ShareChat
click to see wallet page
😌☸️🎪☸️কেনো জানিনা মনে হলো রাধারাণীরা কি বনফুলের মালা নিয়ে আজও হাজির হয় রথের মেলায়?☸️🎪😌❔😌❔😌❔😌❔😌❔😌❔😌❔❔❔❔❔❔ আজ ঘরে ফিরে আসছেন জগন্নাথ দেব, আমরা সবাই জানি প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় রথযাত্রা।এই দিন নিজের গৃহ ছেড়ে ভক্তদের মাঝে আসেন প্রভু জগন্নাথ দেব।সঙ্গে থাকেন বলরাম এবং সুভদ্রা।রথে করে এই দিন নিজের গৃহ থেকে মাসির মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন জগন্নাথ,বলরাম এবং সুভদ্রা।সারা বিশ্বে এটিই রথ যাত্রা।রথ যাত্রার ঠিক ৭ দিন পর পালন করা হয় উল্টো রথযাত্রা।পুরীতেই নিজের গৃহ ছেড়ে রথের দিন গুণ্ডিচা মন্দিরে মাসির বাড়ি,তিনটি আলাদা আলাদা রথে তিন প্রভু মাসির বাড়ি বেড়াতে যান।ঠিক দশমীর দিন তিনি ফিরে আসেন নিজের মন্দিরে,তবুও পরের ৩ দিন মূল মন্দিরের বাইরেই অবস্থান করেন🎪‼️❔এর পরও না না অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে তৃতীয় দিনের দিন মন্দিরে নিজ আসনে বসেন।🙏 শুধু পুরী নয়,এই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ঠিক একই নিয়মে উল্টো রথ পালন করা হয়। জগন্নাথ দেবের এই উল্টো রথযাত্রা ‘বহুদা রথ যাত্রা’ নামেও পরিচিত।তবে যেহেতু এই দিন রথ উল্টো পথে আবার মূল মন্দিরে ফিরে আসে তাই এই দিনটিকে বলা হয় উল্টো রথ যাত্রা।উল্টো রথ যাত্রার দিনেই জগন্নাথের রথ অর্থাৎ নন্দী ঘোষ ফিরে আসে নিজের গৃহে। রথের দড়িতে হাত দিয়ে নিজেদের পাপ মোচন করেন বহু মানুষ।অথচ দেখুন ? আমরা মানুষের দল বল কিরকম ওই আগের পোষ্ট এই লিখেছিলাম,আমরা খোঁজ রাখিও না বা জেনেই না জানি বা পাত্তা দেই না যে কত মানুষ অসুস্থ হলো এই রথ যাত্রায় সেই পুরীতেই....‼️‼️‼️‼️❔না ❔❔হিসেব দেই ৬০০ প্রায় কিন্তু তার বেশীই হবে।৩/৪ জনের মৃত্যু।"ডাবল ইঞ্জিন" নামে খ্যাত মধ্য প্রদেশ? শুধু ওই রাজ্যেই ৫ বছরে ৩৪,৮১০ টি গণধর্ষণ নথি ভুক্ত।বাড়ল ১৯ শতাংশ...তারপর অন্যান্য রাজ্য...তাহলে দেশটাতে আছে কিছু??ওই রাজ্যেই ৬ বছরে ২,০০,০০০ এর বেশি মহিলা নিখোঁজ,তাহলে সারাদেশ ভাবুন ‼️ দেখুন টাটকা খবর মাত্র তিন মাসে মহারাষ্ট্রে ৭৬৭ জন কৃষক শ্রেনী অত্যঘাতী হয়েছে ?? কেনো?? না অনাচের দাম বাড়ছে হুহু করে কিন্তু কৃষক সেই আলু/পেঁয়াজ ইত্যাদি বস্তা পিছু বিক্রি করছে সেই ৩/৪ টাকায়??এই ভাবে অত্যাচার চলছে আপনারা কেউ দুঃখ পেলেন কি তাতে???❔❔❔❔ অথচ কদিন আগেই আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় সারা দেশ কত মর্মাহত?? মিডিয়া কেঁপে কেঁপে উঠেছে,আহ আহা করে গেছে সকলেই ...২৪০+ ছিল..আমি ও আহা করলাম যত না ধুইয়ে কাঁথা পরিয়েছি সরকার,বিমান সংস্থাকে তার থেকে বেশি... আমরা মানুষ গুলো কলের পুতুল নয় কি❔❔❔ইশ ঠোঁটে কি বিষ'রে বাবা ..মনে হচ্ছে তো‼️‼️❔...আসলে আমরা বরবরভাব দেখাই ভক্তিই,নাই।ভক্তি যদি থাকতই,অমন ভাবে অসুস্থ বা মৃত্যু হতো না প্রতি বছর।ভগবান গৌতম বুদ্ধও বিষ্ণুর অবতার।উনি নিরালায় ধ্যান করেছেন,আসলে দেবালয় নিজের হৃদয়,তাকে উপলদ্ধি না করে লোকের দেখা দেখি আমি রথ টানতে যাবো বলে হৈ চই করলাম।ওতে তাঁর সান্নিধ্য পাওয়া কোনো দিন সম্ভব নয়।এই যে কৈলাস যাত্রায় প্রতি বছর কত প্রাণ যায় অর্থ হীন।তাহলে বোঝা গেলো তো কলের পুতুল কিনা,ও গেছে পুরীতে ভক্তিতে রথ টানতে,দেখে আমিও ছুটলাম। সেই কারণেই শ্রী শ্রী জগন্নাথ ভগবানও কিছু করেননা,আর বলিহারি সরকার,কোনো দায় বা পরিকাঠামো নেইও মন্দির কর্তৃপক্ষেরও। উল্টো রথের মাধ্যমেই ৭ দিনব্যাপী রথযাত্রার উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।ফের ১ বছরের অপেক্ষা করতে হয়।প্রতি বছর সারা দেশে সোজা রথ এবং উল্টো রথকে নিয়ে মানুষের মধ্যে উন্মাদনার থাকে তুঙ্গে। 🎪☸️☸️☸️☸️🎪 পৌরাণিক কাহিনীতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তি যুগেও রথ শব্দটির বহুল ব্যবহার রয়েছে।রাজ আমলের যুদ্ধযান আজ ভোট যুদ্ধেও ব্যবহৃত হচ্ছে আকছার।বর্তমানে তো এ'দল বলে আমি বড় রথ টানবো আর ও'দল বলে দেখিয়ে দেবো,ঠাকুর বিষয়'টা বড় বালাই ওই একটা হম্বিতম্বি ভাব,আর কিই বা করবে ভোট চাওয়ার'তো মুখ নেই সব বেঁচে-বর্তে ওই টুকুই সম্বল।আর সাথে দোসর ধর্ম আর লোক খেপানো ....ওই আবার ডিজিটাল না কি ইলেকট্রিক মিটার পাল্টাচ্ছে,বিদ্যুৎ বিল বাড়বে।এর বিল বাড়াতে এ নিয়ে যাগা যাগাতে না না অশান্তি...এক এক জনের বিল ডাবল এসে গেছে এখন দেশের সরকার গুলোই চোর...না না ঝঞ্ঝাট করছে শিক্ষা নিয়ে ছেলে-মেয়েগুলোর ভবিষ্যত তলিয়ে গেল ... মন্ত্রী মন্তার পরিবারে বংশ উদ্ভব ছেলে মেয়েরাই না পড়াশুনো করে লুকিয়ে চোথা বের করে না না পদে আসীন,আর না না কৌশলের মাধ্যমে সাধারণের টাকা লুট'তে সংস্থা গুলোকে সাহায্য করছে সে স্কুল'ই বলুন বা কলেজ...এই তো হাল ওই'যে ওন লাইন ভর্তি ???একটা পাক্কা ধন্দা-ধাপ্পা মেরে ভর্তি ফি নিচ্ছে।আসলে দেশের রাজা ভালো নয়.... আবার জেনে রাখুন,কোনো বেসরকারি সংস্থা চোর নয়.!!! ট্যাক্স চাপিয়ে,দাদন চাপিয়ে চোর বানানো হয়।এই রথ নিয়ে কম রাজনীতি হলো???!⏸️সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই পবিত্র রথযাত্রা উৎসব তাৎপর্য মণ্ডিত।তাঁরা মনে করেন,স্বয়ং ভগবানের যান রথ।রয়েছে বিভিন্ন কাহিনী,মিথ,লোক-বিশ্বাস আর সংস্কার।ঘটনা পরম্পরায় মালবরাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন বিষ্ণুর,স্বয়ং কৃষ্ণের ভক্ত ছিলেন।তাই ভক্ত রাজার সম্মুখে আবির্ভূত হয়ে পূজিত হতে সাগর'তটে ভাসমান কাঠ থেকে বিষ্ণু বা কৃষ্ণ মূর্তি নির্মাণে রাজাকে আদেশ দেন।কিন্তু ভেসে আসা কাঠ এমন শক্ত যে,তা থেকে মূর্তি গড়া দুরূহ কাজ। মূর্তি নির্মাণের জন্য রাজা একজন উপযুক্ত কাষ্ঠ'শিল্পীর সন্ধান করতে থাকেন।তখন এক রহস্যময় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কাষ্ঠশিল্পী হিসাবে তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন এবং মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েক'দিন চেয়ে নেন।কাষ্ঠশিল্পী রাজাকে জানিয়ে দেন মূর্তি নির্মাণ'কালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেন।কিন্তু অল্প কদিন পর'ই রানী বন্ধ ঘরে কোনো আওয়াজ না পেয়ে দরজা খুলে ফেলেন.....অত্যুৎসাহী রানি কৌতূহল সংবরণ করতে না পেরে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন।দেখেন মূর্তি তখনও অর্ধসমাপ্ত এবং কাষ্ঠশিল্পী অন্তর্ধিত।এই রহস্যময় কাষ্ঠশিল্পী ছিলেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা....এটা অনেকেই জানেন কিন্তু অনেকেরই জানা নেই আসল তাৎপর্য... আসলে লীলা খেলা..ℹ️❔❔ শিল্পীর বেশে স্বয়ং ভগবান জগন্নাথের'ই আর এক রূপ দেবশিল্পী বিশ্ব কর্মার আবির্ভাব ঘটে।ওই জন্যই বলে জগতের নাথ উনি।....🎪🙏🎪🙏🎪 জয় জগন্নাথ🎪🙏🎪🙏🎪সব দেব কুল'ই ওনার মধ্যে লীন।ছদ্মবেশী জগন্নাথ কিছু শর্ত আরোপ করে মূর্তি গড়তে রাজি হন।বিগ্রহ গড়বার কর্মকাণ্ড কেউ দর্শন করবে না এমন শর্ত রানী ভঙ্গ করলে জগন্নাথই মূর্তি গড়বার কাজ অসম্পূর্ণ রেখে অদৃশ্য হয়ে যান।পরে থাকে জগন্নাথ'দেবের হস্তপদ'বিহীন দেহ।মূর্তির না আছে হাত,না আছে পা।রাজা-রানী অনুশোচনায় বিহ্বল হয়ে পরলে,স্বপ্ন দিয়ে সেই জগন্নাথ'ই জানিয়ে দেন,তিনি এই রূপেই পূজিত হবেন।কি চমৎকার লীলা....ℹ️এই সুন্দর শ্রী কৃষ্ণই দেখিয়ে দিল সৌন্দর্য্য বড় নয় ℹ️‼️ 🙏☸️জয় জগবন্ধু, দীনো নাথ☸️🙏‼️❔❔এ দেশের রাজনীতিক বৃন্দ খালি মিথ্যে ছলা কলায় বড্ড পটু।চাতুরী আর ছল-চাতুরী দিয়ে কি লীলা বোঝা যায়❔🙏 জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏 ❔ 🙏জয় শ্রী জগন্নাথ:স্বামী সমীপে 🙏 ❔এই প্রসঙ্গে কঠোপনিষদে বলা হয়েছে, “না আত্মানং রথিনংবিদ্ধি শরীরং রথমেবতু”- অর্থাৎ, এই দেহই রথ,আর আত্মা দেহরূপ রথের রথী।★ঈশ্বর অরূপ।তিনি অন্তরে বিরাজমান। বিষ্ণু ও কৃষ্ণ উপাসকদের/ বিশ্ব মানবের পবিত্র তীর্থস্থান পুরীর জগন্নাথ ধাম।এই মন্দির নির্মাণের ইতিহাস সুপ্রাচীন।দেশের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ রথযাত্রা উড়িষ্যায় পুরীর জগন্নাথের রথযাত্রা।এছাড়াও আমাদের রাজ্যের মায়াপুরে ইসকনের রথ,শ্রীরামপুরে মাহেশের রথ(★কোন এক সময় এই মাহেশের রথ নিয়ে আলোচনা করব)সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রাচীন রথযাত্রা উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত হয়।উড়িষ্যার প্রাচীন পুঁথি জানায় রথযাত্রার প্রচলন সত্য যুগে হয়েছিল।মালব দেশের(বর্তমানে উড়িষ্যা)বিষ্ণুভক্ত সূর্যবংশীয় রাজা ছিলেন ইন্দ্রদ্যুম্ন। ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’ ও ‘পদ্মপুরাণে রথযাত্রার উল্লেখ রয়েছে।★এই কথা গুলোর ভিত বেশ শক্ত পোক্ত আমার ... ঐ যে মাহেশের রথ??? ও কথা ভেবেই আজ উল্টো রথের দিন কেনো জানি মনে বিহ্বলতা আসলো..😌😌😌..বোন সুভদ্রা বেড়াতে যাবার বায়না ধরলে তাকে ভোলাতে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে গমন করেছিলেন দুই দাদা - জগন্নাথ ও বলরাম।সেই যাত্রাই রথযাত্রা।বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে রথযাত্রা নিয়ে বলতে প্রথমেই যেটা মাথায় আসে- সেই রাধারাণী....ℹ️ℹ️ℹ️ℹ️😌😌 “""🌼রাধারাণী নামে একটি বালিকা মাহেশে রথ দেখিতে গিয়াছিল।বালিকার বয়স একাদশ।পরিপূর্ণ হয় নাই।তাহাদিগের অবস্থা পূর্ব্বে ভাল ছিল— বড় মানুষের মেয়ে।🌼”"".... কাটা কাটা ওপরের কথা গুলো আমার নয় ....!!! আজও গায়ে যেনো কাঁটা দেয়,কি একটা নিঃসঙ্গতা যেনো চেপে চেপে ধরে।এরা কারা,এরা কি এখনও আসে ❔❔কোন সুদূরের গ্রাম থেকে,নয় তো শহরের ওলি গোলি থেকে মাহেশের রথের বা কোনো মেলায়...❔❔ সেই কারণেই বোধ হয়....কবিগুরু যথার্থই বলেছেন,‘উপলক্ষ যাই হোক না কেন,বাঙালির সকল উৎসবের মধ্যে একটা সর্বজনীন রূপ আছে।এতে ধর্ম, সম্প্রদায়,জাত-পাত বা ধনী-গরিবের সামাজিক বিভক্তি বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।বরং সকল শ্রেণির মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হয়।’ অথচ এই কবিগুরু'কেই জীবনে এই পুরীর মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।আবার ২২ শে শ্রাবণ আসছে 😌😌😌😌😌 উনি ব্রহ্ম ধর্মে দীক্ষিত ছিলেন।আচ্ছা বলুনতো তাহলে কি করে সর্বজনীন রূপ পেলো রথযাত্রা ??পুরীর মন্দির???আমি আবার ঠোঁট কাটা মানুষ বলে ফেলি⏸️....সবটাই কি সুকুমার রায়ের, ""হজো বর ল"" নয়‼️ রথযাত্রার মতো লোক উৎসব তেমনই এক উৎসব।বাংলার আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়ায় রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু নীলাচল থেকে রথযাত্রার ধারাটি বাংলায় প্রচলন করেন।যাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু ঐতিহ্যশালী রথযাত্রা এই পবিত্র দিনে অনুষ্ঠিত হয়।ভারতবর্ষে রথযাত্রা উৎসব অতি প্রাচীন।আনুষ্ঠানিকতার ধরণ পরিবর্তন হলেও সামাজিক উৎসবের কৃষ্টি,সংস্কৃতি বদলে যায়নি।রথযাত্রা উৎসবকে ঘিরে যেমন বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে,তেমনি তৎকালীন বঙ্গীয় সমাজের আর্থ-সামাজিক অবস্থার চিত্র উঠে আসে প্রচলিত প্রবাদ প্রবচনে,..... ‘"....তোদের হলুদ মাখা গা,তোরা রথ দেখতে যা।আমরা পয়সা কোথায় পাব?আমরা উল্টো রথে যাব।....’"😌😌😌😌😌😌😌 হায় রে মানব সভ্যতা ‼️😌😌আশ্চর্য পুতুল সেজে আছে😌😌শ্যামল মিত্রের সেই গানটা হয়তো অনেকের মনে আছে-😌😌 ****...‘আমার এই ছোট্ট ঝুড়ি,এতে রাম রাবণ আছে, দেখে যা নিজের চোখে হনুমান কেমন নাচে। এ সুযোগ পাবেনা আর,বল ভাই কি দাম দেবে-.....পুতুল নেবে গো ও ও পুতুল…’...**** হুমম ...আজ সেই রামও নেই,সেই অযোধ্যাও নেই।পুতুলও নেই। পুতুলনাচ'ও নেই। কোনমতে টিকে আছে এ শিল্প।আর আমরা নিজেরাই এক একটা কলের পতুল সেজে ফেলেছি, "অভায়া", নেই তাঁর মা-বাবার কাতর আর্তনাদ কুরে কুরে খাচ্ছে এই বাংলাকে,আর কত শত অভয়া'রা এবার রথে পুতুল কিনতে পারল না...⏸️⏸️‼️গ্রামের মেলা গুলোতে মা'য়েরা কম্পিত.অথচ ....সে দেশে পাপি-তাপিদের দ্বারা মন্দির নির্মাণ হয়ে যায় সহজ পন্থায়।⏸️⏸️⏸️ জিনিসের দাম বাড়ে মুচকি হেঁসে হেঁসে....⏸️⏸️⏸️আমরা সব হীরকের রাজা ভগবান ..বলে হাঁক মারি... আমি কী খেই হারিয়েই ফেললাম .......‼️‼️ℹ️না আমি বলতে চাইলাম... দেখুন উল্লেখ্য,রথযাত্রার শুভারম্ভের সাতদিন পর বলভদ্র,জগন্নাথ ও সুভদ্রার রথরীতি সংস্কার মেনে ফিরে আসে মূল মন্দিরে।সেদিনও ‘উল্টো রথ’-এর মেলা অনুষ্ঠিত হয়।আজ এবছরের ওই দিন....তাই উল্টো কথা গুলো বেরোলো...... বর্ষা'স্নাত মেঘ'মেদুর আকাশ আর সজল ধরিত্রী পল্লবিত হয় ঘন সবুজে আর আনন্দ অনুষ্ঠানের আবেশে।কামিনী,চাঁপার মিষ্টি সুবাসে রথের মেলার জিলেপি আর পাঁপড় ভাজার গন্ধ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। শিশু-কিশোর এই দিনটির জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকে।বড়দের রথের অনুকরণে পাড়ায় পাড়ায়, ওলিতে গলিতে শিশু-কিশোরদের রথ টানা পরিচিত দৃশ্য আজও দেখা যায়।একদা রথের মেলা থেকে কেনা বিভিন্ন খেলনাতে ঘটত সমাজের সব কিছুর প্রতিফলন।শিশু-কিশোর বেলা বেড়ে উঠত রথের মেলা দেখতে দেখতে।খেলনাপাতি, রকমারি কাঠের পুতুল অর্থাৎ বড়দের সংসারের অনুকরণে বাসন'কোশন সহ আরও কত কী! 😌😌😌😌কিন্তু বর্তমানে মহার্ঘ খেলনার জঞ্জালের পাহাড়ে হারিয়ে যাচ্ছেনা তো মাটির গন্ধমাখা স্বপ্নময় প্রতিফলনের খেলনা সম্ভার?কিংবা মা'ঠাকুমার অনুকরণে পুতুলদের মাতৃ'স্নেহে মাতৃ'দুগ্ধ দিয়ে ঘুম'পাড়ানির আধো আধো সঙ্গীত।আমার তো মনে হয় মনোজগতের মহার্ঘ বোধগুলি অঙ্কুরিত হয় নির্ভেজাল নিষ্কলুষ মাটির গন্ধ'মাখা মেলা থেকেই।আসলেই আমরা যেনো সবাই আজ পুতুল,যেই কেউ চিৎকার করে ওঠে আমরাও না বুঝেই চিৎকার করি। তাই বলছি,ভারী কষ্ট লাগছিল এই উল্টো রথের দিনটায় .....বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের ‘রাধারাণী’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপটই ছিল মাহেশের রথযাত্রা।কে আর ভাবে তাঁকে নিয়ে‼️‼️❔❔রথযাত্রার প্রাণবন্ত রূপ যেমন তাঁর লেখায় দেখতে পাই,তেমনি মর্মস্পর্শী অথচ নির্ভেজাল রোমান্টিক সাহিত্যের জন্ম দেয় রথের মেলা। 😌😌😌"‘রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে কতকগুলি বনফুল তুলিয়া তাহার মালা গাঁথিল।মনে করিল যে,এই মালা রথের হাটে বিক্রয় করিয়া দুই,একটি পয়সা পাইবে।তাহাতেই মা'র পথ্য হইবে"’- ......‼️‼️‼️😌👁️😌👁️😌জানি না আধুনিকতায় সাহিত্য সম্রাটের আর রাধারাণীরা বৃষ্টিভেজা রথের মেলায় বনফুলের মালা গেঁথে হাজির হয় কিনা? তবুও রথের মেলা হয়। 🙏🙏বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন,‘প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র,দীন, একাকী।কিন্তু উৎসবের দিন মানুষ বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ।সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ’।😌😌😌😌 আশাকরি বোঝাতে পারলাম বেশ কিছুটা। আসুন তো সবাই'মিলে এবার রথ টানি। হ্যাঁ মনে ভক্তি থাকলেই হবে,যে কোনো শিশু দুরারের রাস্তায় যে রথ টানে কোমল দড়ি দিয়ে ওই রথের সুতা একবার ধরলেই হবে।আজ এই আবার বৃষ্টি পরতে আরম্ভ করলো,আজকাল আর নিয়মের ঠিক নেই ........‼️ #ভক্তি 🙏জয় জগন্নাথের জয়🙏 ☸️☸️☸️☸️☸️☸️☸️☸️ #শুভেচ্ছা #🛕উল্টো রথের শুভেচ্ছা ২০২৫🙏 #🛕উল্টো রথের শুভেচ্ছা ২০২৫🙏 #🛕রথযাত্রার পবিত্র উৎসব ২০২৫ Status 🛕 #ভক্তি #🙂ভক্তির সকাল😇
শুভেচ্ছা - ShareChat
01:56

More like this