#শ্রীমত ভাগবত গীতা 🙏 #শ্রীমৎ ভাগবত গীতা #💓জয় গীতা 🙏❤🕉 #হিন্দুদের আস্থা, হিন্দুদের গর্ব ❤️🌿 জয় গীতা 🙏❤️ #জয় শ্রী কৃষ্ণ 🌿 . 🕉️⚛️💗 #সনাতন_ধর্ম 💗⚛️🕉️⛳🚩
#জয়_শ্রী_কৃষ্ণ_challenge ⛳❤️🚩
#জয়_গীতা_challenge ⛳🌿🚩
আজ ২৮ আশ্বিন বুধবার 15/10/2025
*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼⚛️🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••*
#শ্রীমদ্ভগবদগীতা
#কর্ম_যোগ ( ১২২,১২৩ )
#তৃতীয়_অধ্যায় : - ৩ #শ্লোক : - ৫,৬
#গীতার_তৃতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_নম্বর : - ৫,৬
🌿🌿🌿 ওঁ তৎ সৎ🙏🏻🙏
#তৃতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৫
न हि कश्चित् क्षणमपि जातु तिष्ठत्यकर्मकृत् ।
कार्यते ह्यवशः कर्म सर्वः प्रकृतिजैर्गुणैः ।।३.५।।
ন হি কশ্চিৎ ক্ষণমপি জাতু তিষ্ঠত্যকর্মকৃৎ ।
কার্যতে হ্যবশঃ কর্ম সর্বঃ প্রকৃতিজৈর্গুণৈঃ ।।৩.৫।।
#অনুবাদ : -
সকলেই মায়াজাত জড় বস্তুর গুণসমূহের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অসহায়ভাবে কর্ম করতে বাধ্য হয়; তাই কর্ম না করে কেউই ক্ষণকালও থাকতে পারে না ।
#সারাংশ : -
দেহগত জীবনেই কেবল নয়, কিন্তু সর্বদা সক্রিয় থাকাটাই আত্মার ধর্ম । আত্মার উপস্থিতি না থাকলে জড় দেহ চলাফেরা করতে পারে না । জড় দেহটি একটি অচল যান মাত্র, যেটি এক মুহূর্তও স্তব্ধ না হয়ে থাকা সর্বদা সক্রিয় আত্মার দ্বারা সচল থাকে । সেই জন্য আত্মাকে কৃষ্ণভাবনার মঙ্গলময় কর্মে নিয়োজিত করতে হয়, তা না হলে মায়ার নির্দেশে সে মোহাচ্ছন্ন হয়ে জড় - জাগতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে পড়বে । জড় প্রকৃতির সংস্পর্শে আসার ফলে আত্মা জড় গুণের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ে এবং এই জড় গুণের কলুষ থেকে আত্মাকে শুদ্ধ করার জন্য শাস্ত্রনির্ধারিত কর্মে নিয়োজিত করতে হয় । কিন্তু যদি আত্মাকে তার স্বভাবসিদ্ধ কৃষ্ণভাবনাময় কার্যকলাপে নিযুক্ত করা হয়, তখন সে যেটি করতে সমর্থ হয়, সেটিই তার পক্ষে মঙ্গলময় হয়ে ওঠে । এই প্রসঙ্গে "শ্রীমদ্ভাগবতে" বলা হয়েছে “যদি কেউ কৃষ্ণভাবনামৃত অবলম্বন করে এবং শাস্ত্রনির্ধারিত বিধিনিষেধগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণপূর্বক পালন নাও করে, এমনকি সে অধঃপতিত হলেও তার কোন ক্ষতি বা অমঙ্গল হয় না। কিন্তু সে যদি কৃষ্ণভাবনাময় না হয়ে পবিত্র হবার জন্য শাস্ত্রনির্ধারিত সমস্ত আচার - অনুষ্ঠান পালনও করে, তাতে তার কি লাভ ?” সুতরাং, কৃষ্ণভাবনামৃত লাভ করার জন্যই শুদ্ধিকরণের পন্থা গ্রহণ করা আবশ্যক । তাই সন্ন্যাস আশ্রমের অথবা যে কোন শুদ্ধিকরণের পন্থার একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে চরম লক্ষ্য কৃষ্ণভাবনামৃতের স্তরে পৌঁছাতে সাহায্য করা; তা না হলে সব কিছুই নিরর্থক বলে বিবেচিত হবে ।
✧════════•❁❀❁•════════✧
#তৃতীয়_অধ্যায় #শ্লোক_৬
कर्मेन्द्रियाणि संयम्य य आस्ते मनसा स्मरन् ।
इन्द्रियार्थान्विमूढात्मा मिथ्याचारः स उच्यते ।।३.६।।
কর্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন্ ।
ইন্দ্রিয়ার্থান্ বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ স উচ্যতে ।।৩.৬।।
#অনুবাদ : -
যে ব্যক্তি পঞ্চ-কর্মেন্দ্রিয় সংযত করেও মনে মনে শব্দ,রস আদি ইন্দ্রিয় বিষয়গুলি স্মরণ করে, সেই মূঢ় অবশ্যই নিজেকে বিভ্রান্ত করে এবং তাকে মিথ্যাচারী ভন্ড বলা হয়ে থাকে ।
#সারাংশ : -
অনেক মিথ্যাচারী আছে, যারা কৃষ্ণভাবনাময় সেবাকার্য সম্পাদন করতে অস্বীকার করে; কিন্তু ধ্যান করার ভান করে মনে মনে ইন্দ্রিয় তর্পণের চিন্তা করে। এই ধরনের ভণ্ডরা কিছু শুষ্ক দর্শনের কথাও বলতে পারে তাদের সংস্কৃতিপরায়ণ অনুগামীদের বিভ্রান্ত করার জন্য, কিন্তু এই শ্লোক অনুসারে তারা সবচেয়ে বড় প্রতারক । বর্ণাশ্রম ধর্মের আচরণ করেও মানুষ ইন্দ্রিয়সুখভোগ করতে পারে, কিন্তু বিধিনিষেধ অনুসারে মানুষ যখন বিশেষভাবে স্বধর্ম পালন করে, তখন ক্রমে ক্রমে তার সত্তা শুদ্ধ হয় । কিন্তু যে ব্যক্তি যোগী সেজে আসলে ইন্দ্রিয়ভোগের বিষয়বস্তুর সন্ধান করে, সে সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরের প্রতারক, যদিও মাঝে মাঝে সে তত্ত্বকথাও বলে থাকে । তার জ্ঞানের কোনই মূল্য নেই, কেননা ভগবানের মায়াশক্তি এই ধরনের পাপাচারী প্রতারকের সমস্ত জ্ঞান অপহরণ করে নেন । এই ধরনের প্রতারকের মন সর্বদাই অপবিত্র এবং তাই তার তথাকথিত লোকদেখানো ধ্যান নিরর্থক ।
( প্রতিদিন শ্রীমদ্ভগবদগীতার ১ টি করে শ্লোক পড়তে এই পেজটির সাথে থাকুন ।)
*─⊱✼ #হরে_কৃষ্ণ ✼⊰─*
*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏼🌼🙏🏼❈❀━┉┈•••••••••*
#হরে_কৃষ্ণ_হরে_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_কৃষ্ণ_হরে_হরে !
#হরে_রাম_হরে_রাম_রাম_রাম_হরে_হরে । ।
🙏🙏 #জয়_শ্রী_কৃষ্ণ 🙏🙏
🙏 #রাধে_রাধে 🙏
∙──༅༎ Hare Krishna 🙏༎༅──