অনুসরণ করুন
Mîßtï
@misti_creation_12
2,774
পোস্ট
8,286
ফলোয়ার্স
Mîßtï
586 জন দেখলো
18 ঘন্টা আগে
⚘️⚘️ #ভাইফোঁটা_ভ্রাতৃদ্বিতীয়া_যমদ্বিতীয়া⚘️⚘️ ⚘️হিন্দু সমাজে ভাই-বোনের পবিত্র সম্পর্কের প্রতীকী উৎসব হল ভাই-ফোঁটা, যাঁর সংস্কৃত নাম ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়া বা যম-দ্বিতীয়া৷ এই দিনটি পালিত হয় কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে৷ বোন ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে, আর ভাই বোনের সুরক্ষা ও মর্যাদা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন৷ ⚘️কেন চন্দনের ফোঁটা দেওয়া হয়: মনে করা হয়, চন্দনের ফোঁটা হল সূর্যের প্রতীক৷ জীবনের আলো এবং উষ্ণতা দানকারী সূর্য৷ ফোঁটাও তাই ধান, দূর্বা চালের অন্নও সূর্যনির্ভর জীবনের প্রতীক৷ যম যেমন মৃত্যু অন্ধকারের প্রতীক৷ সূর্য তেমন জীবনের প্রতীক৷ এভাব ভাই-ফোঁটা আসলে মৃত্যু অন্ধকার থেকে জীবনের আলোয় নিয়ে আসার এক প্রার্থনা৷ এইজন্যই ভাই-ফোঁটার সময় অনেক জায়গায় বোন ভাইকে নিমপাতা খাইয়ে বিপদ থেকে রক্ষার কামনা করেন৷ আর চন্দনের ফোঁটা দেন৷ ⚘️স্কন্দ পুরাণে ভাইফোঁটা অর্থাৎ ভাতৃদ্বিতীয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, কার্তিকে শুক্লা দ্বিতীয়ার দিন যমুনা তার ভাই যমকে অর্থাৎ যমরাজকে বাড়িতে পূজা করে সম্মান করেছিলেন এবং নিজ হাতে বিভিন্ন পদযুক্ত অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার তৈরি করে ভাইকে খাওয়ান। ভাইফোঁটা উপলক্ষে যমরাজ তার বোন যমুনাকে বর দিয়েছিলেন যে যম দ্বিতীয়ার দিন যে ভাই তার বোনের কাছ থেকে ফোঁটা ও তার বোনের তৈরি খাবার গ্রহন করবে তার অকালমৃত্যুর ভয় থাকবে না। ⚘️এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনে যে ভাই-বোনরা মথুরায় যমুনার বিশ্রাম ঘাটে স্নান করেন, তাদের অকালমৃত্যুর ভয় থাকে না। পুরাণ অনুসারে, এই দিনে করা যমরাজের পূজায় যমরাজ প্রসন্ন হন এবং কাঙ্ক্ষিত ফল প্রদান করেন। ⚘️কৃষ্ণলীলায় ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের উল্লেখ আছে। নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তার বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়। ⚘️যমুনার একটি স্থান কালীয়দহ নামে পরিচিত। কার্তিকমাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়ায় সকালবেলায় শ্রীমতী রাধারাণী সহ অন্যান্য গোপীরা স্নান করছিলেন। রাধারাণী গোপীদের কাছ থেকে শুনলেন সেদিন ভাইফোঁটা উৎসব। কৃষ্ণের জ্যাঠামশাই উপানন্দের কন্যা সুনন্দা সেদিন কৃষ্ণ ও বলরামকে সুন্দর করে সাজিয়ে তাদের ললাটে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে নানাবিধ মিষ্টান্নাদি ভোজন করিয়েছেন। কৃষ্ণ-বলরামও বোন সুনন্দাকে নতুন বস্ত্র ও অলংকারাদি দান করেছেন। একথা শুনে রাধারাণীও তাঁর দাদা শ্রীদামকে চন্দন ফোঁটা দিয়ে, মিষ্টান্নাদি ভোজন করিয়ে প্রণাম করলেন এবং শ্রীদাম বোন রাধাকে বস্ত্র অলংকার নিবেদন করলেন। এভাবে ব্রজের সমস্ত বোনেরা ভাইদের কপালে ফোঁটা দিতে লাগল। ⚘️ভবিষ্যপুরাণ অনুসারে - ⚘️ "কার্তিকে শুক্লপক্ষস্য দ্বিতীয়ায়াং যুধিষ্ঠির৷ যমো যমুনয়া পূর্বং ভোজিতঃ স্বগৃে তথা৷৷"⚘️ ⚘️যমরাজ যমুনার গৃহে গিয়ে তাঁর হাতে ভোজন করেন৷ যমুনা স্নেহভরে ভাইকে ফোঁটা দেন এবং মঙ্গল কামনা করেন৷ তাতে যম আর্শিবাদ দিয়েছিলেন, যে বোন এই দিনে ভাইকে ফোঁটা দিবে, তাঁর ভাই দীর্ঘজীবি হবে৷ সেই থেকেই এই তিথি পরিচিত হয় যম দ্বিতীয়া নামে৷ আর এই তিথিতেই ফোঁটা চালু হয়৷ ⚘️ভবিষ্যপুরাণে আরো বলা হয়েছে:- ⚘️"অস্যাং নিজগৃহে পার্থন ভোক্তব্যমতো বুধৈঃ৷ স্নেহেন ভগিনীহস্তাদ্ ভোক্তব্যং পুষ্টিবর্দ্ধনম্৷৷"⚘️ ⚘️এই তিথিতে ভাই নিজের গৃহে ভোজন না করে, বোনের হাতে ভালোবাসা ও স্নেহভরে তৈরী খাবার গ্রহণ করবেন৷ তেমনি ভাইও বোনকে অলঙ্কার, বস্ত্র ও ভোজনাদি দিয়ে আর্শিবাদ করবেন৷ এইভাবেই ভাই বোনের সম্পর্ক দৃঢ় হয়, দান এবং প্রতিদানের মাধ্যমে৷ (সংগৃহীত) 🙏🙏🙏#হরেকৃষ্ণ #😇আজকের Whatsappস্টেটাস 🙌
Mîßtï
1.8K জন দেখলো
1 দিন আগে
এই চিএটি এক অতুলনীয় ভক্তি ও নির্মল প্রেমের প্রতিচ্ছবি। -যেখানে শ্রীকৃষ্ণ সখা সুধাময়ের রূপে, তাঁর অতি প্রিয় বন্ধু সুধামার (শ্রীকৃষ্ণের শৈশব বন্ধু, যিনি পরে 'সুদামা' নামে পরিচিত) সঙ্গে প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসে আছেন। ছবির প্রতিটি রেখায়, প্রতিটি রঙে এবং সেই নিষ্কলুষ হাসিতে ফুটে উঠেছে এক অনন্ত আধ্যাত্মিক সত্য। - ভগবান ভক্তকে কেবল উপাসনার পাএ নয়, হৃদয়ের অঙ্গ করে নেন। ছবির ধর্মীয় তাৎপর্য (সাহিত্যিক ব্যাখ্যায়): ঘনশ্যাম শ্রীকৃষ্ণ গলা ভর্তি বেলি ফুলের মালা, হাতে মিষ্টান্ন, মুখে কোমল হাসি। পাশে বসা তাঁর বাল্য বন্ধু সুদামা- যাঁর চেহারায় জপ তুলসীর কন্ঠী, মুখে লাজুক শ্রদ্ধার ছায়া, হাতে বিনয়ের অর্ঘ্য। এই দৃশ্য যেন এক মহাকাব্যিক বাণীর প্রতিধ্বনি -- "ভক্তের সঙ্গে প্রভুর সম্পর্ক হয় আত্মার আত্মীয়তায়, সেখানে জাত-ধর্ম, ধন-সম্পদ বাহ্যিকতা মূল্যহীন।" ঘাসে বসে থাকা, মাটির কাছে থাকা, একসাথে লাড্ডু খাওয়া- এইসবই যেন এক ঐশ্বরিক শিক্ষা দেয় যে, ইশ্বর কেবল মন্দিরে নয় হৃদয়ের পবিএতায়ই আবির্ভূত হন। শ্রীকৃষ্ণ যখন বন্ধুর কাঁধে বাহু রাখেন, তখন তিনি নিজেই বলেন-- "যে হৃদয় ভক্তিতে পূর্ণ, সেখানেই আমি অনায়াসে বাস করি।" এই ছবিটি আমাদের শেখায়: ● ভক্তি হল আত্মার বিনিময়, নয় বাহ্যিক রীতি। ● সত্যিকারের প্রেমে সমানতা থাকে- প্রভু ও ভক্ত, ধনী ও দরিদ্র সকলের হৃদয় সমান। ● একটি ভাগ করা লাড্ডু যেমন বন্ধুত্বের গন্ধ বহন করে, তেমনি প্রেমের প্রসাদে পরিপূর্ণ হয় জীবনের উপাসনা। "ভক্ত আর প্রভুর মাঝে সম্পর্ক, হিসেবের নয় ভালোবাসার। বন্ধুত্ব এক নিমেষে ভগবান হয়ে ওঠেন আপনার, আর আপনি হয়ে যান তাঁর।" শ্রীকৃষ্ণ ও সুদামার এই চিএ আমাদের মনে করিয়ে দেয়-- ভক্তি কখনো ক্ষুদ্র হয় না, যদি তা আসে অন্তরের গভীর থেকে।। হরে কৃষ্ণ ❤️🙏😍 #😇আজকের Whatsappস্টেটাস 🙌 #🙏ভক্তি ভজন🎵 #🥰লাভ goals❤ #জয় শ্রী কৃষ্ণ #হরে কৃষ্ণ
See other profiles for amazing content