ভাগবত গীতা
147 Posts • 137K views
Dhoni
17K views 12 days ago
#শ্রীমত ভাগবত গীতা 🙏 #শ্রীমৎ ভাগবত গীতা #ভাগবত গীতা #জয় শ্রী কৃষ্ণ #💓জয় গীতা 🙏❤🕉 🌿 . 🕉️⚛️💗 #সনাতন_ধর্ম 💗⚛️🕉️⛳🚩 #জয়_শ্রী_কৃষ্ণ_challenge ⛳❤️🚩 #জয়_গীতা_challenge ⛳🌿🚩 আজ ২০ আশ্বিন মঙ্গলবার 07/10/2025 *•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼⚛️🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••* #শ্রীমদ্ভগবদগীতা #সাংখ্য_যোগ ( ১০৭,১০৮ ) #দ্বিতীয়_অধ্যায় : - ২ #শ্লোক : - ৬১,৬২ #গীতার_দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_নম্বর : - ৬১,৬২ 🌿🌿🌿 ওঁ তৎ সৎ🙏🏻🙏 #দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৬১ तानि सर्वाणि संयम्य युक्त आसीत मत्परः । वशे हि यस्येन्द्रियाणि तस्य प्रज्ञा प्रतिष्ठिता ।।२.६१।। তানি সর্বাণি সংযম্য যুক্ত আসীত মৎপরঃ । বশে হি যস্যেন্দ্রিয়াণি তস্য প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠিতা ।।২.৬১।। #অনুবাদ : - যিনি তাঁর ইন্দ্রিয়গুলিকে সম্পূর্ণরুপে সংযত করে আমার প্রতি উত্তমা ভক্তিপরায়ণ হয়ে তাঁর ইন্দ্রিয়গুলিকে সম্পূর্ণরুপে বশীভুত করেছেন, তিনিই স্থিতপ্রজ্ঞ । #সারাংশ : - “মহারাজ অম্বরীষ তাঁর মনকে শ্রীকৃষ্ণের চরণারবিন্দের ধ্যানে, তাঁর বাণী বৈকুণ্ঠের গুণ বর্ণনায়, তাঁর হস্ত ভগবানের মন্দিরমার্জনে, তাঁর কর্ণ ভগবানের লীলাশ্রবণে, তাঁর চক্ষু ভগবানের সচ্চিদানন্দময় রূপদর্শনে, তাঁর অঙ্গ ভক্তের অঙ্গস্পর্শনে, তাঁর নাসিকা ভগবানের শ্রীচরণে অর্পিত ফুলের ঘ্রাণগ্রহণে, তাঁর জিহ্বা ভগবানকে অর্পিত তুলসীর স্বাদ আস্বাদনে, তাঁর পদদ্বয় ভগবানের মন্দির সম্বলিত তীর্থস্থানে ভ্রমণে, তাঁর মস্তক ভগবানের উদ্দেশ্যে প্রণতি নিবেদনে এবং তাঁর বাসনা ভগবানের বাসনা পূরণার্থে নিয়োজিত করেছিলেন । আর এই সমস্ত গুণাবলী তাঁকে ভগবানের মৎপর ভক্তে পরিণত করেছিল ।” এই সূত্রে মৎপর শব্দটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ । কিভাবে মৎপর হওয়া যায়, তা মহারাজ অম্বরীষের আচরণের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে। “ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করার মাধ্যমেই কেবল ইন্দ্রিয়গুলিকে সম্পূর্ণভাবে সংযত করা যায় ৷” আবার কখনও কখনও আগুনেরও দৃষ্টান্ত দেওয়া হয় । “লেলিহান আগুন যেমন একটি ঘরের মধ্যে সব কিছু পুড়িয়ে ফেলতে পারে, তেমনই যোগীর হৃদয়ে অবস্থিত ভগবান শ্রীবিষ্ণু তাঁর অন্তরের সমস্ত কলুষতা দগ্ধ করে দেন।” যোগসূত্রেও #ভগবান শ্রীবিষ্ণুকে ধ্যান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শূন্যে ধ্যান করার কোন কথাই বলা হয়নি । যে সমস্ত তথাকথিত যোগী শ্রীবিষ্ণু ছাড়া অন্য কিছুর ধ্যান করে, তারা কোন অলীক ছায়ামূর্তির দর্শন করার আশায় অনর্থক সময় নষ্ট করে থাকে । আমাদের কৃষ্ণভাবনাময় হতে হবে – পরমেশ্বর ভগবানের প্রতি ভক্তিপরায়ণ হতে হবে । এটিই প্রকৃত যোগের উদ্দেশ্য । ✧════════•❁❀❁•════════✧ #দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৬২ ध्यायतो विषयान्पुंसः सङ्गस्तेषूपजायते । सङ्गात् संजायते कामः कामात्क्रोधोऽभिजायते ।।२.६२।। ধ্যায়তো বিষয়ান্ পুংসঃ সঙ্গস্তেষূপজায়তে । সঙ্গাৎ সঞ্জায়তে কামঃ কামাৎ ক্রোধোহভিজায়তে ।।২.৬২।। #অনুবাদ : - ইন্দ্রিয়ের বিষয়সমূহ সম্বন্ধে চিন্তা করতে করতে মানুষের তাতে আসক্তি জন্মায়, আসক্তি থেকে কাম উৎপন্ন হয় এবং কামনা থেকে ক্রোধ উৎপন্ন হয় । #সারাংশ : - যার অন্তরে ভগবদ্ভক্তির উদয় হয়নি, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয় সম্বন্ধে চিন্তা করার ফলে তার মনে জড় বাসনার উদয় হয় । ইন্দ্রিয়গুলিকে সঠিকভাবে নিযুক্ত করা দরকার, তাই সেগুলিকে যদি ভগবানের প্রেমময় সেবায় নিয়োজিত করা না হয়, তাহলে অবশ্যই জড়-জাগতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হবার জন্য তারা চেষ্টা করে । জড় জগতের সকলেই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়, এমনকি ব্রহ্মা এবং শিবও এর দ্বারা প্রভাবিত–স্বর্গলোকের অন্যান্য দেবদেবীদের কোন কথাই নেই । আর জড় জগতের এই গোলকধাঁধা থেকে বেরিয়ে আসবার একমাত্র উপায় হচ্ছে কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত হওয়া । এক সময় মহাদেব গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন; তখন পার্বতী তাঁর সঙ্গ কামনা করলে তিনি সম্মত হয়ে পার্বতীর সঙ্গে মিলিত হন, ফলে কার্তিকের জন্ম হয় । ভগবানের একনিষ্ঠ ভক্ত ঠাকুর হরিদাসও তাঁর যুবাবস্থায় এভাবে স্বয়ং মায়াদেবীর দ্বারা প্রলুব্ধ হন, কিন্তু ভগবানের প্রতি অনন্যভক্তির প্রভাবে তিনি অনায়াসে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । নিষ্ঠাবান ভক্ত ভগবানের দিব্য সাহচর্য লাভপূর্বক এক অপ্রাকৃত আনন্দের উন্নত স্বাদ আস্বাদন করার ফলে সমস্ত জড় ইন্দ্রিয়সুখভোগ পরিহার করতে পারেন । সেটিই সাফল্যের রহস্য । তাই যে কৃষ্ণভাবনাময় নয়, সে কৃত্রিমভাবে ইন্দ্রিয়- সংযম করার চেষ্টা করলেও তা অবশেষে ব্যর্থতাতেই পর্যবসিত হয় । কারণ ইন্দ্রিয়সম্ভোগের সামান্য চিন্তার ফলে সংযমের বাঁধ ভেঙে গিয়ে ইন্দ্রিয়তৃপ্তির বাসনায় মন উন্মত্ত হয়ে ওঠে । ( প্রতিদিন শ্রীমদ্ভগবদগীতার ১ টি করে শ্লোক পড়তে এই পেজটির সাথে থাকুন ।) *─⊱✼ #হরে_কৃষ্ণ ✼⊰─* *•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼🌼🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••* #হরে_কৃষ্ণ_হরে_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_হরে_হরে ! #হরে_রাম_হরে_রাম_রাম_রাম_হরে_হরে । । 🙏🙏 #জয়_শ্রী_কৃষ্ণ 🙏🙏 🙏 #রাধে_রাধে 🙏 ∙──༅༎ Hare Krishna 🙏༎༅──
139 likes
180 shares
Dhoni
392 views 20 days ago
#শ্রীমত ভাগবত গীতা 🙏 #শ্রীমৎ ভাগবত গীতা #ভাগবত গীতা #জয় শ্রী কৃষ্ণ #🙏🙏🙏জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏🙏🙏 🌿 . 🕉️⚛️💗 #সনাতন_ধর্ম 💗⚛️🕉️⛳🚩 #জয়_শ্রী_কৃষ্ণ_challenge ⛳❤️🚩 #জয়_গীতা_challenge ⛳🌿🚩 আজ আশ্বিন রবিবার 28/09/2025 *•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼⚛️🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••* #শ্রীমদ্ভগবদগীতা #সাংখ্য_যোগ ( ৯৩,৯৪ ) #দ্বিতীয়_অধ্যায় : - ২ #শ্লোক : - ৪৭,৪৮ #গীতার_দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_নম্বর : - ৪৭,৪৮ 🌿🌿🌿 ওঁ তৎ সৎ🙏🏻🙏 #দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৪৭ कर्मण्येवाधिकारस्ते मा फलेषु कदाचन । मा कर्मफलहेतुर्भूर्मा ते सङ्गोऽस्त्वकर्मणि ।।२.४७।। কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন । মা কর্মফলহেতুর্ভূর্মা তে সঙ্গোহস্ত্বাকর্মণি ।।২.৪৭।। #অনুবাদ : - স্বধর্ম বিহিত কর্মে তোমার অধিকার আছে, কিন্তু কোন কর্মফলে তোমার অধিকার নেই । কখনও নিজেকে কর্মফলের হেতু বলে মনে করো না, এবং কখনও স্বধর্ম আচরণ না করার প্রতিও আসক্ত হয়ো না । #সারাংশ : - এখানে তিনটি বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে -- (১) নির্ধারিত কর্তবাকর্ম, (২) বিকর্ম বা খেয়ালখুশিমতো কর্ম এবং (৩) নৈষ্কর্ম্য । কর্তব্যকর্ম হচ্ছে প্রকৃতির তিনটি গুণের দ্বারা বদ্ধ অবস্থায় জাগতিক কর্ম । বিকর্ম হচ্ছে কর্তৃপক্ষ তথা শাস্ত্র অথবা গুরুদেবের অনুমোদন ব্যতীত কর্ম এবং কর্তব্যকর্ম সম্পাদন না করাকে বলা হয় নৈষ্কর্ম্য । ভগবান অর্জুনকে উপদেশ দিয়েছিলেন নৈষ্কর্ম্য অবলম্বন না করে কর্মফলের প্রতি নিরাসক্ত থেকে তাঁর কর্তব্যকর্ম পালন করার জন্য । মানুষ যখন তার কর্মফলের প্রত্যাশা করে, তখন সে কার্য - কারণে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। এভাবেই সে কর্মের ফলস্বরূপ সুখ অথবা দুঃখ ভোগ করে । কর্তব্যকর্মকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা -- বিধিবদ্ধ কর্ম, সঙ্কটকালীন কর্ম ও আকাঙ্ক্ষিত কর্ম । কোনও রকম ফলের প্রত্যাশা না করে শাস্ত্রের অনুশাসন অনুসারে বিধিবদ্ধ কর্তব্যকর্ম হচ্ছে সত্ত্বগুণের কর্ম । ফলের প্রত্যাশা করে যে কর্ম করা হয়, তা বন্ধনের কারণ হয়; আর তাই তা অশুভ । কর্তব্যকর্ম সকলকেই করতে হয়, কিন্তু কোন রকম ফলের প্রত্যাশা না করে নিরাসক্তভাবে সেই কর্ম করতে হয়; এই প্রকার ফলের আশাহীন কর্তব্যকর্ম নিঃসন্দেহে মুক্তির পথে চালিত করে । #ভগবান তাই অর্জুনকে উপদেশ দিয়েছিলেন, ফলাফলের প্রতি আসক্ত না হয়ে কেবল কর্তব্য পালনের উদ্দেশ্যেই যুদ্ধ করতে । তাঁর যুদ্ধে যোগ না দেওয়াও ছিল অন্য এক প্রকারের আসক্তি । এই প্রকার আসক্তি কাউকে মুক্তির পথে চালিত করে না । ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক, যে কোন প্রকার আসক্তিই বন্ধনের কারণ । কর্তব্যকর্ম থেকে নিষ্কর্মার মতো বিরত থাকা পাপ, তাই কর্তব্যবোধে যুদ্ধ করাই ছিল অর্জুনের পক্ষে মুক্তির একমাত্র মঙ্গলময় পথ । ✧════════•❁❀❁•════════✧ #দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৪৮ योगस्थः कुरु कर्माणि सङ्गं त्यक्त्वा धनञ्जय । सिद्ध्यसिद्ध्योः समो भूत्वा समत्वं योग उच्यते ।।२.४८।। যোগস্থঃ কুরু কর্মাণি সঙ্গং ত্যক্তা ধনঞ্জয় । সিদ্ধ্যাসিদ্ধ্যোং সমো ভূত্বা সমত্বং যোগ উচ্যতে ।।২.৪৮।। #অনুবাদ : - হে অর্জুন ! ফলভোগের কামনা পরিত্যাগ করে ভক্তিযোগস্থ হয়ে স্বধর্ম-বিহিত কর্ম আচরণ কর । কর্মের সিদ্ধি ও অসিদ্ধি সম্বন্ধে যে সমবুদ্ধি, তাকেই যোগ বলা হয় । #সারাংশ : - ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে যোগে যুক্ত হয়ে কর্ম করার নির্দেশ দিচ্ছেন । আর সেই যোগ বলতে কি বোঝায় ? যোগের অর্থ সর্বদা চিত্তচাঞ্চল্যকারী ইন্দ্রিয়সমূহ সংযম করে একাগ্রচিত্তে পরমেশ্বরের ধ্যান করা । পরমেশ্বর কে ? পরমেশ্বর স্বয়ং #ভগবান #শ্রীকৃষ্ণ । আর যেহেতু তিনি নিজেই অর্জুনকে যুদ্ধ করতে আদেশ করছেন, সুতরাং সেই যুদ্ধের ফলাফল নিয়েও অর্জুনের চিন্তা করার কিছু নেই । লাভ অথবা জয় হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছাধীন । অর্জুনের কর্তব্য কেবল শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ অনুসারে যুদ্ধ করা । শ্রীকৃষ্ণের আদেশ পালন করাই প্রকৃত যোগ এবং কৃষ্ণভাবনামৃত নামক পন্থার মাধ্যমে তা অনুশীলন করা হয় । কৃষ্ণভাবনামৃতের প্রভাবেই কেবল অহঙ্কারমুক্ত হওয়া সম্ভব । ভগবানের দাসত্ব বা ভগবানের দাসের দাসত্ব স্বীকার করতে হবে । সেটিই কৃষ্ণভাবনায় কর্তব্য পালনের যথার্থ পন্থা, যা একান্তভাবে যোগ সাধনের পরম সহায়ক । #অর্জুন ছিলেন ক্ষত্রিয় এবং তাই তিনি বর্ণাশ্রম ধর্মের আচরণ করছিলেন । বিষ্ণু পুরাণে বলা হয়েছে , বর্ণাশ্রম ধর্মের একমাত্র উদ্দেশ্য শ্রীবিষ্ণুকে তুষ্ট করা । জড় জগতের নিয়ম অনুসারে নিজের সন্তুষ্টিবিধানের জন্য প্রয়াস না করে কেবল শ্রীকৃষ্ণকেই সন্তুষ্ট করা উচিত । তাই শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট না করলে বর্ণাশ্রম ধর্মের আচার - অনুষ্ঠান সঠিকভাবে পালন করা হয় না । পরোক্ষভাবে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে তাঁর নির্দেশ অনুসারে কর্ম করার জন্যই পরামর্শ দিয়েছিলেন । ( প্রতিদিন শ্রীমদ্ভগবদগীতার ১ টি করে শ্লোক পড়তে এই পেজটির সাথে থাকুন ।) *─⊱✼ #হরে_কৃষ্ণ ✼⊰─* *•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼🌼🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••* #হরে_কৃষ্ণ_হরে_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_হরে_হরে ! #হরে_রাম_হরে_রাম_রাম_রাম_হরে_হরে । । 🙏🙏 #জয়_শ্রী_কৃষ্ণ 🙏🙏 🙏 #রাধে_রাধে 🙏 ∙──༅༎ Hare Krishna 🙏༎༅──
16 likes
9 shares
Dhoni
648 views 21 days ago
#শ্রীমত ভাগবত গীতা 🙏 #ভাগবত গীতা #💓জয় গীতা 🙏❤🕉 #হিন্দুদের আস্থা, হিন্দুদের গর্ব ❤️🌿 জয় গীতা 🙏❤️ #জয় শ্রী কৃষ্ণ 🌿 . 🕉️⚛️💗 #সনাতন_ধর্ম 💗⚛️🕉️⛳🚩 #জয়_শ্রী_কৃষ্ণ_challenge ⛳❤️🚩 #জয়_গীতা_challenge ⛳🌿🚩 আজ আশ্বিন শনিবার 27/09/2025 *•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼⚛️🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••* #শ্রীমদ্ভগবদগীতা #সাংখ্য_যোগ ( ৯১,৯২ ) #দ্বিতীয়_অধ্যায় : - ২ #শ্লোক : - ৪৫,৪৬ #গীতার_দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_নম্বর : - ৪৫,৪৬ 🌿🌿🌿 ওঁ তৎ সৎ🙏🏻🙏 #দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৪৫ त्रैगुण्यविषया वेदा निस्त्रैगुण्यो भवार्जुन । निर्द्वन्द्वो नित्यसत्त्वस्थो निर्योगक्षेम आत्मवान् ।।२.४५।। ত্রৈগুণ্যবিষয়া বেদা নিস্ত্রৈগুণ্যো ভবার্জুন । নির্দ্বনেন্দ্বা নিত্যসত্ত্বস্থো নির্যোগক্ষেম আত্মবান্ ।।২.৪৫।। #অনুবাদ : - বেদে প্রধানত জড়া প্রকৃতির তিনটি গুণ সম্বন্ধেই আলোচনা করা হয়েছে । হে অর্জুন ! তুমি সেই গুণগুলিকে অতিক্রম করে নির্গুণ স্তরে অধিষ্ঠিত হও । সমস্ত দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত হও এবং লাভ-ক্ষতি ও আত্মরক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে অধ্যাত্ম চেতনায় অধিষ্ঠিত হও । #সারাংশ : - জড় প্রকৃতির তিনটি গুণের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে জড় জগতের সমস্ত কার্যকলাপ সাধিত হয় । সেইগুলি মূলত সকাম কর্ম, যা জীবকে জড় জগতের বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে । বেদ সাধারণতঃ সকাম কর্ম করার শিক্ষা দান করে, যাতে সাধারণ মানুষ জড় সুখভোগ ও জড় ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তিসাধনের স্তর থেকে ক্রমশ চিন্ময় স্তরে উন্নীত হতে পারে । ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় সখা ও শিষ্যরূপে অর্জুনকে এখানে উপদেশ প্রদান করা হয়েছে বেদান্ত দর্শনের মর্ম উপলব্ধি করে পরা প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিত হতে । এই বেদান্ত দর্শনের শুরুই হয়েছে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা দিয়ে, অর্থাৎ পরব্রহ্মের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা বা অনুসন্ধান করা । জড় জগতে প্রতিটি জীবই বেঁচে থাকার জন্য কঠোর সংগ্রাম করছে । এই সমস্ত মায়াবদ্ধ জীবকে উদ্ধার করার জন্য ভগবান সৃষ্টির আদিতে বৈদিক জ্ঞান দান করেন, যাতে তারা বুঝতে পারে কিভাবে জীবনযাপন করলে তারা এই জড় বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারবে । বেদের কর্মকাণ্ড নামক অধ্যায়ে জাগতিক কামনা - বাসনার তৃপ্তিসাধনজনিত কার্যকলাপ শেষ হওয়ার পর উপনিষদের মাধ্যমে ভগবত্তত্ত্ব সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । বিভিন্ন উপনিষদ হচ্ছে বিভিন্ন বেদের মর্মার্থ, যেমন গীতোপনিষদ বা ভগবদ্গীতা হচ্ছে পঞ্চম বেদ মহাভারতের অংশ । এই উপনিষদগুলির মাধ্যমে মানুষের পারমার্থিক জীবন শুরু হয় । যতক্ষণ আমাদের জড় দেহ আছে, ততক্ষণ জড় গুণের প্রভাবে আমাদের কর্ম করতে হয় এবং তার ফল ভোগ করতে হয় । আমাদের সুখ, দুঃখ, শীত ও উষ্ণের দ্বন্দ্বভাব থেকে মুক্ত হয়ে সহনশীলতার শিক্ষা #অর্জন করতে হবে এবং তা করতে পারলে লাভক্ষতির উৎকণ্ঠা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে । #ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছার অধীনে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করে কৃষ্ণভাবনাময় হতে পারলে এই দিব্যস্তর লাভ করা যায় । ✧════════•❁❀❁•════════✧ #দ্বিতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৪৬ यावानर्थ उदपाने सर्वतः संप्लुतोदके ।। तावान्सर्वेषु वेदेषु ब्राह्मणस्य विजानतः ।।२.४६।। যবানর্থ উদপানে সর্বতঃ সংপ্লতোদকে । ভবান্ সর্বেষু বেদেষু ব্রাক্ষণস্য বিজানতঃ ।।২.৪৬।। #অনুবাদ : - ক্ষুদ্র জলাশয়ে যে সমস্ত প্রয়োজন সাধিত হয়, সেগুলি বৃহৎ জলাশয় থেকে আপনা হতেই সাধিত হয়ে যায়। তেমনই, ভগবানের উপাসনার মাধ্যমে যিনি পরব্রক্ষের জ্ঞান লাভ করে সব কিছুর উদ্দেশ্য উপলব্ধি করেছেন, তাঁরা কাছে সমস্ত বেদের উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে। #সারাংশ : - “হে ভগবান, নিরন্তর যিনি আপনার নামকীর্তন করেন, তিনি চণ্ডালের মতো নীচকুলে জন্মগ্রহণ করলেও অধ্যাত্মমার্গের অতি উচ্চস্তরে অধিষ্ঠিত । এই প্রকার মানুষ বৈদিক শাস্ত্রের নির্দেশ অনুসারে বহু তপশ্চর্যা করেছেন এবং সমস্ত পুণ্যতীর্থে বহুবার স্নান করে বহুবার বেদ অধ্যয়ন করেছেন । এমন মানুষকে আর্যকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলেই বিবেচনা করা হয় ।” সুতরাং, কেবল আচার - অনুষ্ঠান করে স্বর্গলোকে উন্নততর ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ করার প্রতি আসক্ত না হয়ে বেদের প্রকৃত উদ্দেশ্যটি বোঝবার চেষ্টা করা উচিত । বৈদিক শাস্ত্র নির্দেশিত বিভিন্ন যাগযজ্ঞের অনুষ্ঠান করা, সমস্ত বেদ, বেদান্ত ও উপনিষদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুশীলন করা এই যুগের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় । বেদের শিক্ষা অনুসারে সঠিকভাবে সব কিছু পালন করার জন্য যে সময়, শক্তি, জ্ঞান এবং ঐশ্বর্যের প্রয়োজন, তা এই যুগের মানুষের নেই । তাই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই কলিযুগের অধঃপতিত মানুষদের উদ্ধার করবার জন্য ভগবানের দিব্যনামের সংকীর্তন করার পথ প্রদর্শন করে গেছেন । মহাপণ্ডিত প্রকাশানন্দ সরস্বতী যখন শ্রী #চৈতন্য_মহাপ্রভুর কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি কেন বেদান্ত দর্শন পাঠ না করে ভাবুকের মতো ভগবানের নামকীর্তন করছেন, তখন তার উত্তরে শ্রীচৈতন্য #মহাপ্রভু বলেছিলেন যে, তাঁর গুরুদেব তাঁকে অত্যন্ত মূর্খ বিবেচনা করে পবিত্র কৃষ্ণনাম কীর্তন করার নির্দেশ দিয়েছেন; তা করতে করতে তিনি ভগবদ্ভক্তির ভাবে উন্মাদ হয়ে উঠেছেন । এই কলিযুগে অধিকাংশ মানুষই মূর্খ এবং বেদান্ত দর্শন বোঝার মতো ক্ষমতা তাদের নেই । ভগবানের দিব্যনাম নিরপরাধে কীর্তন করার মাধ্যমে বেদান্ত দর্শনের উদ্দেশ্য যথাযথভাবে সাধিত হয় । বৈদিক জ্ঞানের শেষ কথা হচ্ছে বেদান্ত । #ভগবান #শ্রীকৃষ্ণ এই বেদান্ত দর্শনের প্রবক্তা ও জ্ঞাতা; এবং যিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নামকীর্তন করে অসীম আনন্দ উপভোগ করেন, তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ বৈদান্তিক ৷ সেটিই অতীন্দ্ৰিয় বৈদিক জ্ঞানের চরম উদ্দেশ্য । ( প্রতিদিন শ্রীমদ্ভগবদগীতার ১ টি করে শ্লোক পড়তে এই পেজটির সাথে থাকুন ।) *─⊱✼ #হরে_কৃষ্ণ ✼⊰─* *•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼🌼🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••* #হরে_কৃষ্ণ_হরে_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_হরে_হরে ! #হরে_রাম_হরে_রাম_রাম_রাম_হরে_হরে । । 🙏🙏 #জয়_শ্রী_কৃষ্ণ 🙏🙏 🙏 #রাধে_রাধে 🙏 ∙──༅༎ Hare Krishna 🙏༎༅──
16 likes
11 shares