আজ বিকেলে কলকাতায় মুখোমুখি তৃণমূল ও বিজেপি
ভোট যত এগিয়ে আসছে দুই শাসক শিবিরের মধ্যে উন্মাদনা ততোই বাড়ছে। কেউ কাউকে 'সূচগ্র মেদিনী' ছাড়তে রাজি না। রেড রোডে কার্নিভালের দিনই শহরে রয়েছে বিজেপির মিছিল। কলকাতায় জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এদিনই পথে নামছে পদ্ম শিবির। দুপুর দু’টোয় কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত। সেখান থেকেই শুরু হবে মিছিল। মিছিল নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চললেও শুক্রবারই শর্তসাপেক্ষে বিজেপির মিছিলে অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। এদিকে পুজোর কার্নিভালের কথা উল্লেখ করে মিছিলের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। জল গড়ায় আদালতে। শেষ পর্যন্ত সেখানেই শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মেলে। বলা হয়েছে রুট বদলের কথা। কলেজ স্কোয়ার থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের পরিবর্তে কলেজ স্কোয়ার থেকে অন্য রুটে মিছিল করতে হবে। ৫ নয়, ৩ হাজার সমর্থক নিয়ে মিছিল করা যাবে। একইসঙ্গে স্টেজ কত বড় হবে তা ঠিক করে দেবে পুলিশ। এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশ দু'পক্ষকেই মানতে হবে।
এ প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা বলেন, “হাইকোর্টের অর্ডার আমরা দেখেছি। আমরা আমাদের হিসাবে ব্যবস্থা করছি। যেহেতু ওটা কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনার দিকে হচ্ছে তাই খুব একটা সমস্যা নেই। তবে ট্যাফিকের কিছু সমস্যা হতে পারে। কীভাবে ট্র্যাফিক পরিচালনা করা হবে সেটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে।” এদিকে ফের একবার রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতার পুরসভার ‘অপদার্থতার’ দিকে আঙুল তুলছেন। এদিকে একই দিনে দুই কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করে বলছেন, “দেখবি আর জ্বলবি লুচির মতো ফুলবি! কার্নিভাল বিশ্বায়নের উৎসব। পুজোর বিশ্বায়ন হচ্ছে এই কার্নিভাল।"
#political