খানাকুল তৃণমূল নেতাকে ব্যাপক প্রহার - অভিযোগ বিজেপির দিকে
নির্বাচন সামনে। এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল। ফলে রাজ্যের নির্বাচন পূর্ব উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। শুক্রবার রাতে উত্তেজিত হয়ে উঠলো হুগলীর খানাকুল। দলের অঞ্চল সহসভাপতিকে গণধোলাই দেওয়ার অভিযোগ উঠল হুগলির খানাকুলে। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় মহিলাদের শ্লীলতাহানি করতে গিয়েছিলেন ওই নেতা। সেই কারণেই তাঁকে জনরোষের শিকার হতে হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। তবে বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের। শুক্রবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় খানাকুলের মাড়োখানায়। এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি তৃণমূলের মাড়োখানার অঞ্চল সহ সভাপতি বরুণ মন্ডলকে খানাকুল গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আহত তৃণমুল নেতা সহ খানাকুলের অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের দাবি, এদিন রাতে বাড়ি ফেরার পথে অতর্কিতে তাঁর উপর হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল সকাল থেকেই। স্থানীয় মানুষ জানাচ্ছে, সকাল থেকেই পরিবেশ ছিল কিছুটা থমথমে। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের নির্দেশে এই মারধর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করার অপরাধেই এই আক্রমণ করা হয়েছে বরুণ মণ্ডলকে। তবে বিজেপির দাবি, স্থানীয় মহিলাদের উপর মদ্যপ অবস্থায় শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন ওই নেতা। তাই এই পরিস্থিতি। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন নাবালিকা এদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে তাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে তৃণমূল নেতা বরুণ মণ্ডল ও তার দলবল। যদিও তৃণমূল দাবি করছে, মারধরের পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই ওই নাবালিকা মহিলাদের ব্যবহার করছে বিজেপি।
#social
