#জয় বিশ্বকর্মা #🙏🏻জয় বাবা বিশ্বকর্মা🙏🏻 #জয় বিশ্বকর্মা দেবের জয় # জয় বাবা বিশ্বকর্মা 🙏
# জয় বাবা বিশ্বকর্মা ༊◎⃝◎❥ *#দেব_শিল্পী_বিশ্বকর্মা_পুজা* ❥◎⃝◎༊
🌺🌿বৃহস্পতির ভগিনী যোগসিদ্ধা এবং অষ্টম বসু প্রভাসের পুত্র বিশ্বকর্মা হলেন দেব শিল্পী, কারিগর-শ্রেষ্ঠ । ঋগবেদ অনুযায়ী, বিশ্বকর্মা সৃষ্টির দেবতা । তিনিই ব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা, বিশ্বভুবনের নির্মাতা । পৌরাণিক কাহিনি মতে, যুগে যুগে তিনি একের পর এক বিস্ময়কর স্থাপত্য নির্মাণ করে গিয়েছেন ।
বিশ্বকর্মা পূজা হলো হিন্দু ধর্মের এক বিশেষ উৎসব, যেখানে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা দেব-এর পূজা করা হয় । তিনি হলেন স্থাপত্য, প্রযুক্তি, যন্ত্র, শিল্পকলা ও সৃজনশীলতার দেবতা । বিশ্বকর্মা পূজা – তারিখ, মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য
📅 কবে পালিত হয়:
বিশ্বকর্মা পূজা প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শেষ দিন (ভাদ্র সংক্রান্তি বা কন্যা সংক্রান্তি) তিথিতে পালিত হয় । ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ বা ১৮ তারিখে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় ।
🏵️এই বছর বিশ্বকর্মা পূজা হবে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার ।
🪔 #বিশ্বকর্মা_পূজার_মাহাত্ম্য
1. বিশ্বকর্মা দেবের পরিচয়:
বিশ্বকর্মা হলেন দেবশিল্পী বা দেবতাদের স্থপতি । তিনি স্বর্গলোকের মহিমান্বিত স্থাপত্য, দেবদেবীর রথ, অস্ত্রশস্ত্র, দেবমন্দির, ও দিভ্য যন্ত্রের নির্মাতা । হিন্দু পুরাণে তাঁকে “বিস্বকর্মা মহর্ষি” বলা হয় ।
2. সৃষ্টি ও প্রযুক্তির দেবতা:
তাঁকে প্রযুক্তি, স্থাপত্যশিল্প, যন্ত্রবিদ্যা ও শিল্পকলার আদি গুরু হিসেবে মানা হয় । তাই তাঁকে "ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেকচারের দেবতা" বলা হয় ।
3. শিল্পী ও শ্রমজীবীদের পূজার দেবতা:
বিশ্বকর্মা পূজা বিশেষভাবে কারিগর, স্থপতি, প্রকৌশলী, কারখানা, কারখানার শ্রমিক, মেশিনচালক, ব্যবসায়ী, নির্মাণকর্মী ও শিল্পমাধ্যমে যুক্ত সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
4. সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির প্রার্থনা:
ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই পূজার মাধ্যমে জীবনে কর্মফল বৃদ্ধি, কর্মস্থলে নিরাপত্তা, সাফল্য ও সমৃদ্ধি আসে ।
✨ তাৎপর্য
🟠শ্রমের মর্যাদা: বিশ্বকর্মা পূজা শ্রমজীবী ও কারিগরদের শ্রদ্ধা জানানোর একটি সামাজিক উৎসব ।
🟠প্রযুক্তির পুজো: মেশিন, কারখানা, যানবাহন, অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি বিশেষভাবে পূজিত হয় ।
🟠সমষ্টিগত উৎসব: অফিস, কারখানা, গ্যারেজ, দোকান, স্কুল-কলেজে সমবেতভাবে পালিত হয় ।
🟠উন্নতি ও অগ্রগতির প্রতীক: সমাজে শিল্প, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ।
🌸 পূজা-পদ্ধতি সংক্ষেপে
মূর্তি বা প্রতীকী ছবি স্থাপন ।
যন্ত্রপাতি, মেশিন, যানবাহন পরিষ্কার করে সাজানো ।
পুষ্প, ধূপ, প্রদীপ, ভোগ নিবেদন ।
আরতি ও প্রসাদ বিতরণ ।
কোথাও কোথাও ঘুড়ি ওড়ানোও এই পূজার বিশেষ রীতি
👉 বিশ্বকর্মা পূজা হলো কর্মশক্তি, প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতার মহোৎসব, যা মানুষকে শ্রমের মর্যাদা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রেরণা জোগায় ।
🪔 বিশ্বকর্মা পূজা – ঐতিহাসিক কাহিনী ও পুরাণকথা
বিশ্বকর্মা দেবতা হিন্দু ধর্মের সৃষ্টি, স্থাপত্য ও প্রযুক্তির দেবতা । তাঁকে বলা হয় দেবশিল্পী, স্বর্গ ও পৃথিবীর স্থপতি । পুরাণ ও ইতিহাসে তাঁর অসংখ্য উল্লেখ রয়েছে । নিচে বিশদভাবে তুলে ধরা হলো—
📖 পুরাণকথা অনুযায়ী বিশ্বকর্মা দেব
1. ব্রহ্মার সন্তান:
কিছু পুরাণ মতে, বিশ্বকর্মা দেব হলেন ব্রহ্মার সন্তান । আবার অন্য সূত্রে বলা হয়েছে, তিনি প্রজাপতি থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তিনি বিশ্বসৃষ্টি, যন্ত্রবিদ্যা ও শিল্পকলার নিয়ামক ।
2. স্বর্গ ও দেবলোক নির্মাণ:
দেবরাজ ইন্দ্রের রাজধানী অমরাবতী নগরী বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেছিলেন ।
দেবতাদের সকল রথ, দুর্গ, প্রাসাদ ও অস্ত্র তিনিই নির্মাণ করেন ।
এমনকি ইন্দ্রের বজ্রায়ুধও বিশ্বকর্মারই সৃষ্টি, যা ঋষি দধিচির অস্থি থেকে তৈরি হয়েছিল ।
3. শিবের ত্রিশূল:
মহাদেব শিবের হাতে যে ত্রিশূল, তা বিশ্বকর্মার নির্মিত । এটি অমিত শক্তিধর অস্ত্র, যা দ্বারা অসুর বিনাশ সম্ভব হয়েছিল ।
4. বিষ্ণুর অস্ত্র ও রথ:
বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র বিশ্বকর্মারই সৃষ্টি ।
বিষ্ণুর মহারথ, দেব-অস্ত্র ও অলৌকিক অলঙ্কারও তিনি তৈরি করেছিলেন ।
5. দেবী দুর্গার জন্য অস্ত্র:
মহিষাসুর বধের সময় দেবী দুর্গাকে দেবতারা যে সব অস্ত্রশস্ত্র উপহার দিয়েছিলেন, সেগুলো সবই বিশ্বকর্মা তৈরি করেছিলেন । যেমন— ত্রিশূল, খড়গ, গদা, ধনুক ইত্যাদি ।
6. ত্রিলোক নির্মাতা:
বিভিন্ন পুরাণে বলা হয়েছে, ত্রিলোক— স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল— সবই বিশ্বকর্মা দেবতার স্থাপত্যশিল্পের ফল ।
🏛 ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কাহিনি
1. শ্রমজীবীদের রক্ষাকর্তা:
প্রাচীন ভারতীয় সমাজে কৃষক, কারিগর, স্থপতি ও শিল্পীরা বিশ্বকর্মাকে গুরু ও দেবতা হিসেবে মানতেন । তিনি শ্রম, শিল্প ও প্রযুক্তির প্রতীক হিসেবে পূজিত হন ।
2. কারখানা ও প্রযুক্তি উৎসব:
প্রাচীনকাল থেকেই লৌহশিল্প, স্থাপত্যশিল্প ও যন্ত্রবিদ্যার সাথে যুক্ত লোকেরা ভাদ্র সংক্রান্তির দিন পূজা করতেন । সেই থেকে ধীরে ধীরে এটি একটি সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে ।
3. ঘুড়ি উৎসবের সম্পর্ক:
বাংলার বহু জায়গায় বিশ্বকর্মা পূজার দিনে ঘুড়ি ওড়ানো হয় । ধারণা করা হয়, এটি আকাশজয় ও প্রযুক্তি শক্তির প্রতীক ।
🌟 বিশ্বকর্মা পূজার মূল শিক্ষা
শ্রম ও কর্মই পূজা – কাজকে পূজা রূপে গ্রহণ করা ।
সৃজনশীলতার মহিমা – প্রযুক্তি, শিল্প ও বিজ্ঞানের উন্নতি সমাজের সমৃদ্ধির পথ ।
ঐক্য ও সহযোগিতা – কারখানা, অফিস, দোকান, স্কুলে একসাথে পূজা করা সমাজে ঐক্য গড়ে তোলে ।
🌿 শ্রীশ্রী বিশ্বকর্মা'দেবের উৎপত্তি-🌿
পুরান মতে তিনি হলেন কারিগরি দেবতা। অষ্টম বসু প্রভাস হলেন তাঁর পিতা ও মাতা হলেন বৃহস্পতির ভগিনী, বরবর্ণিনী । আবার ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণে বর্ণিত তাঁর জন্ম ব্রহ্মা'র নাভি থেকে । পুরানে কাহিনীতে উল্লেখ করা আছে- তাঁর সৃষ্টি কার্যের কথা । ভগবক পুরাণের লেখা আছে- শ্রীকৃষ্ণের রাজ্য দ্বারকা নির্মান করেছেন বিশ্বকর্মা। মহাভারতে ও ওনার কথা বিভিন্ন জায়গাতে উল্লেখ আছে ।
🌿 শ্রীশ্রী বিশ্বকর্মা'দেবের পূজা পদ্ধতি-🌿
❝পুরাণ ও সনাতনী শাস্ত্র মতে বিশ্বকর্মা দেবের পূজা করলে শিল্প'বিদ্যায় পারদর্শী হয় ভক্ত'রা । তিনি হলেন চতুর্ভুজ ও গজারূঢ়- ওনার বাহন হলো- মস্তী❞ ।
🌿শ্রীশ্রী বিশ্বকর্মা'দেবের ধন্যা মন্ত্র-🌿
❝ॐ বিশ্বকর্মন্ মহাভাগ সুচিত্রকর্মকারক্ ।
বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃক্ ত্বঞ্চ রসনামানদশুধৃক্ ❞ ।
অর্থাৎ,
❝হে দংশপাল "বর্মের দ্বারা পালনকারী" হে মহাবীর, হে সুন্দর চিত্র'রূপ কর্মকারক, আপনি মাল্য চন্দন ধারন করে থাকেন❞ ।
🌿 শ্রীশ্রী বিশ্বকর্মা'দেবের প্রণাম মন্ত্র-🌿
❝দেবশিল্পী মহাভাগ দেবানাং কার্য্যসাধক।
বিশ্বকর্মন্নমস্ত্তভ্যং সর্বাভীষ্টপ্রদয়ক❞ ।।
❝দেবশিল্পী, মহাভাগ দেবতা'দের কারু কার্য্যসাধক সর্বাভীষ্ট প্রদানকারী হে বিশ্বকর্মা আপনাকে আমি প্রণাম করি ❞ ।
👉 অর্থাৎ, পুরাণে বিশ্বকর্মা দেব হলেন দেবশিল্পী, আর ইতিহাসে তিনি শ্রম, প্রযুক্তি ও অগ্রগতির প্রতীক ।
┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈
🚩 ❀ * #জয়_বিশ্বকর্মা * ❀ 🚩
💖❥▬▬▬❥🙏👣🕉️👣🙏❥▬▬▬❥💖