ShareChat
click to see wallet page
search
#ভুতের #ভুতের video #ভুতের গল্প #ভুতের গল্প# #ভুতের গল্প ও ছবি 2 ⛔গ্রামীণ চা স্টলে এক রাতের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা⛔ শীতকাল। গ্রামের অন্ধকার রাস্তাগুলো কুয়াশায় মোড়া। রাত তখন প্রায় ১১টা। রাস্তার পাশে সেই ছোট্ট চা স্টলে আমরা পাঁচজন বন্ধু চা খেতে বসেছিলাম। স্টলটা খুবই সাদামাটা, বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা আর মাথার ওপর টিনের চাল। একটি হ্যারিকেন বাতি ঝুলছিল, যা আলোর বদলে যেন ছায়া আরও গভীর করছিল। আমাদের চা আর আড্ডার মধ্যেই হঠাৎ দূরে একটা অদ্ভুত শব্দ কানে এলো। এক ধরনের চাপা গোঙানির মতো, যেন কেউ কষ্টে শ্বাস নিচ্ছে। আমরা চুপ করে গেলাম। চারপাশ এত নীরব ছিল যে বাতাসের হালকা সাঁই সাঁই শব্দও শোনা যাচ্ছিল। চা-ওয়ালা কাকা বললেন, “এখানে রাতে এমন কিছু শোনা যায়। কোনোদিন আবার রাস্তার পাশে সাদা কাপড় পরা একটা মেয়েকেও দেখা যায়।” কথাটা বলেই তিনি নীরব হয়ে গেলেন, যেন কিছু বলতে চাইছেন কিন্তু পারছেন না। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী বন্ধু সোহেল হেসে বলল, “আরে, ওসব ফালতু কথা। ভূত বলে কিছু নেই।” ঠিক তখন, বাতাস যেন হঠাৎ ভারী হয়ে গেল। হ্যারিকেন বাতির আলো ঝিমিয়ে উঠল। আমরা সবাই টের পেলাম, পরিবেশে কেমন একটা অস্বস্তিকর শূন্যতা। এমন সময় রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখি, কুয়াশার মধ্যে ধীরে ধীরে একটা সাদা অবয়ব ভেসে আসছে। মেয়েটির চুল ছিল এলোমেলো, আর তার হাঁটা যেন মাটি স্পর্শ না করেই চলছিল। আমরা সবাই ভয়ে চুপ হয়ে গিয়েছিলাম। কেউ একটুও নড়ছিল না। সোহেল আস্তে করে বলল, “চল, উঠে যাই।” কিন্তু শরীর যেন জমে গিয়েছিল। মেয়েটি একেবারে চা স্টলের সামনে এসে থেমে গেল। তার চোখ ছিল ফাঁকা, সাদা। সে আমাদের দিকে তাকিয়ে অদ্ভুতভাবে হাসল। সেই হাসি এখনো ভুলতে পারি না। মেয়েটি ধীরে ধীরে বলল, “তোমরা এ রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরবে না। আজ এখানেই থাকো।” তারপর হঠাৎ করেই মিলিয়ে গেল। আমরা ভয়ে জমে গিয়েছিলাম। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে চা স্টল ছেড়ে দৌড়ে পালালাম। সেই রাতে কেউ আর বাড়ি ফেরার সাহস করেনি। আমাদের গ্রামে এখনো সেই চা স্টল আছে। কিন্তু আমরা আর কোনোদিন রাতে সেখানে যাইনি। এখনো ভাবলে শরীরের রক্ত হিম হয়ে যায়। কি দেখেছিলাম সেদিন? সত্যি কি কোনো পেত্নী ছিল? নাকি আমাদের ভয়ের তৈরি কল্পনা? কেউ জানে না। 🚫 সমাপ্ত🚫 ©®
ভুতের - ShareChat