#শ্রীমত ভাগবত গীতা 🙏 #শ্রীমৎ ভাগবত গীতা #💓জয় গীতা 🙏❤🕉 #হিন্দুদের আস্থা, হিন্দুদের গর্ব ❤️🌿 জয় গীতা 🙏❤️ #জয় শ্রীকৃষ্ণ 🌿 . 🕉️⚛️💗 #সনাতন_ধর্ম 💗⚛️🕉️⛳🚩
#জয়_শ্রী_কৃষ্ণ_challenge ⛳❤️🚩
#জয়_গীতা_challenge ⛳🌿🚩
আজ ২4 আশ্বিন শনিবার 11/10/2025
*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼⚛️🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••*
#শ্রীমদ্ভগবদগীতা
#সাংখ্য_যোগ ( ১১৫,১১৬ )
#দ্বিতীয়_অধ্যায় : - ২ #শ্লোক : - ৬৯,৭০
#গীতার_দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_নম্বর : - ৬৯,৭০
🌿🌿🌿 ওঁ তৎ সৎ🙏🏻🙏
#দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৬৯
या निशा सर्वभूतानां तस्यां जागर्ति संयमी ।
यस्यां जाग्रति भूतानि सा निशा पश्यतो मुनेः ।।२.६९।।
যা নিশা সর্বভূতানাং তস্যাং জাগর্তি সংযমী ।
যস্যাং জাগ্রতি ভুতানি সা নিশা পশ্যতো মুনেঃ ।।২.৬৯।।
#অনুবাদ : -
সমস্ত জীবের পক্ষে যা রাত্রিস্বরূপ, স্থিতপ্রজ্ঞ সেই রাত্রিতে জাগরিত থেকে আত্ম-বুদ্ধিনিষ্ঠ আনন্দকে সাক্ষাৎ অনুভব করেন । আর যখন সমস্ত জীবেরা জেগে থাকে, তখন তত্ত্বাদর্শী মুনির নিকট তা রাত্রিস্বরূপ ।
#সারাংশ : -
এই জগতে দুই রকমের বুদ্ধিমান মানুষ বিদ্যমান । এক ধরনের বুদ্ধিমান মানুষ ইন্দ্রিয়সুখভোগের উদ্দেশ্যে বৈষয়িক ব্যাপারে দক্ষ, আর অন্য ধরনের বুদ্ধিমানেরা আত্মানুসন্ধানী এবং তাঁরা আত্মতত্ত্বজ্ঞান লাভের চেষ্টায় সদা জাগ্রত । আত্মানুসন্ধানী সাধু বা চিন্তাশীল মানুষের কার্যকলাপ জাগতিকভাবে আচ্ছন্ন মানুষদের কাছে রাত্রির মতো । আত্মোপলব্ধি বিষয়ে অজ্ঞতার জন্য জড়-জাগতিক মানুষেরা এই ধরনের রাত্রির অন্ধকারে ঘুমিয়ে থাকে ৷ কিন্তু তত্ত্বদর্শী মুনি জড়-জাগতিক মানুষদের ‘রাত্রিতে’ সজাগ থাকেন । সেই সময় সাধুজন আধ্যাত্মিক চর্চায় ক্রমশ অগ্রগতির ফলে অপ্রাকৃত আনন্দ উপলব্ধি করেন, আর বৈষয়িক মানুষ ঘুমিয়ে থেকে নানা রকম ইন্দ্রিয় উপভোগের স্বপ্ন দেখে; সেই স্বপ্নে সে কখনও নিজেকে সুখী বলে মনে করে এবং কখনও ঘুমের ঘোরে দুঃখী বলে মনে করে । এই সমস্ত জড়-জাগতিক সুখদুঃখের প্রতি আত্মানুসন্ধানী ব্যক্তি সর্বদাই উদাসীন থাকেন । তিনি জড়-জাগতিক প্রতিক্রিয়ায় সম্পূর্ণ অবিচলিত থেকে আত্মোপলব্ধির কাজে সচেষ্ট থাকেন ।
✧════════•❁❀❁•════════✧
#দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৭০
आपूर्यमाणमचलप्रतिष्ठं समुद्रमापः प्रविशन्ति यद्वत् ।
तद्वत्कामा यं प्रविशन्ति सर्वे स शान्तिमाप्नोति न कामकामी ।।२.७०।।
আপূর্যমাণমচলপ্রতিষ্ঠং সমুদ্রমাপঃ প্রবিশন্তি যদ্ধৎ ।
তদ্বৎ কামা যং প্রবিশন্তি সর্বে স শান্তিমাপ্নোতি ন কামকামী ।।২.৭০।।
#অনুবাদ : -
জলরাশি যেমন সদা পরিপূর্ণ এবং স্থির সমু্দ্রে প্রবেশ করেও তাকে ক্ষোভিত করতে পারে না, কামসমূহও তেমন স্থিতপ্রজ্ঞ ব্যক্তিতে প্রবিষ্ট হয়েও তাঁকে বিক্ষুব্ধ করতে পারে না । অতএব তিনিই শান্তি লাভ করেন, বিষয়কামী ব্যক্তি কখনও শান্তিলাভ করতে পারে না ।
#সারাংশ : -
যদিও মহাসমুদ্র সব সময় জলে পূর্ণ থাকে এবং বিশেষ করে বর্ষার কিন্তু সমুদ্রের কোনও সময় নদীবাহিত হয়ে আরও জল সমুদ্রে প্রবেশ করে, এমনকি পরিবর্তন হয় না—স্থির থাকে ৷ সমুদ্র তখনও বিক্ষুব্ধ হয় না, বেলাভূমিও অতিক্রম করে না । তেমনই, কৃষ্ণভাবনায় কৃষ্ণভক্তও সব সময় অবিচল থাকেন । যতক্ষণ মানুষের জড় দেহ আছে, ততক্ষণ ইন্দ্ৰিয়তৃপ্তির জন্য দেহের চাহিদাও থাকবে । কিন্তু ভগবানের ভক্ত তাঁর পূর্ণতার জন্য এই সমস্ত কামনা-বাসনার দ্বারা কখনই বিচলিত হন না । কৃষ্ণভক্তের কোন কিছুরই অভাব নেই, কারণ #ভগবান তাঁর সমস্ত প্রয়োজন পূরণ করেন । তাই তিনি সমুদ্রের মতো নিজের মধ্যেই সর্বদা পরিপূর্ণ । নদীর জলের সমুদ্রে প্রবেশ করার মতো কামনা বাসনা তাঁর হৃদয়ে প্রবেশ করলেও তিনি অবিচল থাকেন এবং বিন্দুমাত্রও কামনা - বাসনার দ্বারা বিক্ষুব্ধ হন না । সেটিই ভগবদ্ভক্তের প্রমাণ–জড় জগতের ভোগবাসনার প্রতি তিনি সম্পূর্ণ উদাসীন, যদিও বাসনাগুলি বর্তমান থাকে । ভগবানের সেবায় গভীরভাবে মগ্ন থাকার ফলে তিনি যে আনন্দ লাভ করেছেন, তা সমুদ্রের মতোই অতলস্পর্শী । আর তাই তিনি পূর্ণ শান্তি উপভোগ করেন । পক্ষান্তরে, যারা এমনকি মুক্তিরও আকাঙ্ক্ষী–জাগতিক সাফল্যের জন্য আকাঙ্ক্ষীদের আর কি কথা, তারা সর্বদাই অশান্ত । সকাম কর্মী, মুক্তিকামী ও সিদ্ধিকামী যোগী সকলেই তাদের অপূর্ণ বাসনার কারণে অশান্ত । কিন্তু কৃষ্ণভক্ত ভগবানের সেবায় সর্বতোভাবে পরম আনন্দ লাভ করে থাকেন, তাঁর কোন বাসনাই অপূর্ণ থাকে না । বাস্তবিকপক্ষে, তিনি এমনকি জড় জগতের তথাকথিত বন্ধন থেকে মুক্তির কামনাও করেন না । কৃষ্ণভক্তদের কোন জড় কামনা-বাসনা থাকে না এবং তাই তাঁরা সম্পূর্ণরূপে শান্ত ।
( প্রতিদিন শ্রীমদ্ভগবদগীতার ১ টি করে শ্লোক পড়তে এই পেজটির সাথে থাকুন ।)
*─⊱✼ #হরে_কৃষ্ণ ✼⊰─*
*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼🌼🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••*
#হরে_কৃষ্ণ_হরে_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_হরে_হরে !
#হরে_রাম_হরে_রাম_রাম_রাম_হরে_হরে । ।
🙏🙏 #জয়_শ্রী_কৃষ্ণ 🙏🙏
🙏 #রাধে_রাধে 🙏
∙──༅༎ Hare Krishna 🙏༎༅──
