""হৈমন্তীকা দেবী""ই দেবী দুর্গা""
🕉️🙏💡🙏🔱🙏💡🙏🕉️
জগদ্ধাত্রী পুজোই কল্যাণকর,তিনিই শ্রেষ্ঠা। একই দেবীর দুই রূপ।একজন দেবী দুর্গা,অন্য জন জগদ্ধাত্রী দেবী।দুর্গা পুজোর ঠিক এক মাস পরেই হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। আশ্বিন মাসের শুক্লা অষ্টমীতে দেবী দুর্গার মূল পুজো আর কার্তিকের শুক্লা নবমীতে দেবী জগদ্ধাত্রীর।নামেই বোঝা যায়,জগদ্ধাত্রী হলেন জগতের ধাত্রী।তিনিই জগৎ সভ্যতার পালিকা শক্তি।তিনি দেবী দুর্গারই আর এক রূপ।তাই জগদ্ধাত্রীর প্রণামমন্ত্রে তাঁকে ‘দুর্গা’ বলে স্তুতি করা হয়েছে।............শ্ৰী শিব বললেন,হে জগদ্ধাত্ৰি...! তুমি নিখিল জগতের আধার ও আধেয় স্বরূপ,তুমি ধৃতিরূপা,তুমি সমস্ত জগতের ভার বহন করছ,তুমি অচল স্বরূপা; জগৎ ধারণ করেও তুমি ধীরভাবে অবস্থিতা রয়েছ তোমাকে নমস্কার৷[>শ্রীশিব উবাচ।
আধারভুতে চাধেয়ে ধৃতিরূপে ধুরন্ধারে।
ধ্রুবে ধ্রুবপদে ধীরে জগদ্ধাত্ৰি, নমোহস্তুতে॥<]
আবার বললেন....তুমি শব,তুমিই শক্তি,তুমিই শক্তিতে অবস্থান করছ,আবার তুমিই শক্তি বিগ্ৰহধারিণী।তুমি শাক্তদের সপ্তাচারে সন্তুষ্টা।হে দেবি...! হে জগদ্ধাত্ৰি...! তোমাকে নমস্কার।[>শবাকারে শক্তিরূপে শক্তিস্থে শক্তিবিগ্ৰহে। শাক্তাচার-প্ৰিয়ে দেবি জগদ্ধাত্ৰি নমোহস্তুতে<]
এভাবেই আরো শ্লোক বলেই চললেন দেবাদিদেব মহাদেব......
দুই দেবীই ত্রিনয়না ও সিংহবাহিনী।তবে দুর্গার মতো জগদ্ধাত্রী দশভূজা নন।তাঁর চার হাতে শঙ্খ,চক্র,ধনুক ও বাণ থাকে।গলায় থাকে নাগযজ্ঞোপবীত।বাহন সিংহের নীচে হাতি। এই হাতি আসলে করীন্দ্রাসুর অর্থাৎ হাতিরূপী অসুর।
দেবদেবীদের মধ্যে জগদ্ধাত্রীই সর্বশ্রেষ্ঠা। নিখিল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সর্ব্বশ্রেষ্ঠ কে? অগ্নি? বায়ু? বরুণ? চন্দ্র? না, অন্য কোন দেবতা?.....!!!!প্রশ্ন শুনেই চার জনে হাত তুলে বসে আছে ....ওই একটু মজা করে লিখি....😁😁😁😁😁‼️একদা প্রথমোক্ত দেবতা-চতুষ্টয় ভ্রান্ত গর্ব্ববশতঃ নিজদিগকেই সর্ব্বশ্রেষ্ঠ এবং জগতের ঈশ্বর ব’লে সিদ্ধান্ত করেন।★তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন— মহাশক্তি-রূপিণী জগদ্ধাত্রীর শক্তিতেই তাঁরা শক্তিমান্।এর পরে কিভাবে দেবী জগদ্ধাত্রী অহঙ্কারী দেবতাদের গর্ব চূর্ণ করেছিলেন সেই কাহিনিও লিখি। .....
আসলে .....
দশপ্রহরণধারিনী মহামায়ার হাতে মহিষাসুর বধের পরে দেবতারা খুব অহঙ্কারী হয়ে পরেন।তাঁদের ধারণা,তাঁরা অস্ত্র দান করার জন্যই দেবী দুর্গা অসুর-নাশ করতে পেরেছেন।মহামায়ার শক্তিকে তাঁরা অস্বীকার করতে চান।ভুলে যান মহাশক্তি-রূপিণী জগদ্ধাত্রীর শক্তিতেই তাঁরা শক্তিমান।সেই অজ্ঞতাকে ভুল প্রমাণ করতে★ তিন কোটি সূর্যের সমষ্টি'গত দীপ্তি নিয়ে আবির্ভূত হন জ্যোতির্ময়ী জগদ্ধাত্রী।🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏লিখছি কোন কালে ???‼️যেখানে নারী কুলের'ই সন্মান নেই,প্রায় বছর চারেক আগে আমার পোস্টে অনেক ইউজার'ই,আসতো,তারপর কি করে যেনো সব পালিয়ে গেলো😁😁😁😁এক জন মন্তব্য করেছিল,এক হাতে তালি বাজে না,ঠিক,কিন্তু,দেখুন যে বলেছিল আজ সে ঘর বন্ধি,বাজার থেকে মাছ কিনতে গেলে ঘোলা জলের মাছ নিশ্চই খুজি না,গঙ্গার পরিস্রুত জলের মাছ কিনি বা কিনতে চেষ্টা করি,কিন্তু দেখবেন ওই গঙ্গা জলে কত অপরিশ্রুত বিষয়'ই না ভেসে বেড়ায়।আমাদের আর.জি. করের অভায়া,নিশ্চই পরিস্রুত।আমি লিখেছিলাম শ্রী কৃষ্ণই সাহায্য করবেন এক মাত্র,কথাটার অর্থ আজ বোঝাই,মর্তে যারা তাঁর জীবন নিয়েছে তাদের পরিণতি আজ খুব একটা নির্মল নয় যারা খোঁজ রাখেন জানতে পারেন।আর অভায়াও এখন স্বর্গে,ফিরবেন এক দিন,যেমন শ্রী বিষ্ণু অন্য রূপে শ্রী কৃষ্ণ রূপে ফিরেছিলেন। 🙏🙏🙏🙏🙏 যাক.....!!!! দেবী একটি তৃণখণ্ড সামনে রেখে, বায়ু ও অগ্নিকে স্থানচ্যুত বা দগ্ধীভূত করার নির্দেশ দেন।কিন্তু কেউই তা করতে পারেন না।বুঝতে পারেন,বৃথাই অহঙ্কার,একখণ্ড তৃণের শক্তিও তাঁদের নেই।বুঝতে পেরেই সকলে দেবী জগদ্ধাত্রীকে সকল শক্তির শ্রেষ্ঠ হিসেবে গ্রহণ করেন।দেবী তাঁর তেজো-রাশি স্তিমিত করে এক অনিন্দ্য মূর্তি ধারণ করলে সকলে ত্রিনয়না,চতুর্ভূজা,রক্তাম্বরা,সালংকারা,
"নাগযজ্ঞোপবীতধারিনী" জগদ্ধাত্রীর দর্শন পান।মঙ্গলময়ী মহা'দেবীর সেই মূর্তি দেখে দেবগণ তাঁর স্তবে বসেন৷.... শিব তথা ভোলা মহেশ্বর বলতে /বোঝাতে থাকেন .....
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি অগম্যস্বরূপা,জগতের আদিভূত, মাহেশ্বরী, তুমি বরাঙ্গনাস্বরূপা, অশেষরূপ-ধারিণী,তোমাকে নমস্কার।
হে জগদ্ধাত্রি! তুমি দ্বিসপ্তকোটি মন্ত্রের শক্তিস্বরূপ, নিত্যা, সৰ্ব্বশক্তিস্বরূপিণী, তোমাকে নমস্কার।[>অগম্যে জগতামাদ্যে মাহেশ্বরি বরাঙ্গনে।
অশেষরূপে রূপস্থে জগদ্ধাত্রি নমোহস্তুতে॥
দ্বিসপ্তকোটিমন্ত্রাণাং শক্তিরূপে সনাতনি।
সৰ্ব্বশক্তিস্বরূপে চ জগদ্ধাত্রি নমোহস্তুতে॥<]
......‼️‼️‼️জগদ্ধাত্রী যে দেবীশ্রেষ্ঠা,তা শোনা যায় ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের মুখেও।তিনি বলেছেন,...“জগদ্ধাত্রী রূপের মানে কী জান?যিনি জগৎ কে ধারণ করে আছেন।তিনি না ধরলে জগৎ পরে যায়— নষ্ট হয়ে যায়।মনকরী'কে যে বশ করতে পারে তারই হৃদয়ে জগদ্ধাত্রী উদয় হয়।”....মদমত্ত হাতি,তার উপরে শক্তির প্রতীক সিংহ আর তার উপরে দেবী জগদ্ধাত্রী।তিনিই মানুষের মত্ত মনকে বশ করতে পারেন।আসলে,কি জানেন???আমাদের মন মত্ত হস্তীর ন্যায় সর্ব্বদা মদান্বিত।সে অস্থির,উন্মাদ।এই দুরন্ত মনকরী'কে সদা উদ্যম'শীল বিবেক'সিংহের দ্বারা মর্দ্দন করতে হবে— মহাশক্তি'রূপিণী দেবীর বশীভূত করতে হবে।মন বশীভূত হ’লেই অন্তরে চৈতন্যময়ী জগদ্ধাত্রীর মহাপ্রকাশ অনায়াসলভ্য হয়।মনে রাখবেন
সিংহারূঢ়া জগদ্ধাত্রী যাঁকে রক্ষা করেন তাঁর পতন নেই,বিনাশ নেই।মূলত কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতেই জগদ্ধাত্রী পুজো বিহিত। তবে অনেক জায়গাতেই সপ্তমী,অষ্টমী,নবমী তিথিতে আলাদা আলাদা পুজো হয়।নবমী তিথিতে একসঙ্গে তিন তিথির পুজোও করা হয়।
“দয়া রূপে দয়া দৃষ্টে দয়ার্দ্রে দুঃখ মোচনি।
সর্ব্বাপত্তারিকে দুর্গে জগদ্ধাত্রী নমহস্তুতে।।”
পোস্ট এ পুরো শ্লোক শুনুন,আমার দেখা চন্দননগরের কিছু ঐতিহ্যময় প্রতিমা দর্শন করুন।সকলের মঙ্গল কাম্য।
🙏শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী দেব্যই নমঃ🙏
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
#শুভেচ্ছা #ভক্তি #চন্দননগর ঐতিহ্য জগদ্ধাত্রী প্রতিমা #❤️❤️❤️❤️ I love chandannagar #জগদ্ধাত্রী
কোন বৈশিষ্ট্যে বদলে যায় মা কালীর রূপ??🕉️‼️🙏‼️🙏‼️🕉️
"‘শ্যামা মা কি আমার কালো…’""
স্রেফ গানের কথা নয়।মায়ের মূর্তির দিকে তাকিয়ে এমন প্রশ্ন তুলতে পারেন যে কেউ। কারণ,একদিকে তিনি যেমন ঘোর কৃষ্ণবর্ণ, লোলজিহ্বা,দিগম্বরী।অন্যদিকে তিনিই শান্তমূর্তি,স্থির,বসনপরিহিতা,নীল বর্ণের এক দেবী।তাহলে শাস্ত্রমতে দেবীর আসল রূপ কেমন?দেখি কিছুটা পারি কিনা বোঝাতে...‼️‼️‼️সকলে মিলে আগে "মা"কে শতকোটি প্রণাম করে নিন।আমিও করলাম🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
আসলে তিনি কালের নিয়ন্ত্রণকারী
দশ'মহাবিদ্যার অন্যতমা।দেবীর পদতলে শায়িত মহাদেব।দু-পাশে ডাকিনি যোগিনী। চতুর্ভুজা,লোলজ্বিভা,এলোকেশী।ধ্যানমন্ত্র অনুসারে এই রূপ বর্ণনায় কোনও ভুল নেই। তবে কালী মানেই যে শুধুমাত্র এই একমাত্র রূপ তা কিন্তু নয়।দেবীর আরও একাধিক রূপের পুজোর চল রয়েছে।সেক্ষেত্রে মূলত তিনটি রূপ সামনে আসে।প্রথমে,শ্যামাকালী। এই দেবীর গাত্রবর্ণ নীল।দিগম্বরী নন।কোথাও শাড়ি কোথাও ডাকের সাজ দেখা যায়।দেবী নানা অলঙ্কারে ভূষিতা।তবে বাদবাকি ক্ষেত্রে কালীর ধ্যানমন্ত্রের সঙ্গেই এর সম্পূর্ণ মিল রয়েছে।অর্থাৎ ইনিও লোলজিহ্বা।পদতলে মহাদেব।কার্ত্তিক অমাবস্যায় যে কালীপুজোর চল রয়েছে,সেখানে মূলত এই দেবী মূর্তিই দেখা যায়।কোথাও কোথাও দেবীর গায়ের রং কৃষ্ণবর্ণও হতে পারে।তবে আপাতভাবে কৃষ্ণবর্ণের কালী মূর্তির আরও এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।বিখ্যাত সব কালীমূর্তি,তথা ভবতারিণী,করুণাময়ী,সিদ্ধেশ্বরী,সবার ক্ষেত্রেই এই বিশেষ বৈশিষ্ট দেখা যায়।আর তা হল,দেবী মূর্তির পায়ের অবস্থান।আপাত ভাবে কালীর ধ্যানমন্ত্রে পায়ের অবস্থান সম্পর্কে কিছু নির্দিষ্ট করা না থাকলেও,এই মূর্তিতে দেবীর দক্ষিণ বা ডান পা এগিয়ে থাকে।দেবী নির্দিষ্টভাবে তাঁর ডান পা সামনে এগিয়ে মহাদেবের বুকে পা রেখেছেন।★বলা বাহুল্য, এর সঙ্গেই দেবীর লোলজিহ্বার সম্পর্ক টানেন অনেকেই।যেহেতু মহাদেব দেবীর স্বামী,তাই তাঁর উপর পা রাখা মাত্র দেবী জিভ কেটেছেন।তবে এ ব্যাখ্যা নিতান্তই প্রচলিত। শাস্ত্রে এর তেমন উল্লেখ নেই।সুতরাং শ্যামাকালী আর দক্ষিণাকালীর মধ্যে অমিল বলতে স্রেফ গাত্রবর্ণ এবং পায়ের অবস্থানে। বাকিটা কালীর ধ্যানমন্ত্রের সঙ্গেই মিলে যায়। কার্ত্তিক অমাবস্য্যায় দেবীর এই দুই মূর্তিরই পুজো হয়।অধিকাংশ মন্দিরে দক্ষিণাকালী, এবং মণ্ডপে মূলত শ্যামাকালী।তবে এ ছাড়াও দেবীর একটি বিশেষ রূপের পুজোর চল রয়েছে।তিনি দেবী রক্ষাকালী।দক্ষিণাকালী মূর্তির মতোই,ইনিও কৃষ্ণবর্ণা।তবে দেবী লোলজিহ্বা নন।এমনকি দেবীর হাতের সংখ্যা দুটি।সাধারণত দেবীর এই রূপের পুজো হয় বৈশাখ মাসের শেষের দিকে।গ্রামে গ্রামে দেবীর বাৎসরিক পুজোর চল রয়েছে,তবে শ্মশানকালীর প্রচলিত মূর্তিটিও ঠিক এমন।★ওনার কোনও জিভ থাকে না।কলকাতার বিখ্যাত কেওড়াতলা মহাশ্মশানে দেবীর এই রূপেরই পুজো হয় কার্ত্তিক অমাবস্যায়।তবে দেবীর অন্যান্য মূর্তি,যেমন গুহ্যকালী, মহাকালী বা বিশেষ কিছু তন্ত্রোক্ত রূপের পুজো করার অধিকার নেই সাধারণ কারও। কেবল মাত্র তন্ত্রবিদ্য্যায় পারদর্শী কেউ দেবীর এইসব বিশেষ রূপের পুজো করতে পারেন।
কালী মাত্রেই দুষ্টের দমনকারী দেবী।সুতরাং ভক্তিভরে তাঁর অর্চনা করলে যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন যে কেউ।এক্ষেত্রে, পুজোর ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম মানা আবশ্যক।রক্ষাকালীর পুজোর নিয়ম এবং শ্যামাকালীর পুজোর নিয়ম কিছুটা হলেও আলাদা।শ্যামাকালী পুজো মন্ডপে মন্ডপে সাধারণ কোনও পুজারি করলেও, দক্ষিণাকালী বা রক্ষাকালী পুজোর ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শী শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণ থাকা আবশ্যক।যদিও দেবীর আসল পুজো হয় ভক্তির দ্বারা।★স্বয়ং রামকৃষ্ণদেব।শ্রী শ্রী ঠাকুর,যে ভক্তি পুজোর প্রচলন করেছিলেন,তিনিও ছিলেন তন্ত্রোক্ত দেবী ভবতারিণীর সাধক।কলকাতার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে সেই দেবী মূর্তিতেই রামকৃষ্ণ খুঁজে পেয়েছিলেন ‘মা’-কে।তাই ভক্তিভরে কালীসাধনা করলে অবশ্যই ফল মিলতে বাধ্য।
🕯️💮🕯️💮🥀💮🥀💮🕯️💮🕯️
লেখার ধাচ'টা একটু সম্পৃক্ত করি...
ইতিহাসের অনুক্রমে মা কালীর মূর্তিতত্ত্ব বা আইকোনো'গ্রাফির বিবরণ...‼️অগ্নির সপ্ত'জিহ্বার একটি –‼️ এই হিসেবে মা কালীর প্রথম (কিন্তু প্রান্তিক) উল্লেখ বৈদিক আর্যের গ্রন্থ মুণ্ডক উপনিষদে,এটি পরবর্তী কালের উপনিষদ এবং গৌতম বুদ্ধের যুগের (৫০০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ) পরে রচিত।হরপ্পা সভ্যতায় বলি-দানের সময় সপ্ত-মাতৃকার উপাসনা হত, হরপ্পা পতনের পরে সেটাই বৈদিক আর্যের যজ্ঞে অগ্নির সপ্ত জিহ্বা হয়ে গেছিল।মহাভারত দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী ধরে লিপিবদ্ধ হয়েছিল,লিপিবদ্ধ হওয়া শেষ হয় ৪০০ খ্রিষ্টাব্দে।মহাভারতে মা কালীর ভয়াল রূপ বর্ণনা আছে।মহাভারতের সৌপ্তিক পর্বে যখন অশ্বত্থামা পাণ্ডব-পক্ষীয় বীরদের শিবিরে রাতের বেলায় প্রবেশ করে সবাইকে হত্যা করছেন।তখন সেই হনন স্থলে কালী এভাবে দৃশ্যমান হচ্ছেনঃ-- দেখুন রক্তাস্যনয়না,রক্তমাল্যানুলেপনা,পাশহস্তা, ভয়ঙ্করী।হরিবংশ গ্রন্থে (খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দী) মহাদেবীর শিবা-রূপও উল্লিখিত।"মা" এখানে শৃগাল রূপে বসুদেবকে যমুনা পার হয়ে গোকুলে যাওয়ার পথ নির্দেশ করেছিলেন। যদিও এখানে কালীর নামোল্লেখ নেই সরাসরি,মহাদেবী বলা হয়েছে,কিন্তু এ বর্ণনা স্পষ্টই কোক-মুখ কালীর স্মৃতি-বাহী।প্রসঙ্গত আজও কিছু বিরল কালী-সাধক শিবা-ভোগ দেন লোকালয় থেকে দূরে।মাকে শিবা-দূতী বলা হয়,কারণ শৃগাল তাঁর দূত।
কালিদাসের কুমারসম্ভব গ্রন্থে (খ্রিষ্টীয় চতুর্থ পঞ্চম শতক)কালী হলেন নীল-মেঘরাশির মধ্যে ভাসমান বলাকিনীর ন্যায়।তিনি এখানে শিবের প্ৰমথ-গণের মধ্যে নৃত্যরত,এবং তিনি মুণ্ডমালা (কপালাভরণ) দ্বারা শোভিত। প্রসঙ্গত রঘুবংশ গ্রন্থেও কালিদাস "মা কালী"কে বলাকিনী বলেছেন।রামের সঙ্গে যুদ্ধ-রত তাড়কা রাক্ষসীকে দেখে মা কালীর মত মনে হচ্ছিল,কালিদাস লিখেছেন।স্পষ্টই বৈদিক পৌরাণিক আর্যের কাছে মা কালীর ভয়াল রূপটি মুখ্য।এরপর মা কালীর বর্ণনা পাই শ্রীশ্রী চণ্ডী গ্রন্থে(খ্রিষ্টীয় পঞ্চম-ষষ্ঠ শতক। যদিও মার্কণ্ডেয় পুরাণ তৃতীয় শতকের গ্রন্থ, কিন্তু এই শ্রীশ্রী চণ্ডী অংশটি পরবর্তী কালে রচিত)।এখানে শুম্ভ নিশুম্ভর সঙ্গে যুদ্ধকালে মা চণ্ডীর ভ্রূকুটি-কুটিল ললাট থেকে কালী বেরিয়ে আসেন।তিনি করাল-বদনা,খট্বাঙ্গ-ধারিণী,নরমালা-বিভূষিতা,ব্যাঘ্র-চর্ম-পরিহিতা, শুষ্ক-মাংসা,অতি ভীষণ রব করছেন👉 অতিভৈরবী,...অতি বড় হাঁ করে আছেন👉 অতিবিস্তারবদনা, ....তাঁর জিভ লকলক করছে 👉জিহ্বাললনভীষণা,.... তাঁর রক্তবর্ণ চক্ষু চোখের কোটরে ঢুকে আছে👉 নিমগ্নারক্তনয়না,.... তাঁর সিংহনাদে চারদিক প্রকম্পিত 👉নাদাপূরিতদিঙমুখা....‼️
প্রসঙ্গত শ্রীশ্রী চণ্ডী যখন রচিত হচ্ছে,তখনও শিবের সঙ্গে জগন্মাতার কোনও বিশেষ সম্পর্ক কল্পিত হয়নি,যেটা আমরা শ্রীশ্রী চণ্ডী পড়লেই বুঝতে পারি।এ কল্পনা সম্রাট শশাঙ্ক কর্তৃক বৈশাখী নববর্ষ প্রচলন কালে চৈত্র শেষে শিব ও নীলাবতীর বিবাহের উৎসব উদযাপনের মধ্য দিয়ে বলবতী হবে।আমি বেশ কয়েক বছর আগে গুপ্ত-যুগের বেশ কিছু শিবলিঙ্গ দেখছিলাম ★মথুরা মিউজিয়ামে, সেই সব শিবলিঙ্গে কোথাও গৌরী-পট্ট নেই। স্পষ্টতই শশাঙ্ক যুগের আগে এই বিষয়টি ছিল না,ফলে আদিযুগে মা কালীর মূর্তি-তত্ত্বে শিবের উপস্থিতি নেই।সিদ্ধেশ্বর তন্ত্রের রচনা কাল জানা নেই,কিন্তু এখানে মা কালীর বর্ণনা নিম্নরূপ।‼️শবারূঢ়াং মহীভীমাং ঘোরদ্রষ্টাং বরপ্রদাম্ হাস্যযুক্তাং ত্রিনেত্রাঞ্
কপালকর্তৃকাকরাম্ মুক্তকেশীং ললজিহ্বাং পিবন্তীং রুধিরং মুহুঃ চতুর্বাহুযুতাং দেবীং বরাভয়করাং স্মরেৎ।‼️🕯️❇️🕯️❇️🕯️
অর্থাৎ ""মা কালী"" শবারূঢ়া,তাঁর ঘোর দন্তরাশি উন্মুক্ত,তিনি বর প্রদান করছেন হাস্যমুখে,তিনি ত্রিনেত্র,তিনি একদিকের হাতে নরকপাল ও কর্তৃকা(খড়্গ,কাটারি)নিয়ে আছেন।তাঁর কেশ উন্মুক্ত,তিনি জিহ্বা প্রসারিত করে আছেন,তিনি ক্ষণে ক্ষণে রক্তপান করছেন,তাঁর চার-বাহুর অন্য দিকের দুটি হাতে তিনি বর ও অভয় মুদ্রা প্রদর্শন করছেন।...!!!!‼️বর্ণনা দেখে পালযুগের বজ্র ও সহজ আন্দোলনে এবং পরবর্তী কালে সেন যুগে শবা-রুঢ় মাতৃ-মূর্তির কথা মনেপরে।এই শব'টিই পরে মধ্যযুগে শিবের রূপ পেয়েছিল।
মধ্যযুগে সংকলিত তন্ত্রসার গ্রন্থে(আনুমানিক সপ্তদশ শতক)""মা কালীর"" একাধিক ধ্যানমন্ত্র।তার মধ্যে কালী-তন্ত্রোক্ত মন্ত্রটি এরকম।....‼️
মা চতুর্ভুজা,মুক্তকেশী,করালবদনা,ঘনমেঘের মত শ্যামবর্ণ,মুণ্ডমালাবিভূষিতা,দিগম্বরী, দুই বামহস্তে সদ্যছিন্ন মুণ্ড ও খড়্গ,দুই ডান হাতে অভয়া ও বরদা মুদ্রা।মুণ্ডমালা নির্গত রক্তে মা রঞ্জিত।দুই কানের কুণ্ডল দুটি শব, মায়ের কটি দেশের মেখলা নির্মিত হয়েছে শব-দেহের ছিন্ন হস্ত দ্বারা।দুই কস দিয়ে রক্ত ঝরছে,কিন্তু মায়ের মুখে হাসি।প্রভাত-সূর্যের মত মায়ের তিন নেত্র।মায়ের দন্তরাশি সুউচ্চ।শব-রূপ মহাদেবের হৃদয়ে দণ্ডায়মান অবস্থায় 'মা' মহাকালের সঙ্গে বিপরীত বিহারে রত।
সারা উপমহাদেশ জুড়ে এবং বিশেষ করে বাঙালির মধ্যে প্ৰচলিত জনপ্রিয় দক্ষিণা কালী মূর্তি যদিও মূলত তন্ত্র-সারের বর্ণনা অনুযায়ী নির্মিত,কিন্তু সেই কালীমূর্তিতে প্রায় এই বিপরীত বিহার-রত মূর্তি দেখা যায় না বললেই হয়।এটি অন্ধকার মধ্যযুগে গুহ্য তান্ত্রিকদের অবদান,সাধারণ বাঙালির মধ্যে জনপ্রিয় হয়নি।এই মূর্তিতে শিবের উপরে উত্তানভাবে শায়িত একটি মহাকাল মূর্তি থাকেন।প্রসঙ্গত আগম-বাগীশ তাঁর তন্ত্রসার গ্রন্থে কালীতন্ত্র থেকে যে শ্লোক সংকলন করেছেন,সেটিই শ্যামাকালী বা দক্ষিণাকালীর প্রথম রূপ ★এই মর্মে একটা কথা চালু আছে, কিন্তু সেটা ঠিক নয়।তার অনেক আগেই, ত্রয়োদশ শতকে বৃহ-দ্ধর্ম পুরাণে কালী-রূপ বর্ণিত হয়েছে এরকমভাবে:....!!!‼️‼️‼️
মা কালী শ্যামবর্ণা,দিগম্বরী, মুক্ত-কেশী এবং লম্বোদরা।মা শব-বাহনা,শব-রূপ মহাদেবের উপরে তাঁর আসন।মায়ের জিহ্বা প্রসারিত। দুই বাম হাতে অসি ও মানুষের মাথা।জীবের সংহার কাল উপস্থিত হলে তাঁর যে সংহারী মূর্তি দৃশ্যমান হয়,সেই মূর্তি নিয়ে তিনি কোটি কোটি পাপ বিনাশ করছেন।তিনি নানা অলঙ্কারে বিভূষিতা,মুখে হাসি,তাঁর দুই ডান হাতে অভয় ও বরদান মুদ্রা আছে।
যে মা অনাদি অনন্ত আদ্যা নিত্যা অব্যক্ত জগদকারণ,যিনি নারী পুরুষ নির্বিশেষে,জীব জড় নির্বিশেষে সমগ্র বিশ্বজগতের উৎপত্তি, বিস্তার ও বিলয়,আমরা সীমিত মানব-বুদ্ধিতে নিজেদের চিন্তার সুবিধার জন্য সেই মায়ের প্রতিমা এভাবে যুগে যুগে নির্মাণ করেছি। এজন্যই শাক্ত পদাবলীতে বলেছে,ব্রহ্মাণ্ড ছিল না যখন,মুণ্ড-মালা কোথায় পেলি।
⁉️⁉️⁉️👁️👁️⁉️⁉️
তাই এই দিনটি বাঙালির শেকড়ে প্রোথিত,মা আমাদের আছেন।আছেন মা কালী,মা কালীর জয়ধ্বনি দিলে বাঙালি রক্ষা পায়,বিধ্বস্ত বাঙালি জাতির দুর্গতিময় জীবনে একমাত্র গতি "মা কালী", "মা কালীকে"🙏🕯️🙏🕯️🙏🕯️🙏সেজন্য আজ বাঙালি'র আত্মপরিচয়ের' নিমিত্ত স্বয়ং মা কালীকেই স্মরণ করলাম তাঁর রূপের গরিমা নিয়ে।মা, আমাদের রক্ষা কর!...!!!মা,আমাদের সমস্ত ঘর'শত্রু ও বহিঃ'শত্রু বিনাশ কর।
🙏🕉️🕯️🔱🙏🕉️🕯️🔱🙏🕉️🕯️🔱🙏
জয় মা কালী...!!🕯️!!.... জয় মা কালী...!!🕯️...জয় মা কালীকেও নমঃ🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
NB:: উপরোক্ত লেখার দায়ভার নিজস্ব।
#শুভেচ্ছা #🌺শুভ কালীপুজো 2025🪔 #কালী #ভক্তি #🎇শুভ দীপাবলি🎆
দীপাবলি আলোর উৎসবের দিন, প্রদীপ জ্বালানোর দিন
❇️🕯️💡🕯️💡🕯️💡🕯️💡🕯️❇️
সম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধের পরে অনুশোচনায় অনুতপ্ত হয়ে শান্তি আর মৈত্রীর জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে এই দীপাবলির দিন বৌদ্ধধর্মতে দীক্ষিত হয়েছিলেন।....!!!!!!
আজও জ্বলবে।পূর্বে,পশ্চিমে,উত্তরে, হিমালয়ের কোলে গরিবদের গ্রামে,দক্ষিণের সমুদ্রকূলে নারকেলের বনে,ধান আর গমখেতের ফাঁকে ফাঁকে লাখো কুটিরে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা আজও আলোয় আলোয় নক্ষত্রালোক সাজাবে।অমাবস্যার রাত আলোয় হাসবে।দীপাবলি আসলে বিজয়ীর উৎসব।দীপাবলির ইতিহাসের সঙ্গে পুরাণের যেসব গল্প প্রচলিত রয়েছে,তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাম,সীতা ও লক্ষ্মণের অযোধ্যায় ফেরার কাহিনি।এ ছাড়া আরও অনেকগুলো গল্প জড়িয়ে রয়েছে দীপাবলির সঙ্গে।রামায়ণ মতে,একদা এই দিনে অযোধ্যায় আলো জ্বলে উৎসবে মেতেছিল,কারণ লঙ্কা কাণ্ড সমাধা করে রামচন্দ্র এই দিনেই অযোধ্যায় পৌঁছেছিলেন।শুনে ভারতবর্ষের প্রতিটি সন্তান শান্তির প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন,ঘরে ঘরে কোটি কোটি সীতা আনন্দে আলো জ্বেলেছিলেন।
★আজ 2025 পেরিয়ে যাচ্ছে,সীতারা আলো জ্বালাবেন,কিন্তু তাতে কি তাদের মনের জ্বালা মিটবে?শত শত সীতারা ভারতবর্ষের আনাচে কানাচে ধর্ষিত হয়ে চলেছে।কেউ কেউ বলেন,দীপাবলির আলো জ্বেলে আমরা আসলে "নরকাসুর" জয়ের ঘটনা স্মরণ করি।এমনি এক অমাবস্যার রাতেই নাকি শ্রীকৃষ্ণের হাতে নিহত হয়েছিলেন ত্রিলোকের ত্রাস "নরকাসুর"।ষোল হাজার বন্দিনী নারী মুক্তি পেয়ে আবার সংসারে ফিরে এসেছিলেন,আমাদের অভয়া'রা কী ফেরে এই কলিযুগে??????ঋষিরা আবার দিনের আলো দেখতে পেয়েছিলেন।কলঙ্ক মুক্ত পৃথিবী তাই সেদিন আলোয় আলোয় অপরূপা সেজেছিল,মর্ত্যবাসী আনন্দে হেসেছিল।আবার এ'ও আছে জানা,ভারতের দরিদ্রতম মানুষটিও অন্ধকার রাতে আলো জ্বেলে একদিন উৎসবে মেতেছিল,কারণ সেই চতুর্দশী সন্ধ্যায়ই সংবাদ এসেছিল,পরাজিত শকেরা পলায়নের পথ খুঁজছে,স্বদেশে রাজা বিক্রমাদিত্য তাদের উৎখাত করতে সমর্থ হয়েছেন।শুনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল ভারতবর্ষ।এ আলো তারই স্মারক।আবার প্রবাদ বলে,সমুদ্র মন্থনের পঞ্চম দিনে সমুদ্র থেকে উথ্থিতা হন দেবী লক্ষ্মী।ওই দিন থেকেই দীপাবলির পাঁচ দিনের উৎসব শুরু হয়।অবশেষে,দীপাবলি অর্থাৎ আজকের রাতটিতে লক্ষ্মী স্বামী হিসাবে বরণ করে নেন বিষ্ণুকে।দেবতারা আলো জ্বালিয়ে মেতে ওঠেন উৎসবে।দেবতাদের সেই দীপমালার সমাহারই দীপাবলি।স্বর্গের সেই বিবাহের কথাই বলে মর্ত্যের প্রদীপের আলো।আরও বলে,বিবাহবার্ষিকীতে বিষ্ণু বাধ্য স্বামীর মতো ঘরেই থাকেন!কোথাও যান না স্ত্রীকে ছেড়ে!তাই লক্ষ্মীও প্রসন্ন মনে ঘরটিকে সাজিয়ে তোলেন প্রদীপ আর তাঁর রূপের আলোয়।
ফিরে আসার এই গাথায় ভাগ রয়েছে বৌদ্ধদেরও।থেরাভেদা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশ্বাস,এই দীপাবলি তিথিতেই ত্রয়োত্রিংশ স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন গৌতম বুদ্ধ।তাঁর সেই প্রত্যাবর্তনের আনন্দই লুকিয়ে থাকে দীপাবলির আলোকমালায়।আবার, বজ্রযানী বৌদ্ধরা এই দীপাবলি রাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করেন চরাচর,পূজা করেন বসুধারা বা লক্ষ্মীর।আবার অন্য রকম কাহিনিও শোনা যায়।প্রজারঞ্জক রাজা ছিলেন মহাবলী।শক্তিমানও বটে।তাঁর ভয়ে দেবতারাও শঙ্কিত।কিন্তু প্রজারা তাঁকে ভালোবাসে।ভীত দেবতাদের প্রার্থনায় বিষ্ণু বামন-বেশে মহাবলীর সামনে এসে হাজির হলেন।মহাবলী জানতে চাইলেন,তিনি কী চান।বামনরূপী বিষ্ণু বললেন,ত্রিপাদ ভূমি।দানশীল মহাবলী তাতে আপত্তি করলেন না।তিনি বামনের প্রার্থনা মঞ্জুর করে বললেন,‘বেশ,তাই নাও।’ বিষ্ণু এবার স্বরূপ ধারণ করলেন।এক পায়ে তিনি পৃথিবী অধিকার করলেন,আর এক পদক্ষেপে স্বর্গ অধিকৃত হলো।বিষ্ণু বললেন,তৃতীয় পদ কোথায় স্থাপন করি?মহাবলী বললেন,আমার মস্তকে।বিষ্ণুর পদভারে মহাবলী রসাতলে প্রোথিত হলেন।প্রজারা কান্নাকাটি শুরু করল।তাদের পীড়াপীড়িতে পরে বিষ্ণু প্রতিবছর এক দিনের জন্য মহাবলীকে নিজের রাজধানীতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন।সে দিনটিই দীপাবলি বা দেওয়ালি।লোকজন নরপতিকে নিজেদের মধ্যে ফিরে পেয়েছিলেন বলেই প্রজারা সেদিন আলোর উৎসব করেছিল। আবার এও সত্যি,মহামায়া দুর্গা এদিনেই অসুর বধ করে ত্রিলোককে নিশ্চিন্তে আলো জ্বালতে দিয়েছিলেন।আবার এ কথাও শোনা যায়,পিতার ক্রোধে দরিদ্র ব্রাহ্মণের ঘরে বিতাড়িত এক রাজকন্যা বাবার সঙ্গে শর্ত করেছিলেন পুরো রাজ্য এক রাত্রি আলোকহীন রাখতে।বাবার হারিয়ে যাওয়া গজমতির মালা কুড়িয়ে পেয়েছিল তার এই দুঃখিনী মেয়ে,মালা ফেরত দেওয়ার আগে শর্ত দিয়েছিল যে কৃষ্ণ-চতুর্দশীতে রাজ্য আলোহীন রাখতে হবে।তাই হলো রাজার আদেশে গোটা রাজ্যে সেদিন কারোর ঘরে আলো নেই।আলো জ্বলছে,কেবল সেই রাজকন্যার কুটিরেই।সেই থেকে দীপাবলির রাতে ঘরে ঘরে আলো জ্বলে।আবার ঐতিহাসিক কাহিনি মতে, রাজা বিক্রমাদিত্য (দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত) শক দস্যুরাজকে পরাজিত করে পরিচিত হন শকারি নামে।এই জয়লাভ তার রাজত্বকালে মহা সমারোহে পালিত হতো আলো উৎসব তথা দীপাবলি (দীপমালা) উৎসব হিসেবে।এ ছাড়া মহাভারতে পাওয়া যায় যে বারো বছর বন-বাস ও এক বছর অজ্ঞাত-বাসের পর দীপাবলিতেই হস্তিনাপুরে ফিরে এসেছিলেন পাণ্ডবেরা।সে জন্য আলোর মালায় সাজানো হয়েছিল গোটা হস্তিনাপুর।
দীপাবলি, শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নয়, শিখ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদেরও অনুষ্ঠান। জৈনধর্মের প্রবর্তক মহাবীর ৫২৭ অব্দে দীপাবলির দিনে মোক্ষ (নির্বাণ) লাভ করেন।
সংসারে জুড়ে থাকার এই আলোই কিন্তু সমান ভাবে পরেছে সংসার ছাড়ার খাতেও...‼️‼️‼️খ্রিস্টেরও জন্মের আগে তৃতীয় শতকে রচিত জৈন আচার্য ভদ্রবাহুর কল্পসূত্র।কল্পসূত্র মতে,সংসার ত্যাগ করে মোক্ষ বা নির্বাণ লাভের জন্য পাওয়া পুরীতে সাধনা করছিলেন শেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর।এই দীপাবলির রাতেই তিনি বহু প্রার্থিত নির্বাণ লাভ করেন।যা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে আলোক উৎসবের উদযাপনের মধ্যে।অর্থাৎ,জৈনদের কাছে দীপাবলি জ্ঞানের আলোর উৎসব।জৈন মত আরও বলে, মহাবীরের প্রধান শিষ্য গৌতম গান্ধার স্বামীও এই দীপাবলি তিথিতেই লাভ করেছিলেন কৈবল্য বা চূড়ান্ত জ্ঞান।দুইয়ে মিলেই জৈনদের আলোর উৎসব।
দীপাবলির দিনে শিখ ধর্মগুরু গুরু হরগোবিন্দ অমৃতসরে ফিরে আসেন।সম্রাট জাহাঙ্গীরকে পরাজিত করে গোয়ালিওর দুর্গ থেকে বায়ান্ন হিন্দু রাজাকে মুক্ত করেন,তার এই প্রত্যাবর্তনকে শিখেরা পালন করেন।তাঁরা এ দিনকে ‘বন্দী ছোড় দিবস’ও বলেন।
দীপাবলি অমাবস্যার রাতে পালন করা হয়। তাই চারদিকে নিকষ অন্ধকার থাকে আর এই অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সর্বত্র প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করে রাখে।বিশ্বাস এটাই,নিকষ অন্ধকারেই অশুভ আত্মা ও অশুভ শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে।তাই এই অশুভ শক্তিকে দুর্বল করতে ঘরের প্রতিটি কোনায় বাতি বা প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে।আলোর উৎসব দীপাবলি কোথাও বিজয় উৎসব,কোথাও নববর্ষের উৎসব,কোথাও এদিনে লক্ষ্মীপূজা।কোথাও পূর্বপুরুষের স্মৃতিতর্পণ।
★হুমম যারা মহালয়া তে তর্পণ করেননি তারা এই অমাবস্যায় সেটি সম্পন্ন করতেও পারেন.....আমাদের দেশে এই দীপাবলির রাতেই কালীপূজা।অমাবস্যার অন্ধকারে দিনটি যেন আলোর গরিমাই ঘোষণা করে।দীপাবলি যেন অশুভ অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর সাধনা! আনন্দের উৎসব মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয়কে উদ্যাপন করা।আলোকসজ্জার এই দিবস অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলো জ্বালার দিন।নিজের ভেতরের বাইরের সব অজ্ঞতা ও তমকে দীপশিখায় বিদূরিত করার দিন।প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসার চিরন্তন শিখা প্রজ্বালিত করার দিন।
‘দীপ’ এবং ‘অবলি’— এই দুইয়ে মিলে হয়েছে সংস্কৃত দীপাবলি শব্দটি।‘দীপ’ শব্দের অর্থ ‘আলো’ এবং অবলি শব্দের অর্থ ‘সারি’।ফলে দীপাবলি শব্দের অর্থ ‘আলোর সারি’।
দেশ থেকে দেশে,অঞ্চল থেকে অঞ্চলে—এই দিনের মাহাত্ম্য ভিন্ন ভিন্ন; তবু মূল কথা এক। আর আধ্যাত্মিকতার গভীর দর্শনে এই দিন, আত্মাকে প্রজ্বালিত করে পরিশুদ্ধ করে মোক্ষ লাভেরও দিন।গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, অক্টোবর বা নভেম্বরের মাঝামাঝি দেওয়ালি হয়।হিন্দু মতে,তা কার্তিক মাসের ১৫ তারিখে হয়।ফলে প্রতি বছরই ইংরেজি ক্যালেন্ডারে জায়গা বদল করে দেওয়ালি।
সারা ভারতে এক দিন নয়,পাঁচ দিন ধরে পালিত হয় এই উৎসব।ধনতেরাস,নরক চতুর্থী,অমাবস্যা,কার্তিক শুদ্ধ পদ্যমী বা বালি প্রতিপদা এবং ভাই দুঁজ বা ভাইফোঁটা।
শুধুমাত্র এ দেশেই নয়,ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, মায়ানমার,মরিশাস,নেপাল,গায়ানা,সিঙ্গাপুর, সুরিনাম,মালয়েশিয়া,শ্রীলঙ্কা এবং ফিজিতেও দেওয়ালিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়
ভারতের বাইরে ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরে সবচেয়ে বড় দেওয়ালি উৎসব পালিত হয়।
সবই বললাম এবার আসুন আমরাও আমাদের বাড়ি গুলোকে আলো দিয়ে সাজাই যে যতটা পারি।আর মনের কালিমা মুক্ত হই। সকলের মঙ্গল কাম্য।আনন্দ করুন।
❇️🕯️💡🕯️💡🕯️💡🕯️❇️
আরো একটা কথা মনে রাখবেন,আমি বেশি টাই ব্যান থাকি,সকলের পোষ্টে সময়ে Comnt দিতে পারিনা,ক্ষমা প্রার্থী।🥀মানব সভ্যতার ইতিহাসে এই দীপাবলি উৎসব সুপ্রাচীন এক উৎসব।শুভকামনা এবং শুভাকাঙ্ক্ষীতাই হল এই উৎসবের প্রধান মৈত্রী এবং সম্প্রীতির আলোকোজ্জ্বল সবার মনের মাধুরী মেশানো এক রংবেরঙের বর্ণচ্ছ্বটা।আর একবার সকলকে শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।
❇️🕯️💡🕯️💡🕯️💡🕯️💡🕯️❇️
#🪔দীপাবলি স্ট্যটাস🎆 #🎇শুভ দীপাবলি🎆 #শুভেচ্ছা #🌺শুভ কালীপুজো 2025🪔 #🌺শুভ কালীপুজো 2025🪔
বিদায়ের মধ্যেই ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি,
🕉️⚜️🕉️⚜️🕉️⚜️🕉️⚜️🕉️⚜️
🙄‼️❕⚜️🕉️⚜️❕‼️🙄
ন’দিন ন’রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করে শেষপর্যন্ত দশম দিনে দেবী জয়ী হন।হৃত স্বর্গরাজ্য ফিরে পেয়ে স্বর্গ ও মর্ত্যে পালিত হয় বিজয়োৎসব।সেই ঘটনাকে মনে রেখেই দশমীর আগে ‘বিজয়া’ শব্দের প্রতিষ্ঠা। সম্বচ্ছরের শোক তাপ জ্বালা জুড়িয়ে তিনটে মাত্র দিনের জন্য যে উমাকে গিরিজায়া বুকের মাঝে পেয়েছিলেন,শত অনুরোধ, অশ্রুমোচন, বিলাপ,দীর্ঘশ্বাসের পথ পেরিয়ে হলেও সেই উমাকে নবমী নিশি পার করেই প্রস্তুত করতে হবে পতিগৃহে যাত্রার জন্য।শোকের ছায়া.....❕❕বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের "মৃণালিনী" উপন্যাসে তার অনেকটাই ব্যাক্ত।আমি একটু রূপক ভাবে লিখি ......ডানার নীল রং আকাশের গায়ে মাখিয়ে আগে আগে উড়ে যাবে নীলকণ্ঠ পাখি,কৈলাসে ভূতপ্রেত বেষ্টিত নন্দী-ভৃঙ্গীর মাঝে বসে থাকা শ্মশানচারী মহাদেবকে সেই আগমনের খবর পৌঁছে দিতে।তবু মায়ের মন কি মানে...!!!‼️ সমস্ত রাগ গিয়ে পরে সেই নবমী নিশির উপর। নারীর স্বামীগৃহে যাত্রার পাশাপাশি মায়ের চিরন্তন এই বেদনার কথা ‘গিরীশের রাণী’র বয়ানে তাঁর ‘বিজয়া দশমী’ কবিতায় ধরে রেখেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ....‼️.....
🙄‼️"তিনটি দিনেতে,কহ,লো তারা-কুন্তলে,
এ দীর্ঘ বিরহ-জ্বালা এ মন জুড়াবে?‼️
তিন দিন স্বর্ণদীপ জ্বলিতেছে ঘরে
দূর করি অন্ধকার;শুনিতেছি বাণী-
মিষ্টতম এ সৃষ্টিতে এ কর্ণ-কুহরে!❕❕
দ্বিগুণ আঁধার ঘর হবে,আমি জানি,
নিবাও এ দীপ যদি!”- কহিলা কাতরে
নবমীর নিশা-শেষে গিরীশের রাণী।
মনেপরে যায় একের পর এক শাক্ত পদাবলীর বিজয়া পর্যায়ের গানগুলি।সেখানেও সেই একই আর্তি যেন শব্দের মাঝে বসে পাথর হয়ে আছে! কমলাকান্ত ভট্টাচার্য্যের লেখা একটি পদে দেখতে পাই....❕❕❕
“ওরে নবমী'নিশি..! না হৈও'রে অবসান।/ শুনেছি দারুণ তুমি, না'রাখো সতের মান।।/ খলের প্রধান যত,কে আছে তোমার মত, আপনি হইয়ে হত,বধো'রে পরের'ই প্রাণ।।” ...❕❕শুধু তো মেনকা নয়, বিসর্জনের ঢাকে কাঠি পরলেই এই কাতর অনুরোধ এসে বসে আপামর বাঙালির কণ্ঠেও।পিতৃপক্ষের অবসানে মহালয়ার ভোরে পূর্বপুরুষদের তর্পণ দিয়ে যে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছিল,তারই ষষ্ঠীতে,বোধনের মাধ্যমে দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী রূপে প্রতিষ্ঠা।শরতের এই অকাল বোধনে,সপ্তমী,অষ্টমী,নবমীর পূজা পেরিয়ে,দশমীর দিন পূজার পরিসমাপ্তি। ঢাকের লয় আবাহন থেকে বিসর্জনের সুরে গড়ালেই দেবী আবার ফিরে যান তাঁর নিরাকার রূপে।তাই মাঝের কটা দিনই তাঁকে কন্যারূপে পাওয়া।আর দশমীতে সেই পেয়ে হারানোর বেদনায় ভারী হয়ে থাকা বুকে একে অপরকে জড়িয়ে নিয়ে কোলাকুলি,ভাগ করে নেওয়া,কষ্টের মাঝে সিঁদুর খেলার আনন্দ, বড়োদের পা ছুঁয়ে প্রণাম(★তবে এসব আর নেই লিখতে হয় তাই লিখলাম)আর মুখে তুলে দেওয়া মিষ্টির আস্বাদে মনে করে নেওয়া ‘আসছে বছর আবার হবে’।প্রতিমা জলে
পরলে একে অপরকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানো।এই বিজয়া শুভেচ্ছার ইতিহাস, কেনই বা তা শুভ?শুধুমাত্র বাংলায় নয়,সারা ভারতবর্ষ জুড়ে পালিত ‘দশেরা’র প্রকৃত অর্থও বুঝতে হবে।।অতীতে দুর্গাপুজো ছিল ফসল কাটার উৎসব,কীভাবে বিলুপ্ত হল
দুর্গা-ভোগ ধান?আমরা তো কেউ খোঁজই রাখি না...!!!
দশমীকে ‘বিজয়া’ বলার পিছনের কারণ একটা মাত্র নয়।পুরাণ কথন অনুযায়ী, মহিষাসুর বধের যুদ্ধের সময় ন’দিন ন’রাত্রি, দেবী শেষপর্যন্ত মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হন।সেই ঘটনাকে মনে রেখেই দশমীতে ‘বিজয়া’।শ্রীশ্রীচন্ডীর কাহিনীতেও এই ঘটনারই সমর্থন পাই।আশ্বিনের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে দেবীর আবির্ভাব ও শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধের কথা পাই সেখানে।দশমীর দিন উত্তর ও মধ্য ভারতে বিশেষভাবে উদাযাপিত হয় ‘দশেরা’।সংস্কৃত ‘দশহর’ শব্দটি থেকে ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি।বাল্মিকী রচিত রামায়ণের কাহিনীসূত্র অনুযায়ী,ত্রেতা যুগে অকাল বোধনে দেবীর আশীর্বাদ পেয়ে,আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমীতেই রাবণকে বধ করতে সমর্থ হয়েছিলেন রামচন্দ্র।দশানন রাবণের সমাপ্তি সূচক দিনটিতে তাই উত্তর ও মধ্য ভারতের নানা স্থানে রাবণের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে রাবণ-দহনের মাধ্যমে ‘দশেরা’ পালন করা হয়।রাবণের পরাজয়ের আনন্দে পালিত বিজয়োৎসব আর নবরাত্রির শেষে অশুভ শক্তির বিনাশে,শুভ শক্তির বিজয়'কে মাথায় রেখে তাই দশমীতে ‘শুভ বিজয়া’ বলা চলে। আবার মাইসোরে দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের কাহিনীকে মাথায় রেখেই দশেরা পালন করা হয়।আশ্বিনের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতেই হিমালয়'দুহিতা,আমাদের ঘরের মেয়ে উমার কৈলাস যাত্রার সূত্রপাত ঘটে।পুজোর চার দিনের দিন দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন হলে দেবীকে প্রতিমার আধার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।এবার তিনি তাঁর ইচ্ছামতো স্থানে গমন করতে পারেন,তবে অনুরোধ একটাই,শত্রু বিনাশের কাজ শেষ করে যেন দেবী আবার ফিরে আসেন তাঁর পিতৃগৃহে- “ওঁ গচ্ছ দেবি পরং স্থানং যত্র দেব নিরঞ্জনঃ।অস্মাকং তু সুখং দত্তা পুনরেস্যসি সর্বদা।। … ওঁ গচ্ছ ত্বং ভগবত্যম্ব স্বস্থানং পরমেশ্বরী। শত্রোদর্পবিনাশায় পুনরাগমনায় চঃ।।”
বিজয়ার বিসর্জনে দেবীকে তাই ত্যাগ নয়, আসলে তা বিশেষরূপে অর্জন।নয়ন ভুলানো রূপের চর্ম'চক্ষের বাইরে এবার তাঁকে ধরা যাবে শুধুমাত্র অনুভূতিতে।সারা বছরের অনুভূতি।তাই যেন হৃদয়ের সেই অধিষ্ঠাত্রী'কে মনে রেখে সমস্ত রাগ-ক্ষোভ-ঈর্ষা-অসূয়ার মতো ঋণাত্মক শক্তিদের দূরে সরিয়ে বিজয়ার কোলাকুলিতে প্রকৃত অর্থে মিলন মানুষের সঙ্গে মানুষের।রবীন্দ্রনাথের ‘ধর্ম’ বইটির ‘উৎসবের দিন’ প্রবন্ধের কথাও প্রাসঙ্গিক- “আজ আমাদের কীসের উৎসব? শক্তির উৎসব। … জ্ঞানে,প্রেমে,বা কর্মে মানুষ যে অপরিমেয় শক্তিকে প্রকাশ করিয়াছে,আজ আমরা সেই শক্তির গৌরব স্মরণ করিয়া উৎসব করিব।আজ আমরা আপনাকে,ব্যক্তি বিশেষ নয়,কিন্তু মানুষ বলিয়া জানিয়া ধন্য হইব।” তাই বিজয়া সম্মিলনী।★আমিও আজ বিজয়া সম্মিলনী করলাম পোস্ট দিয়ে।
ভাসানের আগে বরণের সময় দেবীর কানে কানে বলে দেওয়া হয়,‘পরের বছর আবার এসো, মা!’।ঘরের মেয়েকে বিদায় দেবার এই বিষাদ গাথার সুরটিকে🙄🙄 দীনেন্দ্র কুমার রায় তাঁর ‘পল্লীচিত্র’-এর ‘দুর্গোৎসব’ রচনায় ধরে রেখেছেন- “আজ দশমীর এই বিষাদাপ্লুত প্রভাতে সানাইয়ের আর বিরাম নাই;সে শুধু কাঁদিয়া কাঁদিয়া বিরহ গাথা গাহিয়া যাইতেছে। … তিন দিনের উৎসব যে নিমিষের মধ্যে শেষ হইয়া গেল,তাই পিতা মাতার চক্ষে জল ও বক্ষে দুর্বহভার।” সেই চিরন্তন ‘যেতে নাহি দিব’-র কান্না।তবুও তো যেতে দিতে হয়। ★আমার আগের পোস্টেই একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি খুব সুন্দর বলেছেন,কান্না পেলেও মেনে নিতে হয় স্যার.....
বিজয়া পেরিয়ে শুধু দেবী দুর্গার নয়,প্রবাস থেকে আসা প্রতিটা মানুষেরও তাড়া পরে নিজের ঘরে ফেরার।আগেকার দিনে যেমন নদীর ঘাটে ঘাটে জমে উঠত বাক্স প্যাঁটরা, বর্তমানে দাম বাড়ে ফ্লাইটের,‘সোশ্যাল ডিসট্যান্স’ মেনে ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপে সেরে নেওয়া যায় ভার্চুয়াল কোলাকুলি। দেশের বয়স যত বাড়ে,পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের মানুষ ফুরোয় দ্রুত।তারই মধ্যে যতটা কাছে যাওয়া যায় আর কী! তারপর একাদশী বা দ্বাদশীর দিন সেই ‘যাত্রা করা’, বচ্ছরকার জমানো ছুটি খরচা করে ফেরা নিজের নিজের কর্মক্ষেত্রে,নিজের নিজের ঘরে,যাকে যেখানে মানায়।ফিরতে তো হয়ই,শুধু আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে বসে থাকা নাছোড় এক নীলু অবিরাম শুধু বলে চলে – “শেষ? হ্যাঁ,শেষ। প্রণাম তোমায়, শেষ। প্রণাম তোমায়,ওই দ্বাদশীর বিকেল। প্রণাম,ওই খালের মুখে নদীর জলের ঢেউ। প্রণাম তোমায় তুলসীতলা,মঠ।প্রণাম ফুলমামি। প্রণাম,তবে প্রণাম তোমায় সুপুরিবনের সারি।”মেয়ের ‘যাত্রা করা’,বরণ ও ভাসান শেষ হলে একে অপরের মুখে তুলে দেওয়া মিষ্টি,যাতে মিশে যায় পরবর্তী দীর্ঘ অপেক্ষার রেশ।যে পথে দুর্গা বেরোবেন,সেই পদচিহ্ন ধরেই আলপনার পথ বেয়ে ফিরে আসেন শ্রী লক্ষ্মী।আশ্বিন পেরিয়ে কার্তিকে পরবে শুক্ল চাঁদের জ্যোৎস্না।নুয়ে'পরা ধানের বুকে জমে উঠবে দুধ,হিম নামবে,‘অক্ষয় মালবেরি’র ছেলেটি লণ্ঠন নিয়ে বড়পুকরের ঘাটে গিয়ে দেখবে,জলে ডোবা ঘাটের পইঠায় নিথর হয়ে কেমন স্নিগ্ধ সেঁটে থাকে
শামুকেরা।...কার্তিকের ভরে ওঠা ধানের গোলার পাশ দিয়ে গৃহস্থীর আঁকা আলপনায় পা ফেলে আমাদের রূপ,জয়,যশ প্রাপ্তির প্রার্থনাকে সত্যি করে ঘরে এসে উঠবেন ঐশ্বর্যের দেবী। আবারও সেই শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘সুপুরি'বনের সারি’ বইয়ের ফুল'মামিমার কথা,এমনই এক বিজয়া শেষের ভোরে যিনি নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন আর বোকা নীলু বিশ্বাস করেছিল,“যেন লক্ষ্মীপুজোর দিন ওই পায়ের চিহ্ন ধরে ধরে ঘরে ফিরে আসছে ফুলমামি,তার নিজের ঘরে।”তবে আমি চাইব বোকা নীলুর বিশ্বাস যেনো প্রতিটি ''অভয়া"র পিতা মাতার সাথে থাকে,তাদের সেই লক্ষী মেয়ে ফিরবে তার নিজের ঘরে লক্ষী পুজোর দিন।কিজানি হয় তো তাই,বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।মা লক্ষ্মী সকলকে ধন,মান ও ঐসর্য্যে ভরিয়ে দিক,এই কামনা রইলো।
🙏শ্রী শ্রী লক্ষী দেব্যই নমঃ 🙏
⚜️🌸🕉️🌸🕉️🌸🕉️⚜️
#শুভেচ্ছা #🔱শুভ বিজয়ার স্ট্যাটাস 🪷 #👣জয় মা লক্ষ্মী🌷 #🙏 কোজাগরী লক্ষ্মী পুজা স্ট্যটাস ২০২৫👣 #ভক্তি
""টান টান উত্তেজনার সেই ৪৮ মিনিটের পুজো""
🙏🕉️🙏🕉️🙏🕉️🙏🕉️🙏
আসলে মায়ের পুজো চলছে ...আমি আগের পোস্ট এ লিখেছি।এ যেনো গতিময়,আবেগ ঘন।শিশু থেকে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের মনের মধ্যেই একটা আনন্দ অথচ,তাতে নিজে থেকে ভক্তি মিশে থাকে,সারা বছরের থেকে আলাদা।রামায়ণ মহাভারতেও কিছু কিছু বিষয় লিখতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে,কবিগুরু এ বিষয়ে আলোকপাত করেছিলেন ....রামায়ণে আছে এভাবে খানিকটা বলি,বোধনের মাধ্যমে মা জাগরিত হলেন,তাঁদের ঘুম ৬ মাস মানে এক রাত।কৈলাস থেকে আগত,সর্বদা করজোড়ে পূজা প্রয়োজন।শ্রী রামের অনুযোগ রাবণের প্রতি শুনলেন।
শুক্লা-সপ্তমী থেকে মহা-নবমী অবধি বিশেষ পুজো চলতে লাগল।সপ্তমীর দিন দেবী স্বয়ং রামের ধনুঃশ্বরে প্রবেশ
করলেন।অষ্টমীতে রামের বাণে আশ্রয় নিলেন।অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে দশানন রাবণের মস্তক পুনঃ পুনঃ ছেদন করলেন রামচন্দ্র।....‼️
দেবী দুর্গা'ও এই দুই তিথির মিলন-ক্ষণেই আবির্ভূতা হন দেবী চামুন্ডা রূপে।চন্ড এবং মুন্ড এই দুই উগ্রমূর্ত্তি ভয়ানক অসুরকে বধ করেছিলেন এই সন্ধিক্ষণে।আশ্বিন মাসে রামচন্দ্রের অকালবোধন এবং অপ্রতিরোধ্য রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য যে দুর্গাপুজোর উল্লেখ পাওয়া যায় কৃত্তিবাসের রামায়ণে সেখানেও দেখি রামচন্দ্র সন্ধিপূজা সমাপন কালে দেবীর চরণে একশো আট পদ্ম নিবেদন করার আশায় হনুমানকে দেবীদহ(মনোস সরোবর)থেকে একশো আটটি পদ্মফুল তুলে আনতে বলেন।হনুমান একশো সাতটি পদ্ম পেলেন,এটা ভুল ছিল না।হমুমানও তো জ্ঞানী,লঙ্কা জয়ে তাঁর বুদ্ধির দৌড় কম নয়।দেবীদহে আর পদ্মই ছিলনা।★ময়ের মন পেতে রামকে কম কিন্তু বেগ পেতে হয়নি,ময়ের ছল চতুরির যথেষ্ট পরিচয় ছিল।এবার প্রশ্ন কেন দেবীদহে একটি পদ্ম কম ছিল।তার কারণ স্বরূপ এটাই,দীর্ঘদিন অসুর নিধন যজ্ঞে মা দুর্গার ক্ষত বিক্ষত দেহের অসহ্য জ্বালা দেখে মহাদেব কাতর হলেন।মায়ের সারা শরীরে একশো আটটি স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল।মহাদেব তাঁকে দেবীদহে স্নান করতে বললেন সেই জ্বালা জুড়ানোর জন্য।দেবীদহে মায়ের অবতরণে একশো সাতটি ক্ষত থেকে সৃষ্টি হয়েছিল একশো সাতটি পদ্মের।মহাদেব দুর্গার এই জ্বালা সহ্য করতে না পারায় তাঁর চোখ থেকে এক ফোঁটা অশ্রু নিক্ষিপ্ত হল মায়ের একশো আটতম ক্ষতের ওপর।দেবীদহে স্নানকালে সেই অশ্রুসিক্ত ক্ষতটির থেকে যে পদ্মটি জন্ম নিয়েছিল সেটি মা নিজে হরণ করেছিলেন।🙄😁🙄কারণ স্বামীর অশ্রুসিক্ত পদ্মফুলটি কেমন করে তিনি চরণে নেবেন।আবার কৃত্তিবাসের রামায়নে পাই রাবণ নিধন যজ্ঞের প্রাক্কালে রামচন্দ্র বলছেন....‼️‼️‼️
#যুগল নয়ন মোর ফুল্ল নীলোত্পল,
সংকল্প করিব পূর্ণ বুঝিয়ে সকল#
ব্যাখ্যা স্বরূপ বলি....
রাম ধনুর্বাণ নিয়ে যখন নিজের নীলোত্পল সদৃশ একটি চক্ষু উত্পাটন করতে উদ্যত তখন দেবী রামচন্দ্রের হাত ধরে তাঁকে নিবৃত্ত করে বলেন.....!!!!
"“অকালবোধনে পূজা কৈলে তুমি,দশভুজা বিধি মতে করিলা বিন্যাস।
লোকে জানাবার জন্য আমারে করিতে ধন্য অবনীতে করিলে প্রকাশ ।।
রাবণে ছাড়িনু আমি,বিনাশ করহ তুমি এত বলি হৈলা অন্তর্ধান ”" তাহলে কি ময়ের স্বতস্ফূর্ততা ছিলনা রাবণ বধে???‼️‼️‼️★★★এ প্রশ্ন আমার,আজও কি তাই এত নারী নির্যাতন?? এত পাপিষ্ঠরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বেমালুম..!!??‼️তাই বোধয় রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে স্বয়ং বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র ও যথার্থ সময় শ্রী যুক্ত মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় কে দিয়ে মহালয়ায় গাইয়েছিলেন ....
❔❔❔❔❔
...!!!!তব অচিন্ত্য রূপ-চরিত-মহিমা,
নব শোভা,নব ধ্যান রূপায়িত প্রতিমা,
বিকশিল জ্যোতি প্রীতি মঙ্গল বরণে।
তুমি সাধন ধন ব্রহ্ম বোধন সাধনে।।
তব প্রেম-নয়ন ভাতি নিখিল তারণী
কনক-কান্তি ঝরিছে কান্ত বদনে।।
হে মহালক্ষ্মী জননী গৌরী শুভদা,
জয় সংগীত ধ্বনিছে তোমারই ভুবনে।।
‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️
কি জানি হয়ত....!!!তাই দুর্গা পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষণ হল এই সন্ধিপুজো।অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির শুরুর ২৪ মিনিট....এই মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়।খুব গুরুত্ব পূর্ণ হলো #"সময়"#, টান টান এই সময়ের মধ্যেই শেষ করতেই হবে। মহিষাসুরের সাথে যুদ্ধের সময় দেবী দুর্গার পিছন দিক থেকে আক্রমণ করেছিল দুই ভয়ানক অসুর চন্ড ও মুন্ড।দেবী তখন এক অদ্ভূত রূপ ধারণ করেন।কেশরাজিকে মাথার ওপরে সু-উচ্চ কবরীতে বেঁধে নিয়ে, কপালে প্রজ্জ্বলিত অর্ধ-চন্দ্রাকৃতি টিপ ও তিলক এঁকে, গলায় বিশাল মালা ধারণ করে,কানে সোনার কুন্ডল ও হলুদরঙা শাড়িতে নিজেকে সজ্জিত করেন।তাঁর রক্তচক্ষু,লাল জিহ্বা,নীলাভ মুখমন্ডল এবং ত্রিনয়ন থেকে অগ্নি বর্ষণ করতে থাকেন।ঢাল ও খড়্গ নিয়ে চন্ড ও মুন্ডকে বধ করেছিলেন দেবী এই সন্ধি-পুজোর মাহেন্দ্রক্ষণে। ৪৮ মিনিট।। ‼️‼️‼️🔱☸️🔱☸️🔱তবে
সন্ধিপূজার এই মাহেন্দ্রক্ষণে কেউ বলি দেন।কেউ সিঁদুর সিক্ত একমুঠো মাসকলাই বলি দেন।সব কিছুই প্রতিকী কিন্তু। সর্বকালের সর্বক্ষণের দুষ্টের দমন হয় দেবীর দ্বারা।রক্ত-বীজ অসুর কুল বিনষ্ট
হয়।ঢাকের বাদ্যি বেজে ওঠে যুদ্ধ-জয়ের ভেরীর মত।একশো আট প্রদীপের আলোক-মালায় উদ্ভাসিত হয় ভারতবর্ষের আনাচকানাচ।উত্তিষ্ঠত ভারতবাসীর জাগ্রত মননে দুষ্কৃতের বিনাশিনী এবং সাধুদের পরিত্রাণ কারী মা দুর্গা কান্ডারী হয়ে প্রতিবছর অবতীর্ণ হন মর্ত্যলোকে ।
সংস্কৃত মন্ত্রের উচ্চারণে মুখরিত হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস।শঙ্খধ্বনি,উলুধ্বনি,ঢাকের বাদ্যি,ঘন্টা,পটকা,দামামা সব মিলিয়ে শব্দের স্রোত যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায় চারপাশ। মন্ত্রোচ্চারণ আর ১০৮ প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে দেবী দুর্গার ঘামতেল মাখা মুখমন্ডল।অষ্টমীর বিদায় আর নবমীর আগমনে এই সন্ধিপুজো আমরাও ভক্তিপূর্ণ আনন্দিত হই কিন্তু একটু হলেও নবমীর সুর বেজে যায়,ওটা কিন্তু মন খারাপেরই পালা।
সকলে মিলে আনন্দ করুন পরিবার প্রিয়জনের সাথে।এ সময়টা খুশি থাকুন সকলেই।আমার আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।
🙏জয় মা দুর্গে দুর্গতিনাশিনী🙏
🔱☸️শুভ মহাষ্টমী☸️🔱
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
NB.এ লেখার দায়িত্বভার নিজস্ব
🌸🌸🌸
#শুভেচ্ছা #🔱দুর্গাপুজোর মহাঅষ্টমীর স্ট্যাটাস 🪷 #🪷 শুভ শারদীয়া ২০২৫🔱 #🙏জয় মা দুর্গা🙏 #🙂ভক্তি😊
⚜️""বোধদয়ের অন্তরালে....""⚜️
💮☸️🔱💮☸️🔱💮☸️🔱💮
আজ তো ষষ্ঠী।এর পরই তো সকলে ব্যস্ত হয়ে যাবেন আরও !!!‼️পুজোর কেনা কাটার রেশ এখনো শেষ যেনো নয়।আমার তো ওই পঞ্চমী আর আজ,যা কিছু সারা বছরে এই কটা দিন।
এ উৎসব বাঙালির আবেগ ঠিক কিন্তু শুধু তাই নয়‼️‼️বিশ্বের কোল জুড়ে রয়েছে,বিদেশীরাও কেনা কাটা করে,সমগ্র ধর্মের মানুষের'ই একটা আবেগ এ যেনো নস্টালজিয়া... এ বিষয়'টা পরের পোস্টে লিখব।পোস্ট ৬ মাস তো থাকবে পুজোর আনন্দের মাঝে না হলেও পড়বেন আশাকরি ভালো লাগবে।আজ আমি একটু গল্পের ছলে বলি হালকা শব্দে কারণ এই কাহিনী গুলো পূরাণে ভীষণ সম্পৃত্য জটিল শব্দে ভরা। ওভাবে ভালো লাগবে না,তারচেয়ে সরলীকরণ করে বলি.....
শ্রীরামচন্দ্রের অকাল বোধনের ফলেই শরৎকালে দুর্গাপুজোর সূচনা।একথা সকলেই প্রায় জানে!কিন্তু এই অকাল বোধনেরই কত অজানা কাহিনি ছড়িয়ে আছে,আমরা তার খোঁজ রাখি না।যার মধ্যে অন্যতম হল,রাবণ'ই রামচন্দ্রের পুজোয় পৌরোহিত্য করেছিলেন!এটাই সত্য।
না না।...❕❕বাল্মীকির রামায়ণে রামচন্দ্রের এই অকাল বোধন বা পুজোর উল্লেখ নেই।তবে কৃত্তিবাস ওঝা সবিস্তারে লিখেছেন অকাল বোধনের কথা।এছাড়া দেবী ভাগবত পুরাণ ও কালিকা পুরাণেও রয়েছে এর উল্লেখ।তাছাড়া পুঁথি থেকে পুঁথিতে ভাষান্তর,নতুন ঘটনার সংযোজন তো ছিলই।তারপর লোকায়ত চর্চায় মিশে যায় নানা কাহিনি।
দেবীর অকাল বোধনে রামের পুরোহিত ছিলেন স্বয়ং রাবণ! ‼️‼️‼️তাহলে
নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে নিজেই এ কাজ করেছিলেন রাক্ষস রাজ?⁉️❔❕❕❕❕আসলে রাবণও কম পন্ডিত ছিলেন না,বুদ্ধির চূড়ান্ত শীর্ষে।
দেবীর বরপ্রাপ্ত রামের পক্ষে রাবণকে বধ করা ছিল কেবলই সময়ের অপেক্ষা।তাহলে কি,মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও দেবীর অকাল বোধনে রামের পুরোহিত ছিলেন স্বয়ং রাবণ!⁉️⁉️⁉️কিন্তু রাবণ কেন রামের অকাল বোধনের পুরোহিত হলেন?তিনি তো জানতেনই রামচন্দ্র তাঁকে বধ করে সীতাকে উদ্ধার করতে চান।নিজেই নিজের মৃত্যুকে নিশ্চিত করতে কেন চাইলেন রাক্ষস রাজ?
★এ ভাবনা গুলো আমারও হয়েছিল কিন্তু বেশ কিছু পড়ে,বর্তমান সময়ের কলি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেখেছি,এই ২১ শতকের রাজনৈতিক অভিসন্ধির পরম্পরা আর পারিবারিক অস্থিরতা,সেই পৌরাণিক যুগেই রচিত হয়ে গিয়েছিল।বর্তমানের রাজনৈতিক দল গুলো সম্মন্ধে সকলেই কম বেশি বোঝেন।আসলে আজকের ফাঁকা রাজনীতির কৌশল সেই পৌরাণিক যুগেই রচিত।তবে ভাবনার অন্তরালে থেকে যায়,রাবণ কী করে ব্রাহ্মণ হলেন?আসলে রাবণের বাবা বিশ্রবা মুনি ছিলেন ব্রাহ্মণ।তাই রাক্ষসী কৈকসীর পুত্র হলেও রাবণ ব্রাহ্মণ।এখানেই শেষ নয়, শাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন তিনি।সংস্কৃতজ্ঞ,সুপণ্ডিত এবং মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ত্রিসন্ধ্যা গায়ত্রী করা রাবণকে তাই একজন উচ্চশ্রেণীয় ব্রাহ্মণ হিসেবেই ধরা হত।কেবল রাবণই নন, অহিরাবণ এবং মহিরাবণের মতো রাবণ বংশীয় অন্যদের সম্পর্কেও বলা হয়,যে তাঁরা রীতিমতো সাধক ছিলেন।
বর্তমানে তো ওই সব মানার বলাই নেই
বিশেষ করে বারোয়ারী পুজো মণ্ডপে।একবার
সল্টলেকে বিজেপির দুর্গাপুজোয় মহিলা পুরোহিত হয়েছিলেন।ওই শুনে নাড্ডা-শাহ রা এসে ছিলেন দিল্লি থেকে উড়ে।
যাই হোক,রাম-রাবণের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে যখন একে একে লঙ্কার বড় বড় বীররা ধরাশায়ী,তখন রাবণ মা দুর্গার স্তব পড়তে লাগলেন।দুর্গা কালীরূপে রাবণকে অভয় দিলেন।মা কালীর কোলে আশ্রিত রাবণ যুদ্ধে অপরাজেয় হয়ে উঠতে লাগলেন।তাহলে ★খেয়াল করে দেখবেন সকলে মায়ের'ই তো আর এক রূপ ⁉️ বর্তমানেও দেখা যায় কোনো মা তাঁর বড় ছেলেকে বেশি দেখেন ফলে ভবিষ্যতে সম্পত্তি গত বিবাদ লেগে আছে,সেই মা তখন স্বর্গে⁉️ বাস্তব সত্য'টা বললাম মনে কিছু করবেন না ।.....‼️‼️‼️‼️দেখুন ‼️‼️এই পরিস্থিতিতে দুর্গাকে তুষ্ট করতে অকালেই (বসন্তকালের বদলে শরৎকালে)তাঁর পুজো করতে মনস্থ করলেন রাম।কিন্তু সেই পুজোয় কে করবেন পৌরোহিত্য?রামের অকাল বোধনের পুরোহিত হিসেবে রাবণের নাম উত্থাপন করেন স্বয়ং প্রজাপতি ব্রহ্মা।ভাবুন একবার⁉️⁉️,মেলান বর্তমান কে❕❕❕‼️তিনিই পরামর্শ দেন,”তোমার এই পুজোর উপযুক্ত পুরোহিত হতে পারেন রাবণই।” অগত্যা রাক্ষস'রাজ রাবণকেই পৌরোহিত্যের প্রস্তাব দেন রঘুনন্দন।আর রাবণও রাজি হয়ে যান।অর্থাৎ যা হয় হোক সকলে মায়ের'ই সন্তান..‼️👁️🤖👁️আজ আভয়া বিচার পেলো না শুধুমাত্র এই রাজনীতির কারণে বোধনের মন্ত্র বলার সময় রাবণ উচ্চারণ করেন, ”রাবণস্য বধার্থায়…” অর্থাৎ নিজের মৃত্যুর জন্য পুজোয় নিজেই পৌরোহিত্য করলেন,সংকল্প করলেন তিনি। আসলে রাবণ জানতেন,রাক্ষস বংশের উদ্ধারের জন্য রামের হাতেই তাঁর বধ হওয়া প্রয়োজন।আজও তাই শত শত নারী রাক্ষস ঘুরে বেড়াচ্ছে।আর সেই কারণেই এই পুজোয় পৌরোহিত্য করতে তাঁর রাজি হওয়া।সেই মনে পরে আড়াল করতে পুলিশ কমিশনার গোয়েল টাকে উচু পোষ্টে প্রমোশন করানো আর আর.জি.করের প্রিন্সিপাল টাকে অন্য মেডিকেল কলেজ এ বদলি করা,শুধু তাই নয় তিনি পুলিশ কর্তাকে দিয়ে এক কারি টাকা অভয়ার পিতা মাতাকে ঘুষ দিতে পাঠিয়েছিলেন।মমতায় ভরপুর মা মমতা ।
কি ছিল রাবণের মনে⁉️⁉️⁉️❕❕
সীতাহরণের সময়'ই কি রামের হাতে বধ হওয়ার আশঙ্খা কাজ করেছিল রাবণের মনে? তাই নতজানু ❕❕❔কিন্তু দেখা গেল,রাবণ যতই পৌরোহিত্য করুন,যুদ্ধে তিনি অপরাজেয়।‼️❕❕রাম যতবার মুণ্ডচ্ছেদ করেন ততবার সেই ছিন্ন মাথা জোড়া লেগে যায় দেবীর আশীর্বাদে। বাস্তব মেলাবেন ......❕কিন্তু শ্রীরাম তো রাম'ই,সেই শ্রীকৃষ্ণ এসে যায়...অর্জুন'কে দেওয়া উপদেশ এসে পরে যেনো....সৎ ব্যক্তিরও অধমের সাথে কুট বুদ্ধি প্রয়োগ জরুরি ❕এই পরিস্থিতিতে রাম বুঝতে পারলেন চণ্ডী অশুদ্ধ করতে হবে।আর উপায় নেই।এই ভার পরল হনুমানের উপর।মাছির রূপ ধরে পবন পুত্র গিয়ে পরে চণ্ডীর উপরে।ঢাকা পরল একটি অক্ষর।ফলে মন্ত্র পড়তে গিয়ে ভুল করলেন রাবণ।তিনি ওই একটি অক্ষর উচ্চারণ না করায় চণ্ডী হল অশুদ্ধ।‼️‼️চণ্ডী অশুদ্ধ হওয়ায় ....দেবী হলেন ক্ষুদ্ধ।...❕❕❕####@তবে এই কাহিনি কিন্তু কৃত্তিবাসী রামায়ণে আলাদা।পড়ে দেখেছি...?....সেখানে বলা আছে,রাবণ রামের পুজোর কথা জানতে পেরে শঙ্কিত। তাই দেবীর কৃপা পেতে তিনি ডাক পাঠালেন দেবগুরু বৃহস্পতিকে।কিন্তু রাত্রিকালে চণ্ডীপাঠ নিষিদ্ধ।আর তাই বৃহস্পতি বেঁকে বসলেন। বিবাদ বাঁধলো ....❕কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাবণের রক্তচক্ষু দেখে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বৃহস্পতি শুরু করলেন পাঠ।আর তখনই সেখানে হাজির হলেন হনুমান।মাছির রূপ ধারণ করে।....‘যথা বৃহস্পতি আছে, উপনীত তাঁর কাছে,/ একমনে করে চণ্ডীপাঠ ।।/ মক্ষিকার রূপ ধরে, চাটিলেন দ্বি অক্ষরে,/ দেখিতে না পান বৃহস্পতি ।/ অভ্যাস আছিল তায়, পড়িল অবহেলায়,/ হনুমান সচিন্তিত অতি ।।’ স্বাভাবিক ভাবেই চণ্ডীপাঠে ত্রুটি হওয়ায় দেবী ক্রুদ্ধ হলেন।এদিকে রাবণও পালটা ক্রোধ দেখিয়ে বললেন,যেহেতু দেবী তাঁর শত্রুর পক্ষ নিয়েছেন,তাই দেবীও এখন তাঁর শত্রু।এমনই রাক্ষস রাজের অহং।.......‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️‼️⁉️❔দেখলেন ??? এই লোককেই কালী মাতা কোলে করে রেখেছিলেন ??? হয় না ? বাস্তবে হাজার হাজার পরিবার আছে এমনই,কলি যুগের অনেক মা ও কিঞ্চিত অমনই।আসলে মহাজ্ঞানী হলেও রাবণ শেষ পর্যন্ত ছিলেন রাক্ষস--গুণসম্পন্ন,দাম্ভিক।সাধে কী বলেছে ‘অতি দর্পে হত লঙ্কা…’ ফলে দেবীর কৃপা আর রইল না রাবণের উপরে।প্রশস্ত হল তাঁর বধের পথ।এর সঙ্গেই এসে পরে,মানস সরোবর থেকে আনা ১০৮টি নীলপদ্মের সেই কাহিনি।হনুমানের এনে দেওয়া পদ্মগুলি দেবীর উদ্দেশে অর্পণ করতে গিয়ে রামের নজরে পড়ল একটি পদ্ম কম।তখন তিনি নিজের নীলপদ্মের মতো চোখ দেবীকে নিবেদন করতে চাইলেন।এরপর? কৃত্তিবাস বলছেন, ”চক্ষু উৎপাটিতে রাম বসিলা সাক্ষাতে।/ হেনকালে কাত্যায়নী ধরিলেন হাতে।।/ কর কি কর কি প্রভু জগৎ গোঁসাই।/ পূর্ণ তোমার সংকল্প চক্ষু নাহি চাই।।” এরপর দেবীর বরপ্রাপ্ত রামের পক্ষে রাবণকে বধ করা ছিল অত্যন্ত সহজ।বর্তমানেও দেখা যায় মায়ের বড় ছেলে বিদেশে ,হুকুম বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে,আর ছোট ছেলে কোনো কিছু না পেয়েও মা কে নিজ অর্থে নিজ গৃহে যত্নে মগ্ন সামর্থ্য না থাকলেও।বসন্তকালের বদলে শরৎকালে দেবীর সেই পুজোই আজকের দুর্গাপুজোর কাহিনি।যা বাল্মীকি রামায়ণে নেই।পরে সংযোজিত হয়েছে।আবার অকাল বোধনে রাবণের পৌরোহিত্যের কাহিনিও একই ভাবে ঢুকে
পরেছে কোনও কোনও রামায়ণের কাহিনিতে। আসলে রামায়ণের নানা সংস্করণ ছড়িয়ে রয়েছে।এই বিভিন্ন সংস্করণ গুলির কথা ভাবতে বসলে সত্যিই অবাক হতে হয়।চেনা কাহিনি বদলে বদলে গিয়েছে ভিন্ন ভাষা,ভিন্ন সংস্কৃতির আঁচে!রামায়ণ-মহাভারতের কথা বলতে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘এত বড়ো বৃহৎ দুইটি গ্রন্থ,আমাদের সমস্ত ভারতবর্ষ-জোড়া দুইটি কাব্য,তাহাদের নিজের রচয়িতা কবিদের নাম হারাইয়া বসিয়া আছে— কবি আপন কাব্যের এতই অন্তরালে পড়িয়া গেছে।’ এভাবেই মহাকাব্য দেশের ভিন্ন সংস্কৃতিকে নিজের মধ্যে ধারণ করে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে।
এখন প্রশ্ন হলো আমরা মায়ের কাছে কি চাইব?????⁉️‼️
মা এসেছেন।আনন্দদায়িনী ময়ের আশীর্বাদ আমাদের সকলেরই প্রয়োজন।তাঁর কাছে আমি যা চাই আমার ভিডিও পোস্টেই চেয়েছি।আসুন দেখুন আশাকরি সহমত হবেন। আবদার এই টুকুই যেন তিনি আমাদের সারা বছর খুশি ,আর সুস্থতা বজয় রাখেন। তাঁকে সহস্র কোটি প্রণাম।🙏🙏🙏🙏
সকলে পুজোর শুভেচ্ছা নেবেন।
অনেক অনেক শারদীয় অভিনন্দন রইলো।
##NB.. উক্ত লেখার সম্পূর্ণ দায়ভার নিজস্ব
💮💮💮💮💮
#শুভেচ্ছা #🔱শুভ ষষ্ঠী২০২৫🪔 #🙂ভক্তি😊 #🌷সিদ্ধিদাতা গণেশ🐘 #🙏জয় মা দুর্গা🙏
⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️
দুর্গাদেবীর আগমনী সংগীতই মহালয়া
‼️দানবীর কর্ণ ও মহালয়‼️
⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️⭐⚜️
ঐযে বলে নিয়তি কেনো বধ্যতে...‼️‼️
দানবহাভারতের আখ্যান মতে,কর্ণ কুন্তী পুত্র হয়েও নিয়তির খেলাতে নিজের অজ্ঞাতেই তিনি দুর্যোধনের সবচেয়ে কাছের বন্ধুতে পরিণত হন।বীরত্বের পাশাপাশি তিনি দাতা হিসেবে অদ্বিতীয় হয়ে ওঠেন।তার কাছে কিছু চেয়ে বিমুখ হয়নি কখনো কেউ।সোনা-দানা, মণিমাণিক্য যে যা চেয়েছে তাই দিয়েছেন তিনি।এমনকি নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় সুরক্ষা অভেদ্য কবচকুণ্ডলও তিনি অবলীলায় হাসিমুখে দান করেছেন।কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কর্ণ নিহত হন।তবে পুণ্যময় কাজের পরিণামে স্থান পান স্বর্গে।নরলোকে যে পরিমাণ সম্পদ তিনি দান করেছিলেন তার সহস্রগুণ ফিরে আসে তাঁর কাছে।স্বর্ণ-সম্পদের বিপুল বৈভবের নিচে তিনি যেন চাপা পরে যান।তবুও দুঃখী তিনি। সব পাচ্ছেন তিনি কিন্তু পাচ্ছেন না খাদ্য।এই যন্ত্রণা তাকে অস্থির করে তোলে।
ক্ষুধায় তৃষ্ণায় কাতর কর্ণ যান যমরাজের কাছে।ক্ষুব্ধ কণ্ঠেই বলেন,এ কেমন বিচার!
অফুরন্ত স্বর্ণ রত্ন তিনি পাচ্ছেন,কিন্তু সেসব তো খাদ্য নয়।ক্ষুধার অন্ন নয়।কাজেই সোনাদানার তাঁর দরকার নেই।দরকার খাদ্য।
কর্ণের এই জিজ্ঞাসার মুখে যমরাজ কিছুটা বিব্রত কণ্ঠেই বলেন,এর আমি কী করব? নরলোকে মানুষ যা দান করে,পরলোকে এসে তাই কয়েক সহস্রগুণ ফিরে পান।কর্ণ কুণ্ঠিত ভাবেই বলেন,আমি তো মর্ত্যে দানে কোনো ত্রুটি রাখিনি।আমার সব ধনসম্পদ আমি অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছি।তাহলে কেন বঞ্চিত থাকব খাদ্য-পানীয় থেকে?যমরাজ বলেন, তুমি ধনসম্পদ দান করেছ,এটা সত্য।কিন্তু তুমি কোনো দিন কাউকে অন্নদান করোনি। দাওনি কোনো তৃষ্ণার্তকে জল।সে কারণে এখানে বঞ্চিত তুমি সেসব থেকে।কিন্তু আমি যে ক্ষুধায় অস্থির।এর একটা বিহিত করুন আপনি।ফিরিয়ে নিন সম্পদ,পরিবর্তে দিন একটু খাদ্য।একটু জল।যমরাজ বলেন,আমি নিরুপায়।ঈশ্বরের বিধান বদলের কোনো ক্ষমতা আমার নেই।না জেনে অপরাধ করেছি।অন্ন-জল দান যে এত মহত্তোম দান, এটা জানা ছিল না।সেই অনিচ্ছাকৃত অপরাধ ক্ষমা করুন।একটা কিছু প্রতিবিধান করুন।
কর্ণের প্রতি যমরাজ সদয় হন।বলেন,বেশ একটা সুযোগ তোমাকে দিচ্ছি।তুমি এক পক্ষের জন্য মর্ত্যলোকে ফিরে যাও।যথেচ্ছ দান কর অন্ন-জল।এরপর পনেরো দিনের জন্য কর্ণ ফিরে আসেন মর্ত্যে।এই পনেরো দিন তিনি অকাতরে দান করেন অন্ন-জল। পরিণামে ফিরে গিয়ে স্বর্গে,ফিরে পান অন্ন-জল।..... আশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত পনেরো দিন কর্ণের ছিল দ্বিতীয় দফার মর্ত্য বাস।আর এই পনেরটি দিনই হিন্দু শাস্ত্রে পিতৃপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত।কর্ণ স্বর্গে ফিরে আসেন যে অমাবস্যা তিথিতে- সেটিই অভিহিত মহালয় বা মহালয়া নামে।‼️‼️.....আজ সেই দিন,তামাম ভারতবর্ষের বিভিন্ন মানুষ গঙ্গায় যান পিতৃ পক্ষের শেষ সময় পূর্ব পুরুষ দের অন্ন জল দান করেন।তাদের বিশ্বাস স্বর্গ থেকে তাঁরা পাপ মোচন করবেন আশীর্বাদ দেবেন।
তবে শাস্ত্র-বিশেষজ্ঞরা বলেন,পিতৃপক্ষের অবসানে,অমাবস্যার অন্ধকার পেরিয়ে আমরা আলোকোজ্জ্বল দেবীপক্ষে আগমন করি,তাই সেই মহা-লগ্ন আমাদের জীবনে ‘মহালয়া’।এ ক্ষেত্রে দেবী দুর্গা কেই সেই মহান আশ্রয় বলা হয়ে থাকে এবং আঁধার থেকে আলোকে উত্তরণের লগ্ন টিকে বলা হয় মহালয়া।কিন্তু গত বছরের দগ-দগে ঘা শুকোলো না।অভয়ার পিতা মাতার চোখের জল কেউই পারেনি মোছাতে।খালি রাজনীতি সার।বাংলার মুখ্য মন্ত্রী মঞ্চে উঠে যে দান
ক্ষয়রাতের আসফালন,নাচানাচি,চিৎকার করে,মানুষের করের অর্থে দম্ভ,এক দিন ছুটবে,কারণ প্রকৃত গরীব মানুষ,অসহায় ফুট পাথ বাসী গৃহ মঞ্চিত মানুষের অভিসম্পাত,তাদের অন্ন জল জোটে না,আমাদেরই হাল তলানিতে।পাপ খণ্ডাবে কে?শত "তর্পণ" এও খন্ডন সম্ভব নয়।
কৃষ্ণপক্ষ বা পিতৃপক্ষের অবসান এবং শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনায় অমবস্যার একটি নির্দিষ্ট ক্ষণকে মহালয়া বলা হয়।আর এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে মহালয়া আসলে কী? মহালয়া শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল মহান যে আলয় বা আশ্রয়।অর্থাৎ মহা+আলয় জুড়ে এই শব্দ।যদিও সন্ধির নিয়ম মেনে শব্দটি‘মহালয়’ হওয়ার কথা।তবে‘মহালয়া’ বলার পিছনে কোনও ব্যকরণগত ব্যাখ্যা নেই। দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয় বলে শব্দটিকে স্ত্রীলিঙ্গ করে ‘মহালয়া’ বলা হয়।এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন,সেই মহান আলয়।আমাদের পরম আরাধ্য দেবী,দেবী দুর্গতিনাশিনী।মা তুমি এসো দেখো কী অনাচার টাই'না চলছে,গরীব গর্বারা খেতে পাচ্ছেনা,তাদের যে দুবেলা অন্ন জল জোটে না।শাসক শ্রেণী কোটি কোটি মানুষের করের টাকায়,ধন্দার টাকায় অপ্রয়োজনীয় দান করে চলেছে।সেদিন দেখছিলাম আমারই জানা একজন তাঁর পোষ্টে ট্যাগ লাইন দিয়েছেন....!!!কিছু পুরুষ আর কিছু নারী অত্যন্ত ভয়ংকর এই অ্যাপস এ।প্রকৃত নারী শক্তিকে জগাও মা তুমি।সর্ব শক্তি চেতনা যোগাও।তা না হলে ধ্বংস অনিবার্য।পুরাণ থেকে মহাভারত, মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনি।পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে উঠেছিলেন।শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত ছিল।অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ,তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা,বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন।তিনিই মহামায়া'রূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা।সেইকারণে বিশ্বাস করা হয়,এই উৎসবে অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা হয়।★যদিও মহালয়ার সঙ্গে দুর্গা পুজোর প্রত্যক্ষ ভাবে কোনও যোগ নেই। বরং মহালয়ার রয়েছে পৃথক মাহাত্ম্য। দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত উৎসব নয় মহালয়া। আসলে এই দিনটি পিতৃপুরুষের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।সারাবছর কোনও সময় তর্পণ না করলেও মহালয়ার তর্পণে সর্বসিদ্ধি বলে মনে করা হয়।লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন,যা অকালবোধন নামে পরিচিত।এরপর থেকেই যুগ যুগ ধরে শারদীয়া দুর্গাপুজো চলে আসছে।আগে রাজবাড়ি কিংবা জমিদার বাড়িতেই দুর্গাপুজো হত।রথের দিন কাঠামো পুজো হত এবং মহাসপ্তমীর দিন নবপত্রিকা প্রবেশের পর দেবীর চক্ষুদান পর্ব হত।যেহেতু মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়,তাই পরবর্তীকালে মহালয়ার দিনই প্রতিমার চক্ষু আঁকার চল শুরু হয়। 👉🔱⚜️🔱
দেবী তোমার আগমনের ..প্রস্তুতি তাই,
মহেশ তোমায় দিলেন বিদায় ..‼️
মহিষাসুরের নিধন করে,
চলেই এসো পিত্রালয় …‼️
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
দেবী তুমি আসবে বলে,শিশির বিন্দু ঘাসে,
মাঠে মাঠে শোভা বাড়ায়,শুভ্র বরণ কাশে …‼️
এটা ২১শ শতাব্দীর ২৫তম বছর; এমনি
আশ্বিনের এক প্রাগৈতিহাসিক সকালে শ্রীরামচন্দ্র যে দুর্গার বোধন করেছিলেন
স্বর্গের দেব'পুরুষগণ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে যে রণ'দেবীকে অসুর নিধনে পাঠিয়েছিলেন,
সেই দুর্গাই একুশ শতকে নারীর ক্ষমতায়ন।
তাঁর মহা তেজ চির'জাগরুক আগুন হয়ে জ্বলে উঠুক,মাটির পৃথিবীর প্রতিটি নারীর মধ্যে।
🔱🙏🌅🙏🌅🙏🌅🙏🌅🙏🌅🙏🔱
হে মহামানবী,দেবী তোমাকে সহস্র কোটি প্রণাম।
সকলে খুশির জোয়ারে মেতে জান।পুজো খুশির হোক। #শুভেচ্ছা #🙏তর্পণ ২০২৫🙏 #🔱শুভ মহালয়া ২০২৫🌷 #🌷মহিষাসুরমর্দিনী ২০২৫🔱 #🙂ভক্তি😊
🌅ব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরিকারী দেবতা🌅
🙏🌸🙏🌸🙏🌸🙏🌸🙏
সমুদ্র মন্থন বা সমুদ্র মন্থনের গল্পটি পুরাণ থেকে প্রাপ্ত একটি প্রাচীন কাহিনী,যেখানে সম্পদের দেবী,দেবী লক্ষ্মীকে ফিরিয়ে আনার জন্য সমুদ্র মন্থন করা হয়েছিল।এই প্রক্রিয়া চলাকালীন,চৌদ্দটি মূল্যবান জিনিসের জন্ম হয়েছিল;এই চৌদ্দটি মূল্যবান জিনিসের মধ্যে একটি ছিলেন ভগবান বিশ্বকর্মা।সেপ্টেম্বর মাসে,দেশ এবং বিশ্বের হিন্দুরা ভগবান বিশ্বকর্মার সম্মানে একটি দিন পালন করে।এই দিনটি বিশ্বকর্মা পূজা বা বিশ্বকর্মা জয়ন্তী নামে পরিচিত।চিরাচরিত ১৭ই সেপ্টেম্বর...‼️‼️ তিনি স্বয়ম্ভু নামেও পরিচিত,অর্থাৎ,বিশ্বের স্রষ্টা এবং ঋগ্বেদের মতো ধর্মীয় গ্রন্থে তাঁকে ঐশ্বরিক স্থপতি হিসেবে সমাদৃত করা হয়েছে।যখন কৃষ্ণ সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি দ্বারকায় তাঁর রাজ্য স্থাপন করবেন,তখন ভগবান বিশ্বকর্মাকে এই কাজের জন্য ডাকা হয়েছিল।শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান বিশ্বকর্মা দ্বারকা নগরী নির্মাণ করতে এবং কৃষ্ণের জন্য এটি প্রস্তুত করতে মাত্র একদিন সময় নিয়েছিলেন,এটাই তাঁর অপূর্ব শক্তি।আজও,বিশ্বকর্মা পূজার এই শুভ দিনে, যাদের পেশায় যন্ত্র ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত,তারা তাঁর পূজা করেন এবং সেই দিনের জন্য তাদের সরঞ্জাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন। ভগবানের একটি মূর্তি বা ছবি একটি পাদদেশে স্থাপন করা হয় এবং পূজা করা হয়। এই আধুনিক যুগেও,ভগবান বিশ্বকর্মা এতটাই প্রাসঙ্গিক যে,এমনকি যারা নতুন যুগের যন্ত্র বা কম্পিউটার নিয়ে কাজ করেন তারাও এই দিনটি পালন করেন এবং কাজ করা থেকে বিরত থাকেন।যখন ভগবান বিশ্বকর্মা একদিনে কৃষ্ণের জন্য দ্বারকা নগরী নির্মাণ করেছিলেন,‼️‼️তখন ভগবান কৃষ্ণ এতে কোনও দোষ খুঁজে পাননি।আমাদের কাজের ভিত্তি এতটাই শক্তিশালী হওয়া উচিত যে কেউ এতে কোনও দোষ খুঁজে পাবে না।ভগবানের আশীর্বাদে বৃন্দাবন কৃষ্ণভূমি বৃন্দাবনে তাঁর প্রথম উচ্চতম কৃষ্ণ মন্দির..এই সেদিন'কার কথা‼️
বিশ্বমানের আইকন বৃন্দাবন চন্দ্রোদয় মন্দির, বেঙ্গালুরুর হাতে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মন্দির। ভগবানের বাসস্থান তৈরি করা একটি দুরূহ কাজ এবং তাই আমরা ভগবান বিশ্বকর্মার আশীর্বাদ কামনা করছি যাতে তিনি প্রাচীন দ্বারকার মতো নিখুঁতভাবে এই স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরিতে যেমনটি আশীর্বাদ করেছিলেন বর্তমানেও আমাদের সকলকে কর্মে সহযোগিতা করুন।তাঁর কীর্তি কলাপের শেষ নেই.....
বিশ্বকর্মা একবার ব্রহ্ম'বণে একটি যজ্ঞ করেছিলেন আকাশ'যান পুষ্পক
রথটি বিশ্বকর্মা তৈরি করেছিলেন।তাঁর তৈরি একটি মায়াবী পতাকা রথের সামনে উড়িয়ে বিরাটে কৌরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন অর্জুন।একবার বিশ্বকর্মা ইন্দ্রের সাথে ঝগড়া করে তিন মাথা বিশিষ্ট পুত্র বিশ্বরূপের সৃষ্টি করেন।বিশ্বকর্মা বিজয় নামক ধনুকটি তৈরি করে ইন্দ্রকে দিয়েছিলেন।
ত্রিপুরা দহনের সময়,তিনিএকটি দিব্য রথ তৈরি করেছিলেন এবং শিবকে দিয়েছিলেন।
ভরদ্বাজ কর্তৃক প্রদত্ত অভ্যর্থনা ও
ভোজসভায়,যিনি বনে বসবাসের জন্য চলে যাওয়া শ্রীরামের সন্ধানে বনে যাচ্ছিলেন, বিশ্বকর্মা এবং ত্বাষ্টাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।তিনিই একবার একটি ঘোড়ার মুখ কেটে মহাবিষ্ণুর মাথাবিহীন দেহের সাথে সংযুক্ত করেছিলেন।সেই মূর্তিটির নামকরণ করা হয়েছিল হায়াগ্রীব।মহাবিষ্ণুর এই হায়াগ্রীব মূর্তিই অসুর হায়াগ্রীবকে হত্যা করেছিল।
তাঁকে কারিগর এবং নির্মাণ,ছুতার কাজ ইত্যাদির সাথে জড়িত শ্রমিকদের দেবতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।তিনি দেবতা বাস্তু এবং দেবী অঙ্গীশ্রীর পুত্র।ভগবান ব্রহ্মা এই সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পরিকল্পনা এবং সৃষ্টিতে ভগবান বিশ্বকর্মা দ্বারা সাহায্য ও সহায়তা পেয়েছিলেন।তিনিই এই সমগ্র বিশ্বের মানচিত্র তৈরিতেও জড়িত ছিলেন।বিখ্যাত এবং পবিত্র শ্রীকৃষ্ণের শহর দ্বারকাও যে ভগবান বিশ্বকর্মা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল,তার পেছনেও রহস্য ছিল।দ্বারকা ভগবান বিষ্ণুর অন্যতম অবতার ভগবান কৃষ্ণের শাসনাধীন ছিল।ভগবান কৃষ্ণ এবং যাদবরা মথুরা ত্যাগ করেছিলেন,মথুরা থেকে জরাসন্ধ এবং কালায়নের ভয়ঙ্কর আক্রমণের আশঙ্কায়।মথুরা ত্যাগ করার পর, তাঁরা সৌরাষ্ট্রের উপকূলে পৌঁছেছিলেন। উপকূলে পৌঁছানোর পর নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য,ভগবান কৃষ্ণ সমুদ্রদেবের পূজা করেছিলেন।কৃষ্ণের প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হয়ে তিনি ১২ যোজন আয়তনের ভূমি দান করেছিলেন। বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান বিশ্বকর্মা এই ভূমিতে সোনার দ্বারকা নগরী নির্মাণ করেছিলেন।
মহাভারত বলে,ভগবান বিশ্বকর্মা হলেন সেই ব্যক্তি যিনি ইন্দ্রপ্রস্থ নগরীতে পাণ্ডবদের জন্য মায়া সভা - মায়ার কক্ষ তৈরি করেছিলেন।
এটাও বিশ্বাস করা হয় যে ঋগ্বেদে,যান্ত্রিকতা এবং স্থাপত্য বিজ্ঞান সম্বলিত বিভাগটি ভগবান বিশ্বকর্মা দ্বারা প্রণয়ন এবং লেখা হয়েছিল।এই সমস্ত নির্মাণ ও ভাস্কর্যের সৃষ্টি
ছাড়াও,তিনি পুরাণে বর্ণিত বিভিন্ন যুদ্ধে বিভিন্ন হিন্দু দেবতাদের দ্বারা ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্রের নকশা'কার বলেও আলোচ্য।তাঁর করুণা এবং অবদান সর্বদা ছুতার শিল্পের ক্ষেত্রেও কৃতিত্ব পেয়েছে।তাঁকে স্বয়ম্ভু নামেও ডাকা হয়,যার অর্থ স্বয়ম্ভু বা মাতৃগর্ভে নয়,নিজের ইচ্ছায় জন্মগ্রহণ করা।প্রতি বছর সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে বিশ্বকর্মা পূজা পালিত হয়।এইদিনে সূর্যদেব সিংহ রাশি ত্যাগ করে কন্যা
রাশিতে প্রবেশ
করেন।এই কারণে,এই দিনটিকে কন্যা সংক্রান্তি দিবসও বলা হয়।হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে,বিশ্বকর্মা পূজা ভাদ্র মাসের শেষ দিনে পরে।কেউ কেউ এটিকে ভাদ্র সংক্রান্তি হিসেবে পালন করেন।আমি সকলকেই বিশ্বকর্মা পূজা উদযাপনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এবং একসাথে ভগবানের প্রশংসা করি এবং আমাদের কর্মক্ষেত্রে নিজেদের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি এবং ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করি।সর্বোপরি,ভগবান বিশ্বকর্মা সকলের কাছে যেনো একই বার্তা পাঠান।সেটা হোক একসাথে একটি শক্তিশালী ভিত্তি,একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার বার্তা।দেবতাদের স্থপতি সকলেই এবং সকলের পরিবারকে তাঁর সর্বোত্তম আশীর্বাদ বর্ষণ করুন।
জয় বাবা বিশ্বেশ্বর শ্রী বিশ্বকর্মা কী জয়
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
🌸🙏🌸🙏🌸🙏🌸
#শুভেচ্ছা #🛠️বিশ্বকর্মা পুজো Status🌼 #🛠️বিশ্বকর্মা পুজোর বিধি ২০২৫🌼 #ভক্তি #🌸বিশ্বকর্মা পুজোর শুভেচ্ছা ২০২৫🙏





