ShareChat
click to see wallet page
""টান টান উত্তেজনার সেই ৪৮ মিনিটের পুজো"" 🙏🕉️🙏🕉️🙏🕉️🙏🕉️🙏 আসলে মায়ের পুজো চলছে ...আমি আগের পোস্ট এ লিখেছি।এ যেনো গতিময়,আবেগ ঘন।শিশু থেকে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের মনের মধ্যেই একটা আনন্দ অথচ,তাতে নিজে থেকে ভক্তি মিশে থাকে,সারা বছরের থেকে আলাদা।রামায়ণ মহাভারতেও কিছু কিছু বিষয় লিখতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে,কবিগুরু এ বিষয়ে আলোকপাত করেছিলেন ....রামায়ণে আছে এভাবে খানিকটা বলি,বোধনের মাধ্যমে মা জাগরিত হলেন,তাঁদের ঘুম ৬ মাস মানে এক রাত।কৈলাস থেকে আগত,সর্বদা করজোড়ে পূজা প্রয়োজন।শ্রী রামের অনুযোগ রাবণের প্রতি শুনলেন। শুক্লা-সপ্তমী থেকে মহা-নবমী অবধি বিশেষ পুজো চলতে লাগল।সপ্তমীর দিন দেবী স্বয়ং রামের ধনুঃশ্বরে প্রবেশ করলেন।অষ্টমীতে রামের বাণে আশ্রয় নিলেন।অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে দশানন রাবণের মস্তক পুনঃ পুনঃ ছেদন করলেন রামচন্দ্র।....‼️ দেবী দুর্গা'ও এই দুই তিথির মিলন-ক্ষণেই আবির্ভূতা হন দেবী চামুন্ডা রূপে।চন্ড এবং মুন্ড এই দুই উগ্রমূর্ত্তি ভয়ানক অসুরকে বধ করেছিলেন এই সন্ধিক্ষণে।আশ্বিন মাসে রামচন্দ্রের অকালবোধন এবং অপ্রতিরোধ্য রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য যে দুর্গাপুজোর উল্লেখ পাওয়া যায় কৃত্তিবাসের রামায়ণে সেখানেও দেখি রামচন্দ্র সন্ধিপূজা সমাপন কালে দেবীর চরণে একশো আট পদ্ম নিবেদন করার আশায় হনুমানকে দেবীদহ(মনোস সরোবর)থেকে একশো আটটি পদ্মফুল তুলে আনতে বলেন।হনুমান একশো সাতটি পদ্ম পেলেন,এটা ভুল ছিল না।হমুমানও তো জ্ঞানী,লঙ্কা জয়ে তাঁর বুদ্ধির দৌড় কম নয়।দেবীদহে আর পদ্মই ছিলনা।★ময়ের মন পেতে রামকে কম কিন্তু বেগ পেতে হয়নি,ময়ের ছল চতুরির যথেষ্ট পরিচয় ছিল।এবার প্রশ্ন কেন দেবীদহে একটি পদ্ম কম ছিল।তার কারণ স্বরূপ এটাই,দীর্ঘদিন অসুর নিধন যজ্ঞে মা দুর্গার ক্ষত বিক্ষত দেহের অসহ্য জ্বালা দেখে মহাদেব কাতর হলেন।মায়ের সারা শরীরে একশো আটটি স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল।মহাদেব তাঁকে দেবীদহে স্নান করতে বললেন সেই জ্বালা জুড়ানোর জন্য।দেবীদহে মায়ের অবতরণে একশো সাতটি ক্ষত থেকে সৃষ্টি হয়েছিল একশো সাতটি পদ্মের।মহাদেব দুর্গার এই জ্বালা সহ্য করতে না পারায় তাঁর চোখ থেকে এক ফোঁটা অশ্রু নিক্ষিপ্ত হল মায়ের একশো আটতম ক্ষতের ওপর।দেবীদহে স্নানকালে সেই অশ্রুসিক্ত ক্ষতটির থেকে যে পদ্মটি জন্ম নিয়েছিল সেটি মা নিজে হরণ করেছিলেন।🙄😁🙄কারণ স্বামীর অশ্রুসিক্ত পদ্মফুলটি কেমন করে তিনি চরণে নেবেন।আবার কৃত্তিবাসের রামায়নে পাই রাবণ নিধন যজ্ঞের প্রাক্কালে রামচন্দ্র বলছেন....‼️‼️‼️ #যুগল নয়ন মোর ফুল্ল নীলোত্পল, সংকল্প করিব পূর্ণ বুঝিয়ে সকল# ব্যাখ্যা স্বরূপ বলি.... রাম ধনুর্বাণ নিয়ে যখন নিজের নীলোত্পল সদৃশ একটি চক্ষু উত্পাটন করতে উদ্যত তখন দেবী রামচন্দ্রের হাত ধরে তাঁকে নিবৃত্ত করে বলেন.....!!!! "“অকালবোধনে পূজা কৈলে তুমি,দশভুজা বিধি মতে করিলা বিন্যাস। লোকে জানাবার জন্য আমারে করিতে ধন্য অবনীতে করিলে প্রকাশ ।। রাবণে ছাড়িনু আমি,বিনাশ করহ তুমি এত বলি হৈলা অন্তর্ধান ”" তাহলে কি ময়ের স্বতস্ফূর্ততা ছিলনা রাবণ বধে???‼️‼️‼️★★★এ প্রশ্ন আমার,আজও কি তাই এত নারী নির্যাতন?? এত পাপিষ্ঠরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বেমালুম..!!??‼️তাই বোধয় রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে স্বয়ং বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র ও যথার্থ সময় শ্রী যুক্ত মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় কে দিয়ে মহালয়ায় গাইয়েছিলেন .... ❔❔❔❔❔ ...!!!!তব অচিন্ত্য রূপ-চরিত-মহিমা, নব শোভা,নব ধ্যান রূপায়িত প্রতিমা, বিকশিল জ্যোতি প্রীতি মঙ্গল বরণে। তুমি সাধন ধন ব্রহ্ম বোধন সাধনে।। তব প্রেম-নয়ন ভাতি নিখিল তারণী কনক-কান্তি ঝরিছে কান্ত বদনে।। হে মহালক্ষ্মী জননী গৌরী শুভদা, জয় সংগীত ধ্বনিছে তোমারই ভুবনে।। ‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️ কি জানি হয়ত....!!!তাই দুর্গা পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষণ হল এই সন্ধিপুজো।অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির শুরুর ২৪ মিনিট....এই মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যেই  অনুষ্ঠিত হয়।খুব গুরুত্ব পূর্ণ হলো #"সময়"#, টান টান এই সময়ের মধ্যেই শেষ করতেই হবে। মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধের সময় দেবী দুর্গার পিছন দিক থেকে আক্রমণ করেছিল দুই ভয়ানক অসুর চন্ড ও মুন্ড।দেবী তখন এক অদ্ভূত রূপ ধারণ করেন।কেশরাজিকে মাথার ওপরে সু-উচ্চ কবরীতে বেঁধে নিয়ে, কপালে প্রজ্জ্বলিত অর্ধ-চন্দ্রাকৃতি টিপ ও তিলক এঁকে, গলায় বিশাল মালা ধারণ করে,কানে সোনার কুন্ডল ও হলুদরঙা শাড়িতে নিজেকে সজ্জিত করেন।তাঁর রক্তচক্ষু,লাল জিহ্বা,নীলাভ মুখমন্ডল  এবং ত্রিনয়ন থেকে অগ্নি বর্ষণ করতে থাকেন।ঢাল ও খড়্গ নিয়ে চন্ড ও মুন্ডকে বধ করেছিলেন দেবী এই সন্ধি-পুজোর মাহেন্দ্রক্ষণে। ৪৮ মিনিট।। ‼️‼️‼️🔱☸️🔱☸️🔱তবে সন্ধিপূজার এই মাহেন্দ্রক্ষণে কেউ বলি দেন।কেউ সিঁদুর সিক্ত একমুঠো মাসকলাই বলি দেন।সব কিছুই প্রতিকী কিন্তু। সর্বকালের সর্বক্ষণের দুষ্টের দমন হয় দেবীর দ্বারা।রক্ত-বীজ অসুর কুল বিনষ্ট হয়।ঢাকের বাদ্যি বেজে ওঠে যুদ্ধ-জয়ের ভেরীর মত।একশো আট প্রদীপের আলোক-মালায় উদ্ভাসিত হয় ভারতবর্ষের আনাচকানাচ।উত্তিষ্ঠত ভারতবাসীর জাগ্রত মননে দুষ্কৃতের বিনাশিনী এবং সাধুদের পরিত্রাণ কারী মা দুর্গা কান্ডারী হয়ে প্রতিবছর অবতীর্ণ হন মর্ত্যলোকে । সংস্কৃত মন্ত্রের উচ্চারণে মুখরিত হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস।শঙ্খধ্বনি,উলুধ্বনি,ঢাকের বাদ্যি,ঘন্টা,পটকা,দামামা সব মিলিয়ে শব্দের স্রোত যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায় চারপাশ। মন্ত্রোচ্চারণ আর ১০৮ প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে দেবী দুর্গার ঘামতেল মাখা মুখমন্ডল।অষ্টমীর বিদায় আর নবমীর আগমনে এই সন্ধিপুজো আমরাও ভক্তিপূর্ণ আনন্দিত হই কিন্তু একটু হলেও নবমীর সুর বেজে যায়,ওটা কিন্তু মন খারাপেরই পালা। সকলে মিলে আনন্দ করুন পরিবার প্রিয়জনের সাথে।এ সময়টা খুশি থাকুন সকলেই।আমার আন্তরিক শুভ কামনা রইলো। 🙏জয় মা দুর্গে দুর্গতিনাশিনী🙏 🔱☸️শুভ মহাষ্টমী☸️🔱 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏 NB.এ লেখার দায়িত্বভার নিজস্ব 🌸🌸🌸 #শুভেচ্ছা #🔱দুর্গাপুজোর মহাঅষ্টমীর স্ট্যাটাস 🪷 #🪷 শুভ শারদীয়া ২০২৫🔱 #🙏জয় মা দুর্গা🙏 #🙂ভক্তি😊
শুভেচ্ছা - ShareChat
01:59

More like this