#🙂সনাতন ধর্ম🙏 #🔴আজকের ভক্তি ভিডিও স্ট্যাটাস😀 #🙏 জয় মা গঙ্গা 🙏 #সন্ধ্যার গঙ্গা আরতি #🙏🌷🙏ভক্তের ঈশ্বর~ভক্তির শুভ সন্ধ্যা 🌷🙏🌷

#মা গঙ্গা । #জয় গঙ্গা মা🙏🌺🌺 #🙏 জয় মা গঙ্গা 🙏

#মা গঙ্গা । #🙏 জয় মা গঙ্গা 🙏 #জয় গঙ্গা মা🙏🌺🌺 #জয় মা গঙ্গা

#🙏 জয় মা গঙ্গা 🙏 #জয় গঙ্গা মা🙏🌺🌺 #জয় মা গঙ্গা #ভগীরথের_শিব_স্তব : - জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে হস্তা নক্ষত্রে ভগীরথ তাঁর পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য ভগবান শিবকে স্তব করে সন্তুষ্ট করে গঙ্গা দেবীকে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আনয়ন করেন । সগর রাজবংশের রাজপুত্র হওয়ার পর ভগীরথ তাঁর ষাটহাজার অভিশপ্ত পূর্বপুরুষদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেন ও কপিলমুনির অভিশম্পাত থেকে তাঁদের উদ্ধারের জন্য দেবী গঙ্গাকে সন্তুষ্ট করার প্রয়াস করেন । গঙ্গা ভগীরথের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বলেন যে তিনি স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করার সময় তার প্রপাতের প্রচণ্ড বেগ নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে । তখন গঙ্গা দেবী ভগীরথকে বলেন যে তিনি যেন ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করেন কারণ দেবী গঙ্গা যখন মর্ত্যে অবতরণ করবেন, তখন তাকে ধারণ করার মতো শক্তি শুধুমাত্র মহাদেবেরই রয়েছে । তখন ভগীরথ ভগবান শিবের তপস্যা আরম্ভ করেন ও তাকে গঙ্গাধারণের প্রার্থনা করেন । আশুতোষ ভগবান শিব তখন ভগীরথের প্রার্থনা শোনেন ও স্বর্গ থেকে পতিত গঙ্গা দেবীকে তার জটায় ধারণ করেন ও নদীরূপে মর্ত্যে বাহিত করেন । গঙ্গাকে ধারণ করেছেন বলে মহাদেবের আর এক নাম হয় গঙ্গাধর । #ভগীরথ #ভগবান শিবকে এই স্তব করে সন্তুষ্ট করে গঙ্গা আনয়ন করেছিলেন । বৃহন্নারদীয়পুরাণে এই স্তব মন্ত্র পাওয়া যায় । ভগীরথের শিব স্তব — প্রণমামি জগন্নাথং প্রণতার্ত্তি প্রণাশনম্‌ । প্রমানাগোচরং দেবমীশানং প্রণবাত্মকম্‌ ॥ জগদ্রূপযোনিং তং সর্গস্থিত্যস্তকারনম্‌ । উর্দ্ধরেতং বিরুপাক্ষং বিশ্বরূপং নতোহস্মি তম্‌ আদিমধ্যান্তরহিতমনন্তমজমব্যয়ম্‌ । যমামনস্তি যোগীন্দ্রাস্তং বন্দে তুষ্টিবর্ধনম্‌ ॥ নমো লোকাধিনাতায় রঞ্জতে পরিরঞ্জতে । নমোহস্তু নীলকণ্ঠায় পশূনাং পতয়ে নমঃ ॥ নমশ্চৈতন্যরূপায় পুষ্টানাং পতয়ে নমঃ । নমঃ কল্মশনাশায় নমো মীঢ়ুহস্তায় তে ॥ নমো রুদ্রায় দেবায় কপর্দ্দায় প্রচেতসে । নমঃ পিনাকহস্তায় শূলহস্তায় তে নমঃ ॥ নমস্তে সর্ব্বভূতায় ঘন্টাহস্তায় তে নমঃ । নমঃ পঞ্চাস্যহস্তায় ক্ষেত্রাণাং পতয়ে নমঃ ॥ নমঃ কপালহস্তায় পাশমুদগরপাণিনে । নমঃ সমস্তপাপানাং মুষ্ণতাং পতয়ে নমঃ ॥ নমো গনাধিদেবায় ক্ষেত্রিণাং পতয়ে নমঃ । নমো হিরণ্যগর্ভায় হিরণ্যপতয়ে নমঃ ॥ হিরণ্যরেতসে তুভ্যং বিশ্বরূপায় বৈ নমঃ । নমো ধ্যানস্বরূপায় নমস্তে ধ্যানসাক্ষিণে । নমস্তে ধ্যানসংস্থায় অহিব্রধ্নায় তে নমঃ ॥ যেনেদং বিশ্বমখিলং চরাচরবিরাজিতম্‌ । প্রধানং পুরুষঞ্চৈব অব্‌ভ্রাদ্‌বৃষ্টিরিবাজনি ॥ স্বপ্রকাশং মহাত্মানং পরংজ্যোতিঃ সনাতনম্‌ । যমামনস্তি তং বন্দে সবিতারং নৃচক্ষুষঃ ॥ উমাকান্ত বিরূপাক্ষ নীলকণ্ঠ সদাশিব । মৃত্যুঞ্জয় মহাভাগ যদ্ভদ্রং তৎ তমাবহ ॥ কপর্দ্দিনে নমস্তভ্যং নীলগ্রীবায় তে নমঃ । কৃশানুরেতসে তুভ্যং শিবো নঃ সুমনা ভব ॥ যতঃ সমুদ্রাঃ সরিতোহদ্রয়শ্চ গন্ধর্ব্বযক্ষাঃ সুরসিদ্ধসঙ্ঘাঃ । যতশ্চ চেষ্টাং কুরুতে হি জন্তুঃ স নোহশ্চ দেবশ্চ শুভপ্রদশ্চ ॥ ধ্যায়ন্তি যং যোগিজনা বিশুদ্ধং সর্ব্বান্তরাত্মালয়রূপগয়ম্‌ । স্বতন্ত্রমেকং গুণবন্নিধানৎ নমামি ভূয়ঃ প্রণ্মামি ভূয়ঃ ॥ তদিদং শঙ্করস্ত্রোত্রং সাগরেণ প্রভাষিতম্‌ । সর্ব্বান্‌ কামানবাপ্নোতি ত্রিসন্ধ্যং যঃ পঠেন্নরঃ ॥ #ভগীরথের_শিব_স্তব (বাংলা #অনুবাদ : - যিনি প্রণতদিগের পীড়ানাশক, বেদাদি শাস্ত্র প্রমাণ দ্বারা অজ্ঞেয় এবং যিনি প্রণব স্বরূপ, সেই জগতপতি ঈশানদেবকে নমস্কার করি । এই জগত যাঁহার রূপ, যিনি উৎপত্তিরহিত এবং যিনি সর্গ – স্থিতি – বিনাশের কারণ, সেই ঊর্ধ্বরেতা বিশ্বরূপী বিরূপাক্ষকে নমস্কার করি । যোগীন্দ্রগণ যাঁহাকে আদি - অন্ত - মধ্য রহিত এবং অজ, অব্যয় এইরূপ কহিয়া থাকেন, সেই সন্তোষবর্ধন অনন্তকে নমস্কার করি । যিনি ত্রিলোকের অধীশ্বর, যিনি সকলের প্রতি অনুরাগী এবং সকলে যাহার প্রতি অনুরক্ত, তাঁহাকে নমস্কার । নীলকণ্ঠকে নমস্কার । পশুপতিকে নমস্কার। যিনি চৈতন্যস্বরূপ, তাঁহাকে নমস্কার । যিনি পুষ্টদিগের অধীশ্বর, তাঁহাকে নমস্কার। যাঁহার স্মরণমাত্রে সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়, তাঁহাকে নমস্কার । মীঢ়ুষ্টমকে নমস্কার । রুদ্রদেবকে নমস্কার । কপর্দ্দী প্রচেতাকে নমস্কার । পিণাকপাণিকে নমস্কার। শূলপাণিকে নমস্কার । তুমি সমস্ত ভূতস্বরূপ তোমাকে নমস্কার । ঘণ্টাহস্তকে নমস্কার, পঞ্চাস্যহস্তকে নমস্কার । ক্ষেত্রপতিকে নমস্কার। কপালহস্তকে নমস্কার । পাশ এবং মুদগুরপাণিকে নমস্কার । যাহারা সমস্ত পাপরাশিকে বিনষ্ট করিয়া থাকে, তাঁহাদিগের প্রভুকে নমস্কার । যিনি ভূতগণের অধীশ্বর, তাঁহাকে নমস্কার । এবং ক্ষেত্রীদিগের পতিকে নমস্কার । হিরণ্যগর্ভকে নমস্কার, হিরন্যপতিকে নমস্কার । তুমি হিরণ্যরেতা, তোমাকে নমস্কার । এই সমস্ত বিশ্বসংসার তোমার ধ্যানান্তর, তোমাকে নমস্কার । তুমিই ধ্যানস্বরূপ, ধ্যানের সাক্ষী এবং ধ্যানকর্ত্তা, তোমাকে নমস্কার । ও অহিব্রধ্নকে নমস্কার । মেঘ যেরূপ বৃষ্টি সৃজন করিতেছেন, যিনি প্রধান পুরুষ এবং যিনি স্বপ্রকাশ - স্বরূপ, পণ্ডিতগণ যাঁহাকে সনাতন পরমজ্যোতি স্বরূপ বলিয়া কীর্তন করিয়াছেন, সেই মনুষ্য – চক্ষুর – সূর্যস্বরূপ মহাত্মাকে প্রণাম করি । হে উমাকান্ত ! হে বিরূপাক্ষ ! হে নীলকণ্ঠ ! হে সদাশিব ! হে মৃত্যুঞ্জয় ! হে মহাভাগ ! যাহা মঙ্গল তুমি তাহাই বিধান কর । কপর্দ্দীকে নমস্কার। হে নীলগ্রীব ! তোমাকে নমস্কার । কৃশানুরেতাকে নমস্কার । শিব আমাদিগের প্রতি প্রসন্নমনা হউন । সমুদ্র, নদী, পর্বত, গন্ধর্ব, যক্ষ, দেবতা এবং সিদ্ধগণ যাঁহা হইতে উৎপন্ন হইয়াছে, জীবগণ যাহা হইতে চেষ্টা করিতেছে, সেই মহাদেব আমাদিগের শুভ প্রদান করুন । যোগীগণ যাঁহাকে বিশুদ্ধরূপে ধ্যান করিতেছেন, যাঁহাকে সকল প্রাণীর অন্তরাত্মার আশ্রয়রূপে গান করেন, যিনি অদ্বিতীয় এবং স্বতন্ত্র, যিনি সমস্ত গুণাশ্রয়ের আধার, তাঁহাকে বারবার নমস্কার করি । যে ব্যাক্তি ত্রিসন্ধ্যা সময়ে এই সাগরভাষিত শঙ্করস্ত্রোত্র পাঠ করে, সে সমস্ত ইচ্ছানুরূপ ফললাভ করে ॥ . ॐ নমঃ শিবায়