#🙏জয় মা মনসা🙏 #জয় মা মনসা #জয় মা মনসা🌺🌼🍁 #মা মনসা #জয় মা মনসা ꧁꧂ 🐍 🌺ᴊᴏʏ ᴍᴀ ᴍᴀɴᴀsʜᴀ🌺 🐍 ꧁꧂
🌺🪷🪷🐍🐚#শুভ_নাগপঞ্চমী 🐚🐍🪷🪷🌺
⚜️🔔 #মা_মনসার_জন্ম_কিভাবে_হয় 🔔⚜️
#মা_মনসা_কোন_দেবতার_নাম
#মা_মনসার_স্বামী_কে
🕉🔱#নাগপঞ্চমী🔱🕉
*─⊱✼ #জয়_মা_মনসা ✼⊰─*
✧════════•❁❀❁•════════✧
🧡⚜️🕉️ আজ মঙ্গলবার 11/11/2025 🕉️⚜️🧡
আজ কার্তিক মাসের ২৪ তারিখ মঙ্গলবার
✧════════•❁❀❁•════════✧
সনাতন ধর্মে সর্প দেবতা শুধু ভয় নয়, বরং ভক্তি, শক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক ।
আজ আমরা তাদের পূজা করি মঙ্গল, শান্তি ও রোগমুক্তির কামনায় ।
ॐ হ্রীং মনসাদেব্যৈ নমঃ ।"🙏
✧════════•❁❀❁•════════✧
#মা_মনসার_প্রণাম_মন্ত্র : -
আস্তিকস্য মুনির মাতা ভগিনী বাসুকেস্থতা
জরৎকারু মুনে পত্নী মনসাদেবী নমোহস্তুতে ।
🙏🙏🌼🌼🌿🌹🌹
✧════════•❁❀❁•════════✧
#মা_মনসার_পুষ্পাঞ্জলি : -
১) আস্তিকস্য মুনের মাত জগৎ আনন্দকারিনী ।
এহ্যেহি মনসাদেবী নাগমাতা নমোহস্তুতে ।
এসো স্ব চন্দন বিল্বপত্র পুস্পাঞ্জলি ওঁ শ্রী মনসা
দেবিভ্যই নমঃ ।। 🙏
২) আগচ্ছে বরদা দেবী সর্ব কল্যাণ কারিনী ।
সর্পভয় বিনাশিনী মনসা দেবী নমোহস্তুতে ।
-এসো স্ব চন্দন বিল্বপত্র পুস্পাঞ্জলি ওঁ শ্রী মনসা দেবিভ্যই নমঃ ।। 🙏
৩) আস্তিকস্য মুনির মাতা ভগিনী বাসুকেস্তথা । জরৎকারু মুনে পত্নী মনসাদেবী নমোহস্তুতে ।
-এসো স্ব চন্দন বিল্বপত্র পুস্পাঞ্জলি ওঁ শ্রী মনসা দেবিভ্যই নমঃ ।। 🙏
✧════════•❁❀❁•════════✧
🌸। #পূজার_মূল_বার্তা : -
🕉️ প্রকৃতির সব জীবের প্রতি শ্রদ্ধা রাখো
🕉️ ভয় নয়, ভক্তি দিয়ে গড়ে তোলো সম্পর্ক
🕉️ পরিবারে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি
আসুন সকলে মিলে প্রার্থনা করি—
“সকল প্রাণী নিরাপদ থাকুক, সমাজে আসুক সৌভ্রাতৃত্ব,
আর সনাতন সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে পড়ুক সবার হৃদয়ে ।” 🌼🔔
নাগদেবতার আশীর্বাদে আপনার পরিবার হোক রক্ষা ও শান্তিতে ভরপুর ।
🌼 #মনসা_পূজার_ব্রতকথা (সংক্ষিপ্ত)
একসময় চাঁদ সদাগর নামে ধনী ব্যাবসায়ী ছিলেন । তিনি শিবের ভক্ত ছিলেন, কিন্তু মনসা দেবীকে মানতেন না । মনসা দেবী তাঁর ভক্তি চাইলে চাঁদ সদাগর অস্বীকার করেন। ফলে মনসা দেবী তাঁর ছয় পুত্রকে সাপের দংশনে মারা দেন ।
শুধু লখিন্দর নামের কনিষ্ঠ পুত্র বাকি ছিল । বিয়ের রাতে লখিন্দরও সাপের কামড়ে মারা যায় ।
তখন বেহুলা, লখিন্দরের স্ত্রী, স্বামীর মৃতদেহ ভেলায় করে ভাসিয়ে দেবলোক পর্যন্ত নিয়ে যান । তাঁর সতীত্ব ও ভক্তিতে দেবলোক কেঁপে ওঠে । দেবতারা মনসা দেবীকে সন্তুষ্ট করেন । মনসা দেবী বেহুলার ভক্তিতে মুগ্ধ হয়ে লখিন্দরসহ চাঁদ সদাগরের সব সন্তানকে জীবিত করে দেন ।
এরপর থেকে মানুষ মনসা দেবীকে পূজা করতে শুরু করে—সাপদংশন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ।
#মা_মনসার_স্বামী_কে ?
মনসা, যিনি হিন্দু পুরাণে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেন, তাঁকে সাধারণত ‘নাগদেবী’ হিসেবে পূজা করা হয়। তাঁর স্বামীর নাম ‘জরৎকারু’ । পুরাণ অনুযায়ী, জরৎকারু একজন মহান ঋষি ছিলেন, যিনি তাঁর তপস্যার জন্য পরিচিত ছিলেন । তাঁর নামের অর্থই হল ‘প্রাচীন ধ্যানধারণা’ বা ‘অতীতের জীবনশৈলী’ ।
দেবী মনসার স্বামী হিসাবে পরিচিত ছিলেন ঋষি জরৎকারু, যিনি ছিলেন এক প্রাচীন ঋষি । জরৎকারুর জীবন ছিল অতিশয় কঠোর তপস্যার মধ্যে বদ্ধ । তাঁর সঙ্গে দেবী মনসার বিবাহের পিছনে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরাণিক কাহিনী । ঋষি জরৎকারু তাঁর পূর্বপুরুষদের নির্দেশে বিবাহ করেছিলেন, এবং দেবী মনসার সঙ্গে তাঁর বিবাহে তাঁদের একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে, যার নাম রাখা হয়েছিল অষ্টীক । অষ্টীক ঋষি পুরাণে বিশেষভাবে উল্লেখিত, কারণ তিনি নাগদের জীবন রক্ষা করেছিলেন ।🙏🏼☘️🙏🏼
অষ্টনাগের নাম কি কি ?
মনসার পুজোয় অষ্টনাগের উল্লেখ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ । পুরাণে অষ্টনাগের তালিকা বিভিন্ন ভাবে পাওয়া যায়, তবে সাধারণত যেসব নামগুলি অধিক প্রচলিত তারা হলেন:
শেষনাগ: বিষ্ণুর শয়নকালের সময়ে যিনি শয্যা হিসেবে ব্যবহৃত হন ।🙏🏼☘️🙏🏼
বাসুকি: যিনি সমুদ্র মন্থনের সময় দেবতাদের দ্বারা ব্যবহৃত হন ।🙏🏼☘️🙏🏼
তক্ষক: যিনি নাগদের মধ্যে অন্যতম প্রধান এবং মহাভারতের ঘটনাবলীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ।🙏🏼☘️🙏🏼
কর্কটক: যিনি দেবী মনসার পুজোর অংশ হিসাবে বিশেষভাবে উল্লেখিত ।🙏🏼☘️🙏🏼
পদ্মনাগ:
যিনি পদ্মের মতো রূপে বিরাজমান ।🙏🏼☘️🙏🏼
মহাপদ্ম: যিনি পদ্মনাগের তুলনায় আরও বিশাল এবং মহৎ রূপে পূজিত ।🙏🏼☘️🙏🏼
শঙ্খপাল:
যিনি শঙ্খের মতো রূপ ধারণ করেন ।🙏🏼☘️🙏🏼
ধৃতরাষ্ট: যিনি শক্তিশালী এবং রাজত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ।🙏🏼☘️🙏🏼
এই অষ্টনাগদের প্রতি দেবী মনসার বিশেষ কৃপা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, এবং তাঁদের নামগুলি মনসা পূজায় বিশেষভাবে উচ্চারিত হয় ।
#মনসার_জন্ম_কিভাবে_হয় ?
মনসার জন্মের বিষয়ে পুরাণে ভিন্ন ভিন্ন কাহিনী রয়েছে । একটি প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, দেবী মনসার জন্ম ঘটেছিল সমুদ্র মন্থনের সময়, যখন তাঁর জন্ম হয়েছিল শিবের কপাল থেকে । শিবের কপালে থেকে একধরনের বিষধর সাপ বের হয়েছিল, যাকে পরে দেবী মনসা হিসেবে পূজা করা হয় ।
অন্য একটি কাহিনীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মনসা ব্রহ্মার মানসপুত্রী ছিলেন । ব্রহ্মা তাঁর মানসের দ্বারা মনসাকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং পরে তিনি শিবের তপস্যা ও আশীর্বাদের ফলস্বরূপ দেবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন ।
মনসার জন্ম কাহিনী, যাই হোক না কেন, মূলত তাঁর দেবত্ব এবং শৈব সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর স্থান নির্দেশ করে । দেবী মনসার জন্মের পিছনের রহস্য এবং তাঁর দেবত্বের বিকাশ হিন্দু ধর্মের পুরাণে এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে ।
#মনসা_কোন_দেবতার_নাম ?
মনসা হলেন এক প্রধান হিন্দু দেবী, যিনি বিষধর সাপদের দেবী হিসেবে পূজিত হন । তিনি প্রধানত বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বিশেষভাবে পূজিত হন, এবং তিনি দেবতা শিবের কন্যা হিসেবেও পরিচিত । তবে তাঁর আসল পরিচয় হল তিনি সাপদেবী, যাঁর কৃপায় মানুষ সাপের বিষ থেকে রক্ষা পায় । দেবী মনসার পূজা মূলত গ্রামীণ অঞ্চলে প্রচলিত ছিল, যেখানে সাপের সাথে বসবাসকারীদের সাপের হাত থেকে বাঁচার জন্য দেবীর পূজা করা হত । মনসা দেবীর পূজা বাঙালি সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার, এবং তাঁর আশীর্বাদে মানুষের জীবন বিষমুক্ত ও সুরক্ষিত থাকে বলে বিশ্বাস করা হয় ।🙏🏼🙏🏼
🙏🙏🙏#জয়_মা_মনসা🙏🙏🙏