⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️
দুর্গাদেবীর আগমনী সংগীতই মহালয়া
‼️দানবীর কর্ণ ও মহালয়‼️
⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️
ঐযে বলে নিয়তি কেনো বধ্যতে...‼️‼️
দানবহাভারতের আখ্যান মতে,কর্ণ কুন্তী পুত্র হয়েও নিয়তির খেলাতে নিজের অজ্ঞাতেই তিনি দুর্যোধনের সবচেয়ে কাছের বন্ধুতে পরিণত হন।বীরত্বের পাশাপাশি তিনি দাতা হিসেবে অদ্বিতীয় হয়ে ওঠেন।তার কাছে কিছু চেয়ে বিমুখ হয়নি কখনো কেউ।সোনা-দানা, মণিমাণিক্য যে যা চেয়েছে তাই দিয়েছেন তিনি।এমনকি নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় সুরক্ষা অভেদ্য কবচকুণ্ডলও তিনি অবলীলায় হাসিমুখে দান করেছেন।কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কর্ণ নিহত হন।তবে পুণ্যময় কাজের পরিণামে স্থান পান স্বর্গে।নরলোকে যে পরিমাণ সম্পদ তিনি দান করেছিলেন তার সহস্রগুণ ফিরে আসে তাঁর কাছে।স্বর্ণ-সম্পদের বিপুল বৈভবের নিচে তিনি যেন চাপা পরে যান।তবুও দুঃখী তিনি। সব পাচ্ছেন তিনি কিন্তু পাচ্ছেন না খাদ্য।এই যন্ত্রণা তাকে অস্থির করে তোলে।
ক্ষুধায় তৃষ্ণায় কাতর কর্ণ যান যমরাজের কাছে।ক্ষুব্ধ কণ্ঠেই বলেন,এ কেমন বিচার!
অফুরন্ত স্বর্ণ রত্ন তিনি পাচ্ছেন,কিন্তু সেসব তো খাদ্য নয়।ক্ষুধার অন্ন নয়।কাজেই সোনাদানার তাঁর দরকার নেই।দরকার খাদ্য।
কর্ণের এই জিজ্ঞাসার মুখে যমরাজ কিছুটা বিব্রত কণ্ঠেই বলেন,এর আমি কী করব? নরলোকে মানুষ যা দান করে,পরলোকে এসে তাই কয়েক সহস্রগুণ ফিরে পান।কর্ণ কুণ্ঠিত ভাবেই বলেন,আমি তো মর্ত্যে দানে কোনো ত্রুটি রাখিনি।আমার সব ধনসম্পদ আমি অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছি।তাহলে কেন বঞ্চিত থাকব খাদ্য-পানীয় থেকে?যমরাজ বলেন, তুমি ধনসম্পদ দান করেছ,এটা সত্য।কিন্তু তুমি কোনো দিন কাউকে অন্নদান করোনি। দাওনি কোনো তৃষ্ণার্তকে জল।সে কারণে এখানে বঞ্চিত তুমি সেসব থেকে।কিন্তু আমি যে ক্ষুধায় অস্থির।এর একটা বিহিত করুন আপনি।ফিরিয়ে নিন সম্পদ,পরিবর্তে দিন একটু খাদ্য।একটু জল।যমরাজ বলেন,আমি নিরুপায়।ঈশ্বরের বিধান বদলের কোনো ক্ষমতা আমার নেই।না জেনে অপরাধ করেছি।অন্ন-জল দান যে এত মহত্তোম দান, এটা জানা ছিল না।সেই অনিচ্ছাকৃত অপরাধ ক্ষমা করুন।একটা কিছু প্রতিবিধান করুন।
কর্ণের প্রতি যমরাজ সদয় হন।বলেন,বেশ একটা সুযোগ তোমাকে দিচ্ছি।তুমি এক পক্ষের জন্য মর্ত্যলোকে ফিরে যাও।যথেচ্ছ দান কর অন্ন-জল।এরপর পনেরো দিনের জন্য কর্ণ ফিরে আসেন মর্ত্যে।এই পনেরো দিন তিনি অকাতরে দান করেন অন্ন-জল। পরিণামে ফিরে গিয়ে স্বর্গে,ফিরে পান অন্ন-জল।..... আশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত পনেরো দিন কর্ণের ছিল দ্বিতীয় দফার মর্ত্য বাস।আর এই পনেরটি দিনই হিন্দু শাস্ত্রে পিতৃপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত।কর্ণ স্বর্গে ফিরে আসেন যে অমাবস্যা তিথিতে- সেটিই অভিহিত মহালয় বা মহালয়া নামে।‼️‼️.....আজ সেই দিন,তামাম ভারতবর্ষের বিভিন্ন মানুষ গঙ্গায় যান পিতৃ পক্ষের শেষ সময় পূর্ব পুরুষ দের অন্ন জল দান করেন।তাদের বিশ্বাস স্বর্গ থেকে তাঁরা পাপ মোচন করবেন আশীর্বাদ দেবেন।
তবে শাস্ত্র-বিশেষজ্ঞরা বলেন,পিতৃপক্ষের অবসানে,অমাবস্যার অন্ধকার পেরিয়ে আমরা আলোকোজ্জ্বল দেবীপক্ষে আগমন করি,তাই সেই মহা-লগ্ন আমাদের জীবনে ‘মহালয়া’।এ ক্ষেত্রে দেবী দুর্গা কেই সেই মহান আশ্রয় বলা হয়ে থাকে এবং আঁধার থেকে আলোকে উত্তরণের লগ্ন টিকে বলা হয় মহালয়া।কিন্তু গত বছরের দগ-দগে ঘা শুকোলো না।অভয়ার পিতা মাতার চোখের জল কেউই পারেনি মোছাতে।খালি রাজনীতি সার।বাংলার মুখ্য মন্ত্রী মঞ্চে উঠে যে দান
ক্ষয়রাতের আসফালন,নাচানাচি,চিৎকার করে,মানুষের করের অর্থে দম্ভ,এক দিন ছুটবে,কারণ প্রকৃত গরীব মানুষ,অসহায় ফুট পাথ বাসী গৃহ মঞ্চিত মানুষের অভিসম্পাত,তাদের অন্ন জল জোটে না,আমাদেরই হাল তলানিতে।পাপ খণ্ডাবে কে?শত "তর্পণ" এও খন্ডন সম্ভব নয়।
কৃষ্ণপক্ষ বা পিতৃপক্ষের অবসান এবং শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনায় অমবস্যার একটি নির্দিষ্ট ক্ষণকে মহালয়া বলা হয়।আর এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে মহালয়া আসলে কী? মহালয়া শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল মহান যে আলয় বা আশ্রয়।অর্থাৎ মহা+আলয় জুড়ে এই শব্দ।যদিও সন্ধির নিয়ম মেনে শব্দটি‘মহালয়’ হওয়ার কথা।তবে‘মহালয়া’ বলার পিছনে কোনও ব্যকরণগত ব্যাখ্যা নেই। দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয় বলে শব্দটিকে স্ত্রীলিঙ্গ করে ‘মহালয়া’ বলা হয়।এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন,সেই মহান আলয়।আমাদের পরম আরাধ্য দেবী,দেবী দুর্গতিনাশিনী।মা তুমি এসো দেখো কী অনাচার টাই'না চলছে,গরীব গর্বারা খেতে পাচ্ছেনা,তাদের যে দুবেলা অন্ন জল জোটে না।শাসক শ্রেণী কোটি কোটি মানুষের করের টাকায়,ধন্দার টাকায় অপ্রয়োজনীয় দান করে চলেছে।সেদিন দেখছিলাম আমারই জানা একজন তাঁর পোষ্টে ট্যাগ লাইন দিয়েছেন....!!!কিছু পুরুষ আর কিছু নারী অত্যন্ত ভয়ংকর এই অ্যাপস এ।প্রকৃত নারী শক্তিকে জগাও মা তুমি।সর্ব শক্তি চেতনা যোগাও।তা না হলে ধ্বংস অনিবার্য।পুরাণ থেকে মহাভারত, মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনি।পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে উঠেছিলেন।শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত ছিল।অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ,তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা,বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন।তিনিই মহামায়া'রূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা।সেইকারণে বিশ্বাস করা হয়,এই উৎসবে অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা হয়।★যদিও মহালয়ার সঙ্গে দুর্গা পুজোর প্রত্যক্ষ ভাবে কোনও যোগ নেই। বরং মহালয়ার রয়েছে পৃথক মাহাত্ম্য। দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত উৎসব নয় মহালয়া। আসলে এই দিনটি পিতৃপুরুষের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।সারাবছর কোনও সময় তর্পণ না করলেও মহালয়ার তর্পণে সর্বসিদ্ধি বলে মনে করা হয়।লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন,যা অকালবোধন নামে পরিচিত।এরপর থেকেই যুগ যুগ ধরে শারদীয়া দুর্গাপুজো চলে আসছে।আগে রাজবাড়ি কিংবা জমিদার বাড়িতেই দুর্গাপুজো হত।রথের দিন কাঠামো পুজো হত এবং মহাসপ্তমীর দিন নবপত্রিকা প্রবেশের পর দেবীর চক্ষুদান পর্ব হত।যেহেতু মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়,তাই পরবর্তীকালে মহালয়ার দিনই প্রতিমার চক্ষু আঁকার চল শুরু হয়। 👉🔱⚜️🔱
দেবী তোমার আগমনের ..প্রস্তুতি তাই,
মহেশ তোমায় দিলেন বিদায় ..‼️
মহিষাসুরের নিধন করে,
চলেই এসো পিত্রালয় …‼️
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
দেবী তুমি আসবে বলে,শিশির বিন্দু ঘাসে,
মাঠে মাঠে শোভা বাড়ায়,শুভ্র বরণ কাশে …‼️
এটা ২১শ শতাব্দীর ২৫তম বছর; এমনি
আশ্বিনের এক প্রাগৈতিহাসিক সকালে শ্রীরামচন্দ্র যে দুর্গার বোধন করেছিলেন
স্বর্গের দেব'পুরুষগণ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে যে রণ'দেবীকে অসুর নিধনে পাঠিয়েছিলেন,
সেই দুর্গাই একুশ শতকে নারীর ক্ষমতায়ন।
তাঁর মহা তেজ চির'জাগরুক আগুন হয়ে জ্বলে উঠুক,মাটির পৃথিবীর প্রতিটি নারীর মধ্যে।
🔱🙏🌅🙏🌅🙏🌅🙏🌅🙏🌅🙏🔱
হে মহামানবী,দেবী তোমাকে সহস্র কোটি প্রণাম।
সকলে খুশির জোয়ারে মেতে জান।পুজো খুশির হোক। #শুভেচ্ছা #🙏তর্পণ ২০২৫🙏 #🔱শুভ মহালয়া ২০২৫🌷 #🌷মহিষাসুরমর্দিনী ২০২৫🔱 #🙂ভক্তি😊
01:59
