সম্পাদকীয়
'শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রকাশ করা যাবে না' - মহম্মদ ইউনুস
বাংলাদেশ থেকে কি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চলে যাচ্ছে? বাংলাদেশে কি জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে? মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্য থেকে কিন্তু সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ফাঁসির সাজা হয়েছে শেখ হাসিনার ৷ তিনি ভারতে থেকে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ৷ কিন্তু তাঁর বক্তব্যে দেশের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে, মত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যেন কোনওভাবে দেশের মানুষের কাছে না পৌঁছয় ৷ আর তাই বাংলাদেশের সংবাদপত্র বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় হাসিনার বক্তব্য ছাপা বা সম্প্রচার করা যাবে না, পরিষ্কার জানিয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন ৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতা-বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত শেখ হাসিনার ফাঁসির সাজা হয়েছে সোমবার ৷ এরপর বাংলাদেশের সমস্ত সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক সংবাদমাধ্যমকে এই কড়া নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন ৷ তিনি জাতির জনক মুজিব কন্যা। বহু বছর তিনি ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা কি জরুরি অবস্থা ঘোষণার নামান্তর নয়?
এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সোশাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন ৷ তাতে তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (NCSA) অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে, দেশের বেশকিছু ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পলাতক ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করছে ৷ ঠিক এই কারণে গত সপ্তাহে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়েছিল ৷ ইউনূসের আরও দাবি, এমতাবস্থায় বাংলাদেশের আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করায় দেশের সার্বিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা (সোশ্যাল হারমনি) নষ্ট হচ্ছে ৷ পাশাপাশি এসব বক্তব্য (কল ফর ভায়োলেন্স) সরাসরি হিংসা ছড়াতে পারে বলেও উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে ৷ প্রশ্ন উঠেছে, গণতন্ত্রের এটা কি পরিপন্থী নয়? তাহলে কি ইউনুস ভয় পেয়েছেন?
#international

