ShareChat
click to see wallet page
search
#ওম নমঃ শিবায় 🙏 #ওঁম_নমঃ_শিবায়_challenge 🕉️🌿🚩 #মৃত্যুর_পর_মানুষের_কি_হয় ? হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মানুষের মৃত্যুর পর শরীর ও আত্মার পথ আলাদা হয়ে যায় । ১. শরীরের অবস্থা মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে দেহ জড় পদার্থে পরিণত হয় — পঞ্চভূতে (মাটি, জল, আগুন, বায়ু, আকাশ) মিলিয়ে যায় । গীতায় (২.২২) #ভগবান #শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন — যেমন মানুষ পুরোনো কাপড় ত্যাগ করে নতুন কাপড় পরে, তেমনি আত্মা পুরোনো দেহ ত্যাগ করে নতুন দেহ গ্রহণ করে । ২. #আত্মার_যাত্রা আত্মা কখনো মরে না, কেবল দেহ ত্যাগ করে । মৃত্যুর পরে আত্মা তার কর্মফল ও সংস্কার অনুযায়ী পরবর্তী গন্তব্যে যায় । সৎকর্ম বেশি থাকলে দেবলোক বা উচ্চতর জন্মলাভ । পাপকর্ম বেশি থাকলে নরক বা দুঃখজনক জন্মলাভ । ভক্তি ও ঈশ্বরস্মরণে মৃত্যু হলে — মুক্তি পেয়ে ভগবানের ধামে প্রবেশ । ৩. #যমদূত_ও_যাত্রা গরুড় পুরাণে বর্ণিত আছে — মৃত্যুর পরে যমদূত আত্মাকে নিয়ে যমপুরীতে যান, সেখানে কর্মফল নির্ধারণ হয় । তবে ভগবান নামস্মরণে মৃত্যুবরণ করলে বিষ্ণুদূত এসে ভক্তকে নিয়ে যান, যমদূতের কোনো অধিকার থাকে না । ৪. #নতুন_জন্ম_বা_মুক্তি যদি কর্মফল শেষ না হয়, আত্মা আবার জন্ম নিয়ে জীবনের চক্রে প্রবেশ করে (পুনর্জন্ম) । যদি ঈশ্বরচরণে আত্মা সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে, তবে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পেয়ে মোক্ষ লাভ হয় । মৃত্যু-পরবর্তী আত্মার যাত্রা গরুড় পুরাণ ও শ্রীমদ্ভাগবতের ভিত্তিতে মানুষের মৃত্যুর পর আত্মার প্রথম ১৩ দিনের যাত্রা — ১ম দিন: (মৃত্যুর মুহূর্ত) মৃত্যুর সাথে সাথে আত্মা দেহ ত্যাগ করে । যারা ভক্ত, তারা নামস্মরণে থাকলে বিষ্ণুদূত এসে নিয়ে যান । সাধারণ মানুষ বা যারা ভগবানের চেতনায় নেই, তাদের আত্মা প্রায়শই বিভ্রান্ত ও হতবাক অবস্থায় থাকে । যমদূত আত্মাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন (যদি পাপকর্ম থাকে) । ২য়–৩য় দিন : আত্মা তার চারপাশ দেখে, প্রিয়জনদের কান্না শুনতে পায় কিন্তু কিছুই বলতে বা স্পর্শ করতে পারে না । আত্মা তখনও বুঝতে চেষ্টা করে যে সে শরীর ছেড়ে গেছে । বাড়িতে শাস্ত্র অনুযায়ী শৌচ পালন হয় । ৪র্থ দিন : গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে — এই সময় আত্মাকে এক বিশেষ সূক্ষ্ম দেহ (যাত্রাদেহ) দেওয়া হয় । সে যমপুরীর পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় । যাত্রা শুরুর আগে আত্মা তার আগের জীবনের কাজগুলো স্মরণ করে । ৫ম–৯ম দিন : আত্মার সামনে যমপুরীর পথে নদী, অরণ্য, পাহাড়, কণ্টকাকীর্ণ পথ আসে । ভালো কর্ম করলে পথ সহজ হয়, পাপ করলে পথ কষ্টকর হয় । আত্মার জন্য বাড়িতে প্রতিদিন পিণ্ডদান ও জলদান করলে পথের কষ্ট কমে । ১০ম দিন : আত্মা যমপুরীর নিকটে পৌঁছায় । বাড়িতে এই দিনে দশক্রিয়া হয় — শাস্ত্র মতে, দেহের অবশিষ্ট সূক্ষ্ম সম্পর্ক ছিন্ন হয় । ১১তম–১২তম দিন : আত্মাকে যমরাজের সভায় নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে চিত্রগুপ্ত তার কর্মফল লিপি পাঠ করেন । সৎকর্ম, পাপকর্ম ও ভক্তি অনুসারে পরবর্তী গন্তব্য নির্ধারণ হয় — #দেবলোক #নরক #পুনর্জন্ম বা মুক্তি । ১৩তম দিন : গৃহে #শ্রাদ্ধ ও #পিণ্ডদান হয় । এটি আত্মার জন্য শেষ বিদায় ও পথের আশীর্বাদ । এর পর আত্মা নির্ধারিত স্থানে চলে যায় । ভক্ত আত্মা সরাসরি ভগবানের ধামে পৌঁছে যায় । বিশেষ কথা : #গরুড়_পুরাণ অনুসারে, মৃত্যুর পর প্রথম ১৩ দিন আত্মার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ — কারণ তখন পরিবার যদি নামকীর্তন, ভগবৎ স্মরণ, গীতা পাঠ, ও পিণ্ডদান করে, আত্মার যাত্রা শান্ত ও কল্যাণময় হয় । . ॐ শান্তি ॐ শান্তি ॐ শান্তি
ওম নমঃ শিবায় 🙏 - S&B S&B - ShareChat