজো খুশির হোক। #শুভেচ্ছা #🙏তর্পণ ২০২৫🙏 #🔱শুভ মহালয়া ২০২৫🌷 #🌷মহিষাসুরমর্দিনী ২০২৫🔱 #🙂ভক্তি😊
Sandy
5.5K জন দেখলো
4 মাস আগে
‼️⚜️পৃথিবীর সেই বিখ্যাত মন্দির⚜️‼️ ☸️🎡❇️✳️🎪⛺🎪✳️❇️🎡☸️ ⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️⚛️ ⚜️☸️⛺☸️⚜️⛺☸️⚜️⛺ জন্মাষ্টমী নিয়ে অনেক কাহিনি সকলের মুখে মুখে শোনা যায়।বুৎপত্তি গত কথাটা হলো,শ্রীকৃষ্ণ এখনও আমাদের মধ্যে জীবিত। কৃষ্ণের হৃদয় এখনও সচল!‼️‼️ পৃথিবীর এই বিখ্যাত মন্দিরেই রয়েছে পরম যত্নে। শুনতে অবাক লাগলেও,শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় এখনও সচল রয়েছে।""ব্রহ্ম পদার্থ"",পৃথিবীর এই মন্দিরে রাখা রয়েছে অত্যন্ত যত্নে।রয়েছে পুরী মন্দিরের গর্ভগৃহে।শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম।🙏🙏শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় এই মন্দিরের এমন গোপন জায়গায় রয়েছে,যা এখনও পর্যন্ত সাধারণের নজরে আনা হয়নি।রহস্যে ঘেরা পুরীর জগন্নাথের মন্দির হল দেশের অন্যতম তথা বিশ্বের অন্যতম পবিত্র হিন্দু মন্দির।জগন্নাথ দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার সময় শ্রীকৃষ্ণের এই হৃদয়ই প্রতিষ্ঠা করা হয়।সাধারণত নিম কাঠ দিয়ে তৈরি জগন্নাথ দেবের মূর্তি গড়া হয় প্রতি ১২ বছর অন্তর। ২০১৫ সালে শেষ বার নব-কলেবর তৈরি করা হয়েছিল।সেই সময় সুরক্ষিত ব্রহ্ম পদার্থ স্থাপন করা হয়েছিল।পৌরাণিক যুগের এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত জগন্নাথদেব আসলে শ্রীকৃষ্ণেরই অবতার। প্রশ্ন হলো❔❔এই ব্রহ্ম পদার্থ কী?একটু কঠিন স্বরে কথা গুলো বলি.... শাস্ত্র অনুসারে,মহাভারতের যুদ্ধের প্রায় ৩৬ বছর পর শ্রীকৃষ্ণের মানব রূপ নিয়ে মৃত্যু হয়েছিল।মহাভারতের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ চরিত্রের বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।মহাকাব্যের মূল চরিত্র শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবদের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ফলাফলের ভবিষ্যত সব জানতেন।‼️⏸️‼️❔❔❔❔😇😇তবুও কেন তিনি তা লঙ্ঘন করার কোনও চেষ্টাই করলেন না,সেই নিয়ে কুরু-বংশীয় ধৃতরাষ্ট্র পত্নী,গান্ধারী'র মনে ছিল ক্ষোভ।জিজ্ঞাসা করলে সদুত্তর দেননি কৃষ্ণ কোনো দিনও।সন্তান'হারা গান্ধারী কৃষ্ণকে রেগে অভিশাপ দেন,যে ভাবে ভাইয়ে-ভাইয়ে লড়াই করে কুরু-বংশ শেষ হয়েছে,সেইভাবেই নিজেদের মধ্যে লড়াই করে যদু-বংশও ধ্বংস হয়ে যাবে।১০০ পুত্র ও ১ কন্যার জননী গান্ধারীর অভিশাপ ফলে যায় ৩৫ বছর পর।👁️👁️তবে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয় শ্রীকৃষ্ণের পুত্র সাম্বের হাত ধরে।একবার সপ্ত'ঋষি এসেছিলেন কৃষ্ণ ও বলরামের সঙ্গে দেখা করতে।সেই সময় সাম্ব তাঁর সঙ্গে মজার ছলে গর্ভবতী সেজে অস্থির করে তোলেন।তাঁর পেটে রাখা ছিল একটি লোহার পেরেক। সপ্ত'ঋষি গর্ভবতীর অবস্থা দেখে অলৌকিক শক্তি প্রয়োগ করে জানতে চান মহিলার গর্ভে সন্তান সুস্থ রয়েছেন কিনা।সাম্বের এমন কীর্তিতে ভীষণ রেগে যান ঋষিরা।অভিশাপ দেন,এই লোহার ধাতুই হবে যাদব বংশের ধ্বংসের কারণ।সপ্ত'ঋষির অভিশাপের কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কৃষ্ণ ও বলরাম। অভিশাপ কাটাতে সপ্ত'ঋষি নির্দেশ দেন,ওই লোহার ধাতু গুঁড়ো করে নদীর জলে ভাসিয়ে দিতে।কিন্তু ভাসিয়ে দেওয়ার সময় একটি বড় লোহার অংশ থেকে যায়।সেই অংশটি খেয়ে ফেলে একটি মাছ।নদীর জলে মাছ ধরতে গিয়ে ওই মাছ ধরে ফেলেন এক জরা।তিনি সেই লোহার খণ্ড দিয়ে একটি তীর বানান। যাদব বংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার শোকে একটি গাছের তলায় নিদ্রায় চলে যান শ্রীকৃষ্ণ।ঠিক সেই সময় ওই জরা কৃষ্ণের রক্ত'বর্ণ পা-কে হরিণ ভেবে বিষাক্ত তীর ছুঁরে মারেন।সেই তীরের মুখে লাগানো বিষের জ্বালায় প্রাণ ত্যাগ করেন শ্রীকৃষ্ণ।ঘটনার পরেও কৃষ্ণের দেহে প্রাণ ছিল।কিন্তু আদেশানুসারে,কৃষ্ণের দেহ দাহ করেন পাণ্ডবরা।আগুনে পুরো শরীর ভষ্ম হলেও হৃত্‍পিণ্ড জ্বলন্ত অবস্থায় জ্বলতে থাকে।সচল ছিল তখনও।সেইসময় আকাশবাণী হয়,এই হৃদয় হল ব্রহ্ম হৃদয়। আগুনে দেহ পুড়লেও এই হৃদয় কখনও পুড়ে ছাই হবে না।গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া উচিত।.....আমি এই অ্যাপস এ;আমারই সুপরিচিতার' কদিন আগে একটি পিনড পোস্ট দেখলাম,এই কর্ম ফল নিয়ে দেওয়া।ধৃতরাষ্ট্র থেকে নানান মুনি ঋষি দের কর্ম ফল।দেখুন....এই যে ট্রেন দুর্ঘটনা বা সম্প্রতি আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা ?? "মর্মান্তিক"‼️‼️😌‼️‼️কেনো ভারত সরকার বোয়িং কোম্পানী কে ব্যান করে না???কত বার এই সংস্থার দুর্বল কারিগরি যন্ত্রাংশ ও অপটু-কর্মীর অপারদর্ষিতার ভুমিকা প্রমাণিত আছে ??????ভুরিভুরি তার অতীত কাহানি,বাঁধিয়ে রাখার মতো সব‼️ঐ যে বলে ...সচেতন'রা শুনুন , ""ডাল মে কুছ কালা হে""‼️‼️😁😁😁 কই আমি তো এখানে বিনা কারণে ব্যান হই।আর সবার পোষ্ট ডিলেট করে দেওয়া হচ্ছে,এই অ্যাপস টার কারিগরি বিদ্যা সবথেকে খারাপ,খালি অকারণে ব্যান,লোক'কে খালি বলে তুমি টাকা দেও আমরা তোমাকে ভিউ বাড়িয়ে দেবো,দেখায় যদি ৫০ টা লাইক কিন্তু গুনলে শো হয়ে ৪০ টা,করো ৩ কে পোস্ট তো পরে থাকে মাত্র ৪ টে,অ্যাড এর ঘটায় ঝিমিয়ে আছে‼️আসলে হলো মুনাফা‼️‼️এ সরকারও মুনাফা বুঝতে ভারী ভালোবাসে😁😁😁আমজনতা উলখাগড়া .......নিশ্চই দুর্ভাগ্য।দুঃখজনক😌😌।কিন্তু সেই কর্ম ফল আর একের পাপে অন্যের ক্ষয়।খবরে ঘুড়েছে...এক নার্স(নাম না করে বলি),তিনি লন্ডনের নামি সংস্থার নার্সিং ছেড়ে ভারতের এক সরকারি হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে অপর একজনের পাতি বাংলায় চাকরি খেয়ে পাকা পাকি ভাবে ভারতে অবস্থান করতে আসছিলেন,তাহলে লন্ডনের নামি নার্স ??কত কোটির লেনদেন?।আমাদের সরকার টাই অদ্ভুত ভাবে অর্থের লিপসায় জর্জরিত।সেই, "ও দয়াল বিচার করো...."....বিচার আর নেই...২৬ হাজারের চাকরি ইতিহাস...‼️‼️😇‼️‼️আর.জি.কর.এর'ও তাই দশা হলো।পরবর্তীতে আমজনতা জ্বালি মেডিসিন কিনে খাচ্ছে,অক্সিজেন সিলিন্ডার দু-নিম্বোরি,আর আভায়া তো বিচারই পেলো না।ওই একের পাপে অন্যের দণ্ড গোছের আরকি।এদিকে আমাদের দেশ,আমার দেশ নামেই আর একজন নিজ দেশ ছেড়ে লন্ডনে পাকা পাকি ভাবে বসবাস করতে ছুটছিলেন ওই আমেদাবাদ লন্ডনের বিমানে।তো পাপ...!!! বড় বালাই... ............!!!....!!!....!!!!....যদু বংশের দ্বারকা(★পোস্ট গুলো আর নেই আমি পোস্ট দিয়েছিলাম)জলের নীচে চলে গেলে ওই হৃদয়ও একটি নরম লোহার টুকরোয় পরিণত হয়।একবার সমুদ্রে স্নান করার সময় রাজা ইন্দ্রদ্যুমে'র হাতে এসে পরে সেই লোহার টুকরো।স্বপ্নাদেশে শ্রীকৃষ্ণ নির্দেশ দেন,মন্দিরে কাঠের দেব-দেবীর মূর্তি তৈরি করে এই নরম লোহার অংশ ব্রহ্ম পদার্থ হিসেবে স্থাপন করতে।সেই থেকে পুরীর মন্দিরে জগন্নাথদেবের মূর্তির মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় প্রতিষ্ঠা করা হয় এখনও।ব্রহ্ম পদার্থই হল শ্রীকৃষ্ণের সচল হৃদয়।এই ব্রহ্ম পদার্থ এখনও পর্যন্ত কেউ দেখেননি,কেউ সরাসরি স্পর্শও করেননি।নব-কলেবরে ব্রহ্ম পদার্থ স্থাপন করেন বিশেষ পুরোহিতরা।এই ব্রহ্ম পদার্থ স্থাপন করার সময় মন্দির চত্বরের সব বৈদ্যুতিক সংযোগ বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়।পুলিশি কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই এই বিশেষ জিনিসটি বিগ্রহের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়।তবে এই ব্রহ্ম পদার্থ স্থানান্তর করার সময় মন্দিরের পুরোহিতরা চোখে কাপড় বেঁধে,হাতে গ্লাভস পরে থাকেন।বেশ কয়েক জন এই পদার্থ দেখেছেন,তাঁরা কেউই আর বেঁচে নেই।ভুলেও যদি এই ব্রহ্ম পদার্থের উপর নজর পরে,তাহলে তাঁর মৃত্যু অনিবার্য।যাঁরা ব্রহ্ম পদার্থ স্থানান্তর করেছেন,তাঁরা জানিয়েছেন,সেই বস্তুর মধ্যে প্রাণ রয়েছে, আর সেই বস্তুটি একটি নরম তুলতুলে।এমন ই রহস্যে ঘেরা এই মন্দির।বিশ্ব সেরা পুরীর মন্দির শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম। 🙏✳️🙏✳️🙏✳️🙏✳️🙏✳️🙏 জয় জগন্নাথ...‼️! আমি আশা করি ভগবান জগন্নাথের উপস্থিতি আপনার/আপনাদের আত্মাকে পবিত্র করবে এবং আপনাকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে ভরিয়ে দেবে।🙏জয় জগন্নাথ🙏 ভগবান জগন্নাথ,বলভদ্র এবং সুভদ্রার আশীর্বাদ আপনার সাফল্য এবং সমৃদ্ধির পথ আলোকিত করুক।যিনি এই লেখা পড়বেন তার মন পবিত্রতায় ভরে উঠবে। ‼️🙏‼️🙏‼️🙏‼️🙏‼️.....তোমারি নামে নয়ন মেলিনু পুণ্য প্রভাতে আজি,তোমারি নামে হৃদয় শতদল রাজি,তোমারি নামে নিবিড় তিমিরে ফূটিল কনক চাঁপা।তোমারি নামে উঠিল গগনে কিরণ বীণা বাজি।শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রা খুশি ও আনন্দময় হোক।‼️🙏‼️🙏‼️🙏‼️🙏‼️ #শুভেচ্ছা #🛕রথযাত্রার পবিত্র উৎসব ২০২৫ Status 🛕 #🛕শুভ রথযাত্রা ২০২৫ 🌷 #🛕জগন্নাথদেবের মন্দিরের অবিশ্বাষ্য় কাহিনী ২০২৫⭕ #🛕জগন্নাথদেবের মন্দিরের অবিশ্বাষ্য় কাহিনী ২০২৫⭕
Sandy
5.1K জন দেখলো
4 মাস আগে
😵মহাকাব্যের জামাই ষষ্ঠী😵 😇🤓😇🤓😇🤓😇🤓😇 জ্যৈষ্ঠ মাস এলেই বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের নতুন পালকটি যোগ হয়।আর তা হল জামাই ষষ্ঠী।জামাই আদর হোক বা আপ্যায়ন, সবকিছুর মূলে কিন্তু আমাদের ষষ্ঠী ঠাকুরটি। পুরাণ,মহাকাব্যের যুগে ষষ্ঠী তিথিতে ছিল কি শাশুড়ি'দের জামাই-বরণ‼️????কীভাবেই চালু হল এই জামাই ষষ্ঠী।জানলেও পড়ুন ভালো লাগবে....😇😇 জামাইষষ্ঠী নিয়ে বাঙালির আবেগ উৎসাহ চিরকালীন হয়েও সমকালীন।আঠারো উনিশ শতকে বাংলায় বাল্যবিবাহের ব্যাপক প্রচলন ছিল।ওই সামাজিক পরিস্থিতিতে জামাই অর্থাৎ কন্যার স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা বাবা-মায়ের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।আর তার থেকেই দেবী ষষ্ঠীর কাছে প্রার্থনা ও জামাইকে আপ্যায়নের পালা শুরু হয়। ইতিহাস ঘাঁটলে জামাই ষষ্ঠীর সূচনা কিন্তু "সুপ্রাচীন কাল" একথা বলাই যায়।মানব বৃহসূত্রের সম্ভাব্য সংকলন কাল খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ বা পঞ্চম শতকের'ও আগে।বৈদিক পদ্ধতিতে দেবী ষষ্ঠীর উপাসনা এই দেশে প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন।যদিও সময়ের নিরিখে এই পুজোর রীতিনীতি'তে অজস্র বদল এসেছে।কারণ,সুদূর অতীতে বৈদিক সংস্কৃতিতে ও ষষ্ঠী-কল্পে'র রীতি ছিল যা আজকের সময়ে নারীদের কাছে ষষ্ঠী-ব্রত। সংহিতা অংশে অগ্নি-জাতক দেবতা স্কন্দের উল্লেখ রয়েছে একাধিকবার।এখানে স্কন্দ-পত্নী ষষ্ঠীর উপাসনার বিধিও রয়েছে।দেবী ষষ্ঠীর উপাসনার বিধি পাওয়া যায় মানব গৃহসূত্র গ্রন্থে।দেবী ষষ্ঠীর কাছে সন্তান,ধন ধান্যের সমৃদ্ধি কামনায় উপাসনার কথা রয়েছে।ব্রহ্ম-বৈবর্ত পুরাণের, "প্রকৃতি" খণ্ডে তেতাল্লিশতম অধ্যায়ে নারায়ণ নারদ'কে দেবী ষষ্ঠীর পরিচয় দিয়ে বলেন—😵😵 “ষষ্ঠা ষষ্ঠাংশা প্রকৃত চ সা প্রকৃতের্যা চ সা ষষ্ঠী প্রকীত্তির্তা। বালকানামধিষ্ঠাত্রী বিষ্ণু মায়া চ বালাদা।। মাতৃকা সু চ বিখ্যাত দেবসেনা ভিদা চ যা। প্রাণাধিক প্রিয়া সাধ্বী স্কন্দভার্যা, চ সুব্রতা।। আয়ুঃ প্রদা চ বালানং ধাত্রী রক্ষাকারিণী। সততং শিশুপার্শ্বস্থা যোগেন সিদ্ধিযোগিনী।।“ ......অর্থাৎ বালক'গণের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। বালক'দায়িনী,বিষ্ণু মায়া প্রকৃতির ষষ্ঠকলা এই নিমিত্ত তিনি ষষ্ঠী নামে কীর্ত্তিতা।তিনি সুব্রতা।তিনি ষোড়শ মাতৃকার মধ্যে দেবসেনা নামে বিখ্যাত্যা।🙏তিনি মাতার ন্যায় সর্বদা বালক'গণের পরমায়ু বৃদ্ধি করেন।যোগে সিদ্ধি স্বরূপা,সেই দেবী নিরন্তর শিশু'গণের সঙ্গে অবস্থান করে রক্ষা করেন।🙏..... ব্রহ্ম-বৈবর্ত পুরাণের, "প্রকৃতি" খণ্ডে আরও একটি কাহিনির কথা আছে দেবী ষষ্ঠীকে ঘিরে..!!তা হল— রাজা প্রিয়ব্রতর মৃত পুত্র দেবী ষষ্ঠীর কৃপায় পুনর্জীবন লাভ করলে তিনি কৃতজ্ঞতা-বশত দেবীর পুজো শুরু করেন। আবার কাশীরাম দাসের মহাভারতের সভা'পর্বে নারদ লোকপাল'দের সভা বর্ণনা অংশে ষষ্ঠী দেবীর উল্লেখ আছে।সাবিত্রী, ভারতী,লক্ষ্মী,অদিতি,বিনতা,ভদ্রা,ষষ্ঠী, অরুন্ধতী,কন্দ্রু, নাগমাতা।।‼️‼️ দেবী ভাগবতের নবম স্কন্দের ছেচল্লিশ অধ্যায়ে দেবী ষষ্ঠীর কথা বর্ণিত হয়েছে। আবার বাণভট্ট রচিত কাদম্বরীতে'ও দেবীর প্রসঙ্গ আছে।....কাহিনী'টা এমন ....‼️উজ্জয়নী শহরের তারাপীড় নামক এক রাজা বাস করতেন।তাঁর রানির নাম ছিল বিলাসবতী।সন্তান কামনায় বহুবার ব্রত, মানত,পুজো,দান-ধ্যান করতেন।একদিন বিলাসবতী সন্তানসম্ভাবনা হলেন এবং সুন্দর একটি পুত্রও জন্মাল।এরপর রাজা মন্ত্রী পারিষদ-সহ আঁতুড়ঘরে গিয়ে দেখলেন ঘরটি সুন্দর করে সাজানো হয়েছে এবং এয়োরা, "'মা ষষ্ঠী'"র পুজোর কাজে ব্যস্ত। তাহলে দেখাই গেল,⁉️⁉️নারীদের ধর্মীয় কর্তব্যের অংশ হিসাবে এই পুজোর উৎপত্তি বহু যুগ আগে থেকেই।...!!!অতএব,দেবী ষষ্ঠী সন্তানের আয়ু বৃদ্ধির জন্য পুরাকাল থেকেই আমাদের হৃদয়ে অধিষ্ঠাতা।আরো ঘাটলে বহু কিছু পাওয়া যাবে....!!!!!‼️ যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতিতে 'মা ষষ্ঠী' গন্ধ-দেবের পালিকা মা এবং রক্ষয়ত্রী। দেবী ষষ্ঠীর কাহিনি গুলো পাওয়া যায় বাংলার মঙ্গলকাব্যে।"ষষ্ঠী-মঙ্গলে",সর্প-দেবীর সঙ্গে তার সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।তবে ধর্মীয় ভাবে এই দিনটি বেশি পালিত হয় "অরণ্যষষ্ঠী" হিসেবে।★★ নন্দনের রঘুনন্দ..!!⁉️রঘুনন্দনের তিথি তত্ত্ব থেকে জানা যায় জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা তিথিতে মহিলারা অরণ্যে গিয়ে হাতে পাখা নিয়ে স্কন্ধ ষষ্ঠীর পুজো করতেন।এই পুজো বনভূমি বা অরণ্যের ভেতরে সম্পন্ন করার নিয়ম।তাই এর নাম "অরণ্যষষ্ঠী"।এখন প্রশ্ন হল,ষষ্ঠীপুজোর সঙ্গে জামাই আদরের বিষয়টা সম্পৃক্ত হল কীভাবে?⁉️⁉️😁😁⁉️⁉️😁😁⁉️⁉️😁😁‼️‼️‼️‼️‼️ বৈদিক যুগ থেকেই বাংলায় জামাই ষষ্ঠী পালন করা রীতি।....বিবাহিত নারীর শ্বশুরবাড়িতে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা নিত্যনৈমিত্তিকের ব্যাপার।★★★এই পোষ্টে সেটাই আমি ভুলে দিয়ে ফেলেছি 😁😁😁😁বিষয়'টা কৌতুক প্রিয় হলেও এখনো সেই ট্র্যাডিশন অতিরঞ্জিতর কুশীলব বটে,😓😌😌😓আর নারীর যদি সন্তান না থাকে তাহলে তো কথাই নেই!সেই অত্যাচার সীমা ছাড়ায়। এছাড়াও একটা সময় পর্যন্ত বিবাহিত কন্যার পিতৃ গৃহে যাওয়া অথবা কন্যার মা-বাবার কন্যার শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত সেভাবে প্রচলিত ছিল না।সন্তান না থাকলে তো নয়ই।তাই দীর্ঘদিন কন্যাকে না দেখার কষ্ট দূর করতে, মেয়ে-জামাইকে আমন্ত্রণ জানানো হত। কতকটা জামাইকে তুষ্ট করতেই এই জামাই ষষ্ঠীর সূচনা।মানেটা জামাই ষষ্ঠীর জামাই বিষয়'টা ফাউ গোছের।😁😁😁😁😁ওই কারণে টিটকারী'ও খায় জামাইরা😁😁😁😁বিবাহিত মেয়ের সুখী জীবনের কামনায় ও জামাইকে পুত্র-স্নেহে মঙ্গল কামনায় মা ষষ্ঠীর পুজোপাঠ।সন্তান পুত্র হোক বা কন্যা,মা ষষ্ঠী মঙ্গল-কারক দেবী।সন্তানের মঙ্গল কামনায় মা ষষ্ঠীর পুজো করেন সব মায়ে'রাই।🙏🙏 ষষ্ঠী ঠাকুর হলেন বাংলার এক লৌকিক দেবী।মূলত প্রজননের দেবী।তাঁর কৃপায় নিঃসন্তান নারী সন্তান'বতী হয় শুধু তাই নয় তিনি সন্তানের রক্ষাকর্ত্রীও বটে।এমনটাই বিশ্বাস।তবে আমি আমার পোষ্টে কাকে টিটকারী মারলাম আপনারা বুদ্ধিমান/বুদ্ধিমতি বুঝতে হয়ত পারবেন😁😁😁😁😁😁😁😁বাংলার প্রতিটা পারর্বনে নিশ্চিত আর.জি.করের সেই নারী স্বর্গ থেকে অভিসম্পাত দেবেন তাকে,যিনি তাঁর জীবন কেড়ে নোয়ার মূল হোতা।আর তাঁর পিতা মাতার অশ্রু‼️ মিশ্রীর টুকরো ভাঙার মতো তার দর্প চূর্ণ করতেই থাকবে।যাক এ তো গেল দেবী ষষ্ঠীর কথা।এবার দেখে নেওয়া যাক ষষ্ঠী পুজোর অনুষঙ্গে জামাই ষষ্ঠীর কথায়,জামাইরা কোথায়‼️😇🤓😇‼️""মহাকাব্যের জামাইয়ের আদর-আপ্যায়ন"" কেমন ছিল?আমি কাব্য করে করে বলি ভালো লাগবে ...আমার লেখা গুলো নিশ্চই চলে যাবে একদিন,কিন্তু কিছু জ্ঞানী মানুষের অবচেতন মনে কিছু'টা হলেও রেস টানতে পারবে।থেকে যাবে ওটুকুই.....‼️‼️‼️‼️শুনুন...🤓🤓 মিথিলার রাজা জনক নিজের দুই রাজ-কন্যার বিবাহ দিলেন।★পূর্বে পোস্ট দিয়েছিলাম রামের সঙ্গে সীতার,লক্ষ্মণের সঙ্গে ঊর্মিলার আর সহোদর কুশ-ধ্বজের দুই কন্যা মাণ্ডবী আর শ্রুতকীর বিবাহ দিলেন ভরত আর শত্রুঘ্নের সঙ্গে। রাজকীয় শুভ পরিণয় তো হল।এবার দেখা যাক জামাইবরণ ও আদর আপ্যায়নের বহর। বহু'মূল্যের মণি'মাণিক্য-খচিত সোনার আসন বা বসার জায়গা।😇পরাক্রমশালী মহাবীর রামের জন্য পা ধোয়ার জল নিজ হাতে দিলেন জনক।হাতির দাঁতের কারুকার্য-মণ্ডিত টেবিলে সোনা ও রুপোর থালায় পছন্দের খাবার দেওয়া হল পরম যত্নে।.....★বর্তমানেও বেশ কয়েক বছর আগে দেশের বড় শিল্পপতি আম্বানি'দের পরিবারে কন্যা বিবাহে এমন জৌলুস চোখে পরেছে.!!যা আমাদের ঠকিয়ে নেট সাম্রাজ্যের টাকা।😁😁😁🤓 ...রাজমাতার তদারকিতে পরিবেশিত হল বৈচিত্র্যময়/বর্ণময় সুস্বাদু সব খাবার।😇 খাবারের সুঘ্রাণে চারিদিক আমোদিত।শুধু আহার'ই নয় সঙ্গে ছিল বিহারে'র ব্যবস্থা। পারিষদ'দের জন্যও ছিল ঢালাও আয়োজন। শুধু জামাই'রাই নয় কন্যাদের আশীর্বাদ-স্বরূপ জনক দিয়েছিলেন.... হাতি,ঘোড়া,রথ,পদাতিক সৈন্য,অগুন্তি সিল্ক ও সুতির বস্ত্র,হাতে-বোনা কার্পেট,সোনা ও রুপোর অভূতপূর্ব অলঙ্কার এবং শত শত সু-সজ্জিতা দাসী বৃন্দ।‼️‼️‼️😁😇😁🤓🤓🤓রামায়ণে মন্দোদরীর কথা আমরা সকলেই জানি।তিনি লঙ্কা রাজ্যের পাটরানি।জীবন'ভর পাটরানি'র আসন আর রাবণের অন্তরে তাঁর স্থান ছিল অক্ষুণ্ন।😁😁ময়-দানব ছিলেন রাবণের শ্বশুর ও মন্দোদরীর পিতা।দীর্ঘ, বলশালী লঙ্কাধি-পতি জামাই পেয়ে ময়ে'র আনন্দের সীমা ছিল না।নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জামাইবরণ করেছিলেন তিনি।যৌতুকে তিনি দিয়েছিলেন পছন্দের জামাইকে এক অত্যাশ্চর্য উপহার।নিজের তপোলব্ধ যোগশক্তি।‼️‼️শক্তিশেল!‼️‼️ রামায়ণ,মহাভারতে এরকম জামাই'বরণের অজস্র কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে।মহাভারতের পাণ্ডুর কথাই ধরা যাক।এমনিতে আমরা জানি যে পাণ্ডু অসুস্থ,দুর্বল একটু ক্ষীণকায়।(পাণ্ডু শব্দের অর্থই তাই)কিন্তু⚙️জামাই হিসেবে শ্বশুর'বাড়িতে তাঁর আদর ছিল অন্যরকম। সেখানে যথেষ্ট জনপ্রিয় তিনি।স্বয়ম্বর সভায় কন্যা নিজেই বরণ করেছিলেন পাণ্ডুকে।শ্বশুর কুন্তী-ভোজ অত্যন্ত আনন্দিত তাতে।রকমারি অলঙ্কার আর খাদ্য দ্রব্য দিয়ে আপ্যায়ন করেছিলেন জামাতার।....!!!‼️মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা'র পিতা মণিপুরে'র রাজা চিত্র-বাহন জামাই অর্জুনের খুব খাতির'দারি করেন। এমনিতেই ছোট ছোট পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা মনোরম মণিপুরের সমৃদ্ধি চোখে পরার মতো।সমস্ত প্রাসাদের থাম,খিলান,দরজা-জানলা সবেতেই সোনার জলের কারুকাজ।😇🤓😇🤓😇 আসবাবপত্র সব রূপোর।আর সেখানে জামাই অর্জুনের বরণ কতটা বর্ণময় হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।আর হবে নাই বা কেন পৃথিবীর সেরা ধনুর্ধর চিত্র-বাহনের জামাই...!! জমকালো আপ্যায়নই যথাযথ।‼️😁😁😁😁‼️ "মহাকাব্যে"র জামাই আদরের পাশাপাশি একটু আসি দেশজ রাজাদের জামাইষষ্ঠী নিয়ে মজার কথায়। 😁⁉️‼️😁রাজা কৃষ্ণচন্দ্রে'র পরিবারে'র জামাই ষষ্ঠীর আয়োজন থাকত কিংবদন্তির পর্যায়ে।এই পরিবারের'ই এক দণ্ড-মুণ্ডের কর্তার জামাতা ছিলেন বঁইচির(প:ব)রাজা ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়।তার একমাত্র কন্যার স্বামী।তাঁর ছিল পানের নেশা।নানা সুগন্ধি মশলা দিয়ে সাজা পান না খেলে তাঁর চলত না।পান তো অনেকেই খান।এতে আবার বিশেষত্ব কী!‼️‼️😁😁😇😇😇😁😁 বৈঁচির রাজা বলে কথা...!!‼️! তাঁর পানে তো বিশেষত্ব থাকবেই।তাঁর পানের খিলি গাঁথা হত সোনার লবঙ্গ দিয়ে।🤓😇🤓প্রত্যেকবার খাওয়ার পর সেই সোনার লবঙ্গ পান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিতেন তিনি।সেই লবঙ্গ ইতি-উতি ছড়িয়ে থাকত।কচি-কাঁচাদের দল অনেক সময় সেটা সংগ্রহ করত।জামাই'দের নিয়ে রয়েছে আরও একটি মজার গল্প।....‼️‼️‼️‼️😁😁😁😁😁😁বারোশো নব্বই বঙ্গাব্দ।তেলেনি পাড়ার পশ্চিম বঙ্গের কলকাতার কাছেই,বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে জমিদার বাড়ির গিন্নি কর্তার কাছে আবদার রাখলেন জামাই ষষ্ঠীতে এমন মিষ্টি তৈরি হবে যা দিয়ে জামাই ঠকানো যাবে।সব শুনে জমিদার মশাইয়ের কপালে ফুটল দুশ্চিন্তার রেখা। জামাইকে ঠকানো!‼️⁉️‼️😁😁😁তাও আবার মিষ্টি সহযোগে! ‼️‼️‼️😁😁😁কীভাবে সম্ভব! .....!!!এদিকে গিন্নির আবদার বলে কথা।সেটা তো রক্ষা করতেই হবে। অনেক চিন্তা করে তিনি ডাকলেন মিষ্টি প্রস্তুতকারক সূর্য মোদক'কে।খুলে বললেন পুরো বিষয়টা।অনেক ভেবে সূর্য মোদক ও তাঁর ছেলে সিদ্ধেশ্বর তৈরি করলেন তাল'শাঁসের আকারে বিশেষ ধরনের মিষ্টি। জামাই ষষ্ঠীর দিনে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বাড়ির গিন্নিরা দিলেন সাজিয়ে সেই মিষ্টি।বড় বড় সুন্দর দর্শন সেই মিষ্টি দেখে তো জামাই মহা'খুশি।মহানন্দে মিষ্টিতে কামড় দিতেই গোলাপের সুগন্ধী-মিশ্রিত রসে ভিজল শৌখিন পাঞ্জাবি।😇🤓😁😁😁🤓😇 জামাই লাজে রাঙা হল।আর গিন্নিরা হেসে কুটিপাটি।😁😁😁😁😁😁😁😁 ★★★এইভাবেই বাঙালির মিষ্টির ইতিহাসে জুড়ে গেল জামাই-ঠকানো মিষ্টি জলভরা সন্দেশের নাম।আজও যার জনপ্রিয়তা অমলিন।⭐⭐⭐⭐⭐ জামাই আদরের পাশাপাশি হাসি, ঠাট্টা, মশকরা মিলেমিশে জামাইবরণ,জামাইয়ের কল্যাণ কামনা নিয়ে আজও বহমান জামাইষষ্ঠী ধারা। *🤓পূর্ববঙ্গে জামাইষষ্ঠী মানেই কবজি ডুবিয়ে খাওয়া।উপহার দেওয়া-নেওয়া। *🤓পশ্চিমবঙ্গীয় রীতিতে জামাইষষ্ঠীর দিনে ষষ্ঠীপুজোই মূল প্রাধান্য।সেদিন নিরামিষ ভক্ষণ। *🤓পশ্চিমবঙ্গীয় ষষ্ঠীপুজো পালনের উপাচার হল সাতটি— সতেজ বাঁশপাতা,পাঁচ-সাতটি গোটা ফল,দই,হলুদ,তেল,একগুচ্ছ দূর্বাঘাস,ষষ্ঠীর ডোর বা সুতো।🙏🙏🙏 *🤓পুজো শেষ হলে মা সন্তান এবং জামাইদের হাতে ডোর বাঁধবেন,কপালে তেল-হলুদ,দইয়ের ফোঁটা,পাখার বাতাস দেবেন আশীর্বাদ-স্বরূপ।🙏🙏🙏 *🤓ঘটি'বাড়িতে পুজোর পর দই,খই,মিষ্টি, মুড়কি সহযোগে ফলার খাওয়ার চল।গোটা দিনটা নিরামিষ খাওয়ার চল। রীতি রেয়াজ নিয়ে ব্যাঙ্গ নয়,সমাজের মায়েরা'ই তো সব আজও...🙏🙏🙏‼️একথা তো আমি পূর্বের পোষ্টে বলেছি'ও...‼️এবার দেখুন এ'দেশটা যদি জামাই বাড়ী আর তার কর্তী যদি পদী পিসির বর্মী বাক্স হয় ..... হাল'টা কি হবে ...‼️জামাই ষষ্ঠী'তে আমি ভুলে মেয়ের শশুর বাড়ির হাল হাকীকত দিয়ে ফেলেছি😁😁😁😁😁😁😁DO ENJOY 😁😁😁😁😁😁😁Happy হোক Jamai Shasti 🥀⁉️⁉️🥀 #শুভেচ্ছা #💐শুভ জামাইষষ্ঠী ২০২৫🙏 #🙏জামাইষষ্ঠী Status 🙏 #🙏জামাইষষ্ঠী Status 🙏 #😎আমার প্রিয় ভিডিও স্ট্যাটাস ❤ #জামাই ষষ্ঠী
See other profiles for amazing content