#🙏 মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণে সুকুমার রায়💐
🎈🌟 সুকুমার রায় – বাংলা সাহিত্যের হাস্যরসের রাজা 🌟🎈
সুকুমার রায় (১৮৮৭-১৯২৩) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য হাস্যরসাত্মক কবি, গল্পকার ও নাট্যকার।
তাঁকে ভারতীয় সাহিত্যের ননসেন্স সাহিত্য এর অন্যতম প্রধান আধুনিক প্রতিপাদ্য বলা হয়ে থাকে। তাঁর সাহিত্যকর্ম বিশ্ব বিখ্যাত লেখক লুইস ক্যারল এর সৃষ্টির সঙ্গে তুলনা করা হয়।
সুকুমার রায় কলকাতায় ৩০ অক্টোবর ১৮৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাহ্ম সমাজের একজন প্রতিভাবান পরিবারে বড় হয়ে, তিনি সৃষ্টিশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠেন।
তাঁর পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী ছিলেন একজন প্রখ্যাত লেখক, শিল্পী ও মুদ্রণ প্রযুক্তির পথিকৃৎ। এই প্রেরণায় সুকুমার রায়ের সাহিত্য ও শিল্পকলার যাত্রা শুরু হয়।
প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে ডিগ্রি অর্জনের পর ইংল্যান্ডে মুদ্রণ প্রযুক্তি ও ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করেন।
তাঁর অনন্য লেখনীর শৈলী ছিল হাস্যকর, বিদ্রুপাত্মক ও কল্পনাপ্রসূত ভাষার মিশেল। তিনি মূলত শিশুদের জন্য লিখলেও তার সাহিত্যকর্ম সকল বয়সীদের প্রিয়।
📚 তার গুরুত্বপূর্ণ কীর্তিময় কাজের মধ্যে রয়েছে:
👉 অবোল তাবোল (১৯২৩) – ৪৫টি ননসেন্স কবিতা ও ছড়ার সংগ্রহ, যা বাংলা সাহিত্যের একটি ক্লাসিক।
👉 হ-য-ব-র-ল (১৯২৮) – অবাক করা কল্পিত জীব ও অবাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে লেখা উপন্যাস, যেটি প্রায় 'অ্যালিস ইন ওন্ডারল্যান্ড' এর বাংলা রূপান্তর বলে বিবেচিত।
👉 পাগলা দাশু (১৯৪০) – স্কুলছাত্র দাশুর মজার ও অদ্ভুত কাহিনীর সংকলন।
👉 খাই খাই (১৯৫০) – আরও একটি হাস্যরসাত্মক লেখা সংকলন।
সুকুমার রায় ছিলেন একজন প্রতিভাবান চিত্রকরও। তাঁর অদ্ভুত রংচঙা অঙ্কনগুলো ছড়া ও গল্পগুলোর সাথে মিলে তার স্বতন্ত্র রঙ যোগ করেছিল।
তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত শিশু পত্রিকা সন্দেশ-এর দায়িত্ব নিয়ে সুকুমার রায় সেই পত্রিকাকে শিশুসাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে গড়ে তোলেন।
দুঃখজনকভাবে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ব্ল্যাক ফিভারের কারণে আমাদের মাঝ থেকে চলে যান তিনি।
তার পরে তাঁর পুত্র, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়, সন্দেশ পত্রিকাকে পুনরুজ্জীবিত করে পরিবারের সাহিত্য ঐতিহ্যকে ধরে রাখেন।
🌟 সুকুমার রায়ের হাস্যরস ও কল্পনার জগৎ আজও আমাদের মন আনন্দে ভরিয়ে দেয়।
🎉 তাঁর অমর সৃষ্টি আমাদের চিরস্মরণীয়। 🙏❤️
#📚 আপনি জানেন কি? 🤔 #🌎জ্ঞানের ভূবন👨🎓 #📰জেনারেল নলেজ📚