#শ্রীমত ভাগবত গীতা 🙏 #ভাগবত গীতা #💓জয় গীতা 🙏❤🕉 #হিন্দুদের আস্থা, হিন্দুদের গর্ব ❤️🌿 জয় গীতা 🙏❤️ #জয় শ্রী কৃষ্ণ 🌿 . 🕉️⚛️💗 #সনাতন_ধর্ম 💗⚛️🕉️⛳🚩
#জয়_শ্রী_কৃষ্ণ_challenge ⛳❤️🚩
#জয়_গীতা_challenge ⛳🌿🚩
আজ আশ্বিন শনিবার 27/09/2025
*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼⚛️🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••*
#শ্রীমদ্ভগবদগীতা
#সাংখ্য_যোগ ( ৯১,৯২ )
#দ্বিতীয়_অধ্যায় : - ২ #শ্লোক : - ৪৫,৪৬
#গীতার_দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_নম্বর : - ৪৫,৪৬
🌿🌿🌿 ওঁ তৎ সৎ🙏🏻🙏
#দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৪৫
त्रैगुण्यविषया वेदा निस्त्रैगुण्यो भवार्जुन ।
निर्द्वन्द्वो नित्यसत्त्वस्थो निर्योगक्षेम आत्मवान् ।।२.४५।।
ত্রৈগুণ্যবিষয়া বেদা নিস্ত্রৈগুণ্যো ভবার্জুন ।
নির্দ্বনেন্দ্বা নিত্যসত্ত্বস্থো নির্যোগক্ষেম আত্মবান্ ।।২.৪৫।।
#অনুবাদ : -
বেদে প্রধানত জড়া প্রকৃতির তিনটি গুণ সম্বন্ধেই আলোচনা করা হয়েছে । হে অর্জুন ! তুমি সেই গুণগুলিকে অতিক্রম করে নির্গুণ স্তরে অধিষ্ঠিত হও । সমস্ত দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত হও এবং লাভ-ক্ষতি ও আত্মরক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে অধ্যাত্ম চেতনায় অধিষ্ঠিত হও ।
#সারাংশ : -
জড় প্রকৃতির তিনটি গুণের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে জড় জগতের সমস্ত কার্যকলাপ সাধিত হয় । সেইগুলি মূলত সকাম কর্ম, যা জীবকে জড় জগতের বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে । বেদ সাধারণতঃ সকাম কর্ম করার শিক্ষা দান করে, যাতে সাধারণ মানুষ জড় সুখভোগ ও জড় ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তিসাধনের স্তর থেকে ক্রমশ চিন্ময় স্তরে উন্নীত হতে পারে । ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় সখা ও শিষ্যরূপে অর্জুনকে এখানে উপদেশ প্রদান করা হয়েছে বেদান্ত দর্শনের মর্ম উপলব্ধি করে পরা প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিত হতে । এই বেদান্ত দর্শনের শুরুই হয়েছে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা দিয়ে, অর্থাৎ পরব্রহ্মের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা বা অনুসন্ধান করা । জড় জগতে প্রতিটি জীবই বেঁচে থাকার জন্য কঠোর সংগ্রাম করছে । এই সমস্ত মায়াবদ্ধ জীবকে উদ্ধার করার জন্য ভগবান সৃষ্টির আদিতে বৈদিক জ্ঞান দান করেন, যাতে তারা বুঝতে পারে কিভাবে জীবনযাপন করলে তারা এই জড় বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারবে । বেদের কর্মকাণ্ড নামক অধ্যায়ে জাগতিক কামনা - বাসনার তৃপ্তিসাধনজনিত কার্যকলাপ শেষ হওয়ার পর উপনিষদের মাধ্যমে ভগবত্তত্ত্ব সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । বিভিন্ন উপনিষদ হচ্ছে বিভিন্ন বেদের মর্মার্থ, যেমন গীতোপনিষদ বা ভগবদ্গীতা হচ্ছে পঞ্চম বেদ মহাভারতের অংশ । এই উপনিষদগুলির মাধ্যমে মানুষের পারমার্থিক জীবন শুরু হয় । যতক্ষণ আমাদের জড় দেহ আছে, ততক্ষণ জড় গুণের প্রভাবে আমাদের কর্ম করতে হয় এবং তার ফল ভোগ করতে হয় । আমাদের সুখ, দুঃখ, শীত ও উষ্ণের দ্বন্দ্বভাব থেকে মুক্ত হয়ে সহনশীলতার শিক্ষা #অর্জন করতে হবে এবং তা করতে পারলে লাভক্ষতির উৎকণ্ঠা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে । #ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছার অধীনে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করে কৃষ্ণভাবনাময় হতে পারলে এই দিব্যস্তর লাভ করা যায় ।
✧════════•❁❀❁•════════✧
#দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৪৬
यावानर्थ उदपाने सर्वतः संप्लुतोदके ।।
तावान्सर्वेषु वेदेषु ब्राह्मणस्य विजानतः ।।२.४६।।
যবানর্থ উদপানে সর্বতঃ সংপ্লতোদকে ।
ভবান্ সর্বেষু বেদেষু ব্রাক্ষণস্য বিজানতঃ ।।২.৪৬।।
#অনুবাদ : -
ক্ষুদ্র জলাশয়ে যে সমস্ত প্রয়োজন সাধিত হয়, সেগুলি বৃহৎ জলাশয় থেকে আপনা হতেই সাধিত হয়ে যায়। তেমনই, ভগবানের উপাসনার মাধ্যমে যিনি পরব্রক্ষের জ্ঞান লাভ করে সব কিছুর উদ্দেশ্য উপলব্ধি করেছেন, তাঁরা কাছে সমস্ত বেদের উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে।
#সারাংশ : -
“হে ভগবান, নিরন্তর যিনি আপনার নামকীর্তন করেন, তিনি চণ্ডালের মতো নীচকুলে জন্মগ্রহণ করলেও অধ্যাত্মমার্গের অতি উচ্চস্তরে অধিষ্ঠিত । এই প্রকার মানুষ বৈদিক শাস্ত্রের নির্দেশ অনুসারে বহু তপশ্চর্যা করেছেন এবং সমস্ত পুণ্যতীর্থে বহুবার স্নান করে বহুবার বেদ অধ্যয়ন করেছেন । এমন মানুষকে আর্যকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলেই বিবেচনা করা হয় ।” সুতরাং, কেবল আচার - অনুষ্ঠান করে স্বর্গলোকে উন্নততর ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ করার প্রতি আসক্ত না হয়ে বেদের প্রকৃত উদ্দেশ্যটি বোঝবার চেষ্টা করা উচিত । বৈদিক শাস্ত্র নির্দেশিত বিভিন্ন যাগযজ্ঞের অনুষ্ঠান করা, সমস্ত বেদ, বেদান্ত ও উপনিষদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুশীলন করা এই যুগের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় । বেদের শিক্ষা অনুসারে সঠিকভাবে সব কিছু পালন করার জন্য যে সময়, শক্তি, জ্ঞান এবং ঐশ্বর্যের প্রয়োজন, তা এই যুগের মানুষের নেই । তাই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই কলিযুগের অধঃপতিত মানুষদের উদ্ধার করবার জন্য ভগবানের দিব্যনামের সংকীর্তন করার পথ প্রদর্শন করে গেছেন । মহাপণ্ডিত প্রকাশানন্দ সরস্বতী যখন শ্রী #চৈতন্য_মহাপ্রভুর কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি কেন বেদান্ত দর্শন পাঠ না করে ভাবুকের মতো ভগবানের নামকীর্তন করছেন, তখন তার উত্তরে শ্রীচৈতন্য #মহাপ্রভু বলেছিলেন যে, তাঁর গুরুদেব তাঁকে অত্যন্ত মূর্খ বিবেচনা করে পবিত্র কৃষ্ণনাম কীর্তন করার নির্দেশ দিয়েছেন; তা করতে করতে তিনি ভগবদ্ভক্তির ভাবে উন্মাদ হয়ে উঠেছেন । এই কলিযুগে অধিকাংশ মানুষই মূর্খ এবং বেদান্ত দর্শন বোঝার মতো ক্ষমতা তাদের নেই । ভগবানের দিব্যনাম নিরপরাধে কীর্তন করার মাধ্যমে বেদান্ত দর্শনের উদ্দেশ্য যথাযথভাবে সাধিত হয় । বৈদিক জ্ঞানের শেষ কথা হচ্ছে বেদান্ত । #ভগবান #শ্রীকৃষ্ণ এই বেদান্ত দর্শনের প্রবক্তা ও জ্ঞাতা; এবং যিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নামকীর্তন করে অসীম আনন্দ উপভোগ করেন, তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ বৈদান্তিক ৷ সেটিই অতীন্দ্ৰিয় বৈদিক জ্ঞানের চরম উদ্দেশ্য ।
( প্রতিদিন শ্রীমদ্ভগবদগীতার ১ টি করে শ্লোক পড়তে এই পেজটির সাথে থাকুন ।)
*─⊱✼ #হরে_কৃষ্ণ ✼⊰─*
*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼🌼🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••*
#হরে_কৃষ্ণ_হরে_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_হরে_হরে !
#হরে_রাম_হরে_রাম_রাম_রাম_হরে_হরে । ।
🙏🙏 #জয়_শ্রী_কৃষ্ণ 🙏🙏
🙏 #রাধে_রাধে 🙏
∙──༅༎ Hare Krishna 🙏༎༅──
