ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে ইজরাইলের পর এবার রাজি হামাস
যদি সত্যি দু'পক্ষ যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয় তাহলে সেটা হবে একটা বড়ো কাজ। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ বন্ধ হলেই বিশ্ব থেকে যুদ্ধ অনেকটাই বিদায় নেবে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইজরায়েলে হামলা করেছিল হামাস। এরপরই প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে তেল আভিভ। হামাসের বিরুদ্ধে সেই যুদ্ধে প্রাণ গিয়েছে শিশু-নারী-সহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষের। পাশাপাশি দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে জীবিতদেরও প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে গিয়েছে ধ্বংসস্তূপ হয়ে ওঠা গাজায়। এবার কি থামবে সেই সংঘাত? পরিস্থিতি সেদিকেই এগিয়ে গিয়েছে। গাজার যুদ্ধ থামাতে ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইজরায়েল তাতে রাজি হয়ে গেলেও হামাস নীরবই ছিল। কিন্তু শুক্রবার তাদের চরম সময়সীমা বেঁধে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হুঁশিয়ারি দেন, রবিবার ৬টার মধ্যেই শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে জঙ্গি গোষ্ঠীকে। না হলে নরক নেমে আসবে। অবশেষে হামাস জানিয়ে দিল তারাও শান্তি প্রস্তাবে রাজি। সমস্ত ইজারায়েলি পণবন্দি এবং মৃত পণবন্দিদের দেহ ফেরাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। ফলে দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতশেষে গাজায় যুদ্ধের সমাপ্তি এখন সময়ের অপেক্ষা। এমনটা বলা যেতেই পারে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে গাজার যুদ্ধ থামানো নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তারপরেই হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে ২০ দফা পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়। অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতি থেকে শুরু করে গাজায় নতুন সরকার গঠন-একাধিক প্রস্তাব পেশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজাকে পুরোপুরি সন্ত্রাসবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করে একেবারে নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে। যদি ইজরায়েল এবং হামাস দু’পক্ষই এই প্রস্তাব মেনে নেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হবে।
#international
