ShareChat
click to see wallet page
⚜️""বোধদয়ের অন্তরালে....""⚜️ 💮☸️🔱💮☸️🔱💮☸️🔱💮 আজ তো ষষ্ঠী।এর পরই তো সকলে ব্যস্ত হয়ে যাবেন আরও !!!‼️পুজোর কেনা কাটার রেশ এখনো শেষ যেনো নয়।আমার তো ওই পঞ্চমী আর আজ,যা কিছু সারা বছরে এই কটা দিন। এ উৎসব বাঙালির আবেগ ঠিক কিন্তু শুধু তাই নয়‼️‼️বিশ্বের কোল জুড়ে রয়েছে,বিদেশীরাও কেনা কাটা করে,সমগ্র ধর্মের মানুষের'ই একটা আবেগ এ যেনো নস্টালজিয়া... এ বিষয়'টা পরের পোস্টে লিখব।পোস্ট ৬ মাস তো থাকবে পুজোর আনন্দের মাঝে না হলেও পড়বেন আশাকরি ভালো লাগবে।আজ আমি একটু গল্পের ছলে বলি হালকা শব্দে কারণ এই কাহিনী গুলো পূরাণে ভীষণ সম্পৃত্য জটিল শব্দে ভরা। ওভাবে ভালো লাগবে না,তারচেয়ে সরলীকরণ করে বলি..... শ্রীরামচন্দ্রের অকাল বোধনের ফলেই শরৎকালে দুর্গাপুজোর সূচনা।একথা সকলেই প্রায় জানে!কিন্তু এই অকাল বোধনেরই কত অজানা কাহিনি ছড়িয়ে আছে,আমরা তার খোঁজ রাখি না।যার মধ্যে অন্যতম হল,রাবণ'ই রামচন্দ্রের পুজোয় পৌরোহিত্য করেছিলেন!এটাই সত্য। না না।...❕❕বাল্মীকির রামায়ণে রামচন্দ্রের এই অকাল বোধন বা পুজোর উল্লেখ নেই।তবে কৃত্তিবাস ওঝা সবিস্তারে লিখেছেন অকাল বোধনের কথা।এছাড়া দেবী ভাগবত পুরাণ ও কালিকা পুরাণেও রয়েছে এর উল্লেখ।তাছাড়া পুঁথি থেকে পুঁথিতে ভাষান্তর,নতুন ঘটনার সংযোজন তো ছিলই।তারপর লোকায়ত চর্চায় মিশে যায় নানা কাহিনি। দেবীর অকাল বোধনে রামের পুরোহিত ছিলেন স্বয়ং রাবণ! ‼️‼️‼️তাহলে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে নিজেই এ কাজ করেছিলেন রাক্ষস রাজ?⁉️❔❕❕❕❕আসলে রাবণও কম পন্ডিত ছিলেন না,বুদ্ধির চূড়ান্ত শীর্ষে।  দেবীর বরপ্রাপ্ত রামের পক্ষে রাবণকে বধ করা ছিল কেবলই সময়ের অপেক্ষা।তাহলে কি,মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও দেবীর অকাল বোধনে রামের পুরোহিত ছিলেন স্বয়ং রাবণ!⁉️⁉️⁉️কিন্তু রাবণ কেন রামের অকাল বোধনের পুরোহিত হলেন?তিনি তো জানতেনই রামচন্দ্র তাঁকে বধ করে সীতাকে উদ্ধার করতে চান।নিজেই নিজের মৃত্যুকে নিশ্চিত করতে কেন চাইলেন রাক্ষস রাজ? ★এ ভাবনা গুলো আমারও হয়েছিল কিন্তু বেশ কিছু পড়ে,বর্তমান সময়ের কলি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেখেছি,এই ২১ শতকের রাজনৈতিক অভিসন্ধির পরম্পরা আর পারিবারিক অস্থিরতা,সেই পৌরাণিক যুগেই রচিত হয়ে গিয়েছিল।বর্তমানের রাজনৈতিক দল গুলো সম্মন্ধে সকলেই কম বেশি বোঝেন।আসলে আজকের ফাঁকা রাজনীতির কৌশল সেই পৌরাণিক যুগেই রচিত।তবে ভাবনার অন্তরালে থেকে যায়,রাবণ কী করে ব্রাহ্মণ হলেন?আসলে রাবণের বাবা বিশ্রবা মুনি ছিলেন ব্রাহ্মণ।তাই রাক্ষসী কৈকসীর পুত্র হলেও রাবণ ব্রাহ্মণ।এখানেই শেষ নয়, শাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন তিনি।সংস্কৃতজ্ঞ,সুপণ্ডিত এবং মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ত্রিসন্ধ্যা গায়ত্রী করা রাবণকে তাই একজন উচ্চশ্রেণীয় ব্রাহ্মণ হিসেবেই ধরা হত।কেবল রাবণই নন, অহিরাবণ এবং মহিরাবণের মতো রাবণ বংশীয় অন্যদের সম্পর্কেও বলা হয়,যে তাঁরা রীতিমতো সাধক ছিলেন। বর্তমানে তো ওই সব মানার বলাই নেই বিশেষ করে বারোয়ারী পুজো মণ্ডপে।একবার সল্টলেকে বিজেপির দুর্গাপুজোয় মহিলা পুরোহিত হয়েছিলেন।ওই শুনে নাড্ডা-শাহ রা এসে ছিলেন দিল্লি থেকে উড়ে। যাই হোক,রাম-রাবণের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে যখন একে একে লঙ্কার বড় বড় বীররা ধরাশায়ী,তখন রাবণ মা দুর্গার স্তব পড়তে লাগলেন।দুর্গা কালীরূপে রাবণকে অভয় দিলেন।মা কালীর কোলে আশ্রিত রাবণ যুদ্ধে অপরাজেয় হয়ে উঠতে লাগলেন।তাহলে ★খেয়াল করে দেখবেন সকলে মায়ের'ই তো আর এক রূপ ⁉️ বর্তমানেও দেখা যায় কোনো মা তাঁর বড় ছেলেকে বেশি দেখেন ফলে ভবিষ্যতে সম্পত্তি গত বিবাদ লেগে আছে,সেই মা তখন স্বর্গে⁉️ বাস্তব সত্য'টা বললাম মনে কিছু করবেন না ।.....‼️‼️‼️‼️দেখুন ‼️‼️এই পরিস্থিতিতে দুর্গাকে তুষ্ট করতে অকালেই (বসন্তকালের বদলে শরৎকালে)তাঁর পুজো করতে মনস্থ করলেন রাম।কিন্তু সেই পুজোয় কে করবেন পৌরোহিত্য?রামের অকাল বোধনের পুরোহিত হিসেবে রাবণের নাম উত্থাপন করেন স্বয়ং প্রজাপতি ব্রহ্মা।ভাবুন একবার⁉️⁉️,মেলান বর্তমান কে❕❕❕‼️তিনিই পরামর্শ দেন,”তোমার এই পুজোর উপযুক্ত পুরোহিত হতে পারেন রাবণই।” অগত্যা রাক্ষস'রাজ রাবণকেই পৌরোহিত্যের প্রস্তাব দেন রঘুনন্দন।আর রাবণও রাজি হয়ে যান।অর্থাৎ যা হয় হোক সকলে মায়ের'ই সন্তান..‼️👁️🤖👁️আজ আভয়া বিচার পেলো না শুধুমাত্র এই রাজনীতির কারণে বোধনের মন্ত্র বলার সময় রাবণ উচ্চারণ করেন, ”রাবণস্য বধার্থায়…” অর্থাৎ নিজের মৃত্যুর জন্য পুজোয় নিজেই পৌরোহিত্য করলেন,সংকল্প করলেন তিনি। আসলে রাবণ জানতেন,রাক্ষস বংশের উদ্ধারের জন্য রামের হাতেই তাঁর বধ হওয়া প্রয়োজন।আজও তাই শত শত নারী রাক্ষস ঘুরে বেড়াচ্ছে।আর সেই কারণেই এই পুজোয় পৌরোহিত্য করতে তাঁর রাজি হওয়া।সেই মনে পরে আড়াল করতে পুলিশ কমিশনার গোয়েল টাকে উচু পোষ্টে প্রমোশন করানো আর আর.জি.করের প্রিন্সিপাল টাকে অন্য মেডিকেল কলেজ এ বদলি করা,শুধু তাই নয় তিনি পুলিশ কর্তাকে দিয়ে এক কারি টাকা অভয়ার পিতা মাতাকে ঘুষ দিতে পাঠিয়েছিলেন।মমতায় ভরপুর মা মমতা । কি ছিল রাবণের মনে⁉️⁉️⁉️❕❕ সীতাহরণের সময়'ই কি রামের হাতে বধ হওয়ার আশঙ্খা কাজ করেছিল রাবণের মনে? তাই নতজানু ❕❕❔কিন্তু দেখা গেল,রাবণ যতই পৌরোহিত্য করুন,যুদ্ধে তিনি অপরাজেয়।‼️❕❕রাম যতবার মুণ্ডচ্ছেদ করেন ততবার সেই ছিন্ন মাথা জোড়া লেগে যায় দেবীর আশীর্বাদে। বাস্তব মেলাবেন ......❕কিন্তু শ্রীরাম তো রাম'ই,সেই শ্রীকৃষ্ণ এসে যায়...অর্জুন'কে দেওয়া উপদেশ এসে পরে যেনো....সৎ ব্যক্তিরও অধমের সাথে কুট বুদ্ধি প্রয়োগ জরুরি ❕এই পরিস্থিতিতে রাম বুঝতে পারলেন চণ্ডী অশুদ্ধ করতে হবে।আর উপায় নেই।এই ভার পরল হনুমানের উপর।মাছির রূপ ধরে পবন পুত্র গিয়ে পরে চণ্ডীর উপরে।ঢাকা পরল একটি অক্ষর।ফলে মন্ত্র পড়তে গিয়ে ভুল করলেন রাবণ।তিনি ওই একটি অক্ষর উচ্চারণ না করায় চণ্ডী হল অশুদ্ধ।‼️‼️চণ্ডী অশুদ্ধ হওয়ায় ....দেবী হলেন ক্ষুদ্ধ।...❕❕❕####@তবে এই কাহিনি কিন্তু কৃত্তিবাসী রামায়ণে আলাদা।পড়ে দেখেছি...?....সেখানে বলা আছে,রাবণ রামের পুজোর কথা জানতে পেরে শঙ্কিত। তাই দেবীর কৃপা পেতে তিনি ডাক পাঠালেন দেবগুরু বৃহস্পতিকে।কিন্তু রাত্রিকালে চণ্ডীপাঠ নিষিদ্ধ।আর তাই বৃহস্পতি বেঁকে বসলেন। বিবাদ বাঁধলো ....❕কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাবণের রক্তচক্ষু দেখে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বৃহস্পতি শুরু করলেন পাঠ।আর তখনই সেখানে হাজির হলেন হনুমান।মাছির রূপ ধারণ করে।....‘যথা বৃহস্পতি আছে, উপনীত তাঁর কাছে,/ একমনে করে চণ্ডীপাঠ ।।/ মক্ষিকার রূপ ধরে, চাটিলেন দ্বি অক্ষরে,/ দেখিতে না পান বৃহস্পতি ।/ অভ্যাস আছিল তায়, পড়িল অবহেলায়,/ হনুমান সচিন্তিত অতি ।।’ স্বাভাবিক ভাবেই চণ্ডীপাঠে ত্রুটি হওয়ায় দেবী ক্রুদ্ধ হলেন।এদিকে রাবণও পালটা ক্রোধ দেখিয়ে বললেন,যেহেতু দেবী তাঁর শত্রুর পক্ষ নিয়েছেন,তাই দেবীও এখন তাঁর শত্রু।এমনই রাক্ষস রাজের অহং।.......‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️⁉️❔দেখলেন ??? এই লোককেই কালী মাতা কোলে করে রেখেছিলেন ??? হয় না ? বাস্তবে হাজার হাজার পরিবার আছে এমনই,কলি যুগের অনেক মা ও কিঞ্চিত অমনই।আসলে মহাজ্ঞানী হলেও রাবণ শেষ পর্যন্ত ছিলেন রাক্ষস--গুণসম্পন্ন,দাম্ভিক।সাধে কী বলেছে ‘অতি দর্পে হত লঙ্কা…’ ফলে দেবীর কৃপা আর রইল না রাবণের উপরে।প্রশস্ত হল তাঁর বধের পথ।এর সঙ্গেই এসে পরে,মানস সরোবর থেকে আনা ১০৮টি নীলপদ্মের সেই কাহিনি।হনুমানের এনে দেওয়া পদ্মগুলি দেবীর উদ্দেশে অর্পণ করতে গিয়ে রামের নজরে পড়ল একটি পদ্ম কম।তখন তিনি নিজের নীলপদ্মের মতো চোখ দেবীকে নিবেদন করতে চাইলেন।এরপর? কৃত্তিবাস বলছেন, ”চক্ষু উৎপাটিতে রাম বসিলা সাক্ষাতে।/ হেনকালে কাত্যায়নী ধরিলেন হাতে।।/ কর কি কর কি প্রভু জগৎ গোঁসাই।/ পূর্ণ তোমার সংকল্প চক্ষু নাহি চাই।।” এরপর দেবীর বরপ্রাপ্ত রামের পক্ষে রাবণকে বধ করা ছিল অত্যন্ত সহজ।বর্তমানেও দেখা যায় মায়ের বড় ছেলে বিদেশে ,হুকুম বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে,আর ছোট ছেলে কোনো কিছু না পেয়েও মা কে নিজ অর্থে নিজ গৃহে যত্নে মগ্ন সামর্থ্য না থাকলেও।বসন্তকালের বদলে শরৎকালে দেবীর সেই পুজোই আজকের দুর্গাপুজোর কাহিনি।যা বাল্মীকি রামায়ণে নেই।পরে সংযোজিত হয়েছে।আবার অকাল বোধনে রাবণের পৌরোহিত্যের কাহিনিও একই ভাবে ঢুকে পরেছে কোনও কোনও রামায়ণের কাহিনিতে। আসলে রামায়ণের নানা সংস্করণ ছড়িয়ে রয়েছে।এই বিভিন্ন সংস্করণ গুলির কথা ভাবতে বসলে সত্যিই অবাক হতে হয়।চেনা কাহিনি বদলে বদলে গিয়েছে ভিন্ন ভাষা,ভিন্ন সংস্কৃতির আঁচে!রামায়ণ-মহাভারতের কথা বলতে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘এত বড়ো বৃহৎ দুইটি গ্রন্থ,আমাদের সমস্ত ভারতবর্ষ-জোড়া দুইটি কাব্য,তাহাদের নিজের রচয়িতা কবিদের নাম হারাইয়া বসিয়া আছে— কবি আপন কাব্যের এতই অন্তরালে পড়িয়া গেছে।’ এভাবেই মহাকাব্য দেশের ভিন্ন সংস্কৃতিকে নিজের মধ্যে ধারণ করে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। এখন প্রশ্ন হলো আমরা মায়ের কাছে কি চাইব?????⁉️‼️ মা এসেছেন।আনন্দদায়িনী ময়ের আশীর্বাদ আমাদের সকলেরই প্রয়োজন।তাঁর কাছে আমি যা চাই আমার ভিডিও পোস্টেই চেয়েছি।আসুন দেখুন আশাকরি সহমত হবেন। আবদার এই টুকুই যেন তিনি আমাদের সারা বছর খুশি ,আর সুস্থতা বজয় রাখেন। তাঁকে সহস্র কোটি প্রণাম।🙏🙏🙏🙏 সকলে পুজোর শুভেচ্ছা নেবেন। অনেক অনেক শারদীয় অভিনন্দন রইলো। ##NB.. উক্ত লেখার সম্পূর্ণ দায়ভার নিজস্ব 💮💮💮💮💮 #শুভেচ্ছা #🔱শুভ ষষ্ঠী২০২৫🪔 #🙂ভক্তি😊 #🌷সিদ্ধিদাতা গণেশ🐘 #🙏জয় মা দুর্গা🙏
শুভেচ্ছা - ShareChat
01:58

More like this