ভক্তি
5K Posts • 4M views
Sandy
764 views 7 days ago
"যুদ্ধের দেবতা ও দেব সেনাপতি" 🙏‼️🙏‼️🙏‼️🙏‼️🙏 #"ওঁ কার্ত্তিকেয়ং মহাভাগং ময়ুরোপরিসংস্থিতম্। তপ্তকাঞ্চনবর্ণাভং শক্তিহস্তং বরপ্রদম্।। দ্বিভুজং শক্রহন্তারং নানালঙ্কারভূষিতম্। প্রসন্নবদনং দেবং কুমারং পুত্রদায়কম্।।"#[👉কার্ত্তিকদেব মহাভাগ,ময়ূরের উপর তিনি উপবিষ্ট।তপ্ত স্বর্ণের মতো উজ্জ্বল তাঁর বর্ণ। তাঁর দুটি হাতে শক্তি নামক অস্ত্র।তিনি নানা অংলকারে ভূষিত।তিনি শত্রু হত্যাকারী।প্রসন্ন হাস্যোজ্জ্বল তাঁর মুখ।] শিব ও পার্বতীর সেই সন্তান যার জন্ম হয়েছিল তারকাসুর বধের জন্য।দক্ষযজ্ঞে সতী তাঁর দেহত্যাগ করলেন এবং তারপর শিব অনন্ত তপস্যায় চলে গেলেন।এই সময়ে ত্রিলোকে তারকাসুর নামে এক অসুর ত্রাসের সৃষ্টি করলো।তারকাসুর বর পেয়েছিল যে একমাত্র শিব-দুর্গার পুত্রই তাঁকে বধ করতে পারবে,সতীর মৃত্যু ঘটেছে এবং শিব তপস্যারত তাই সে নিশ্চিত ছিল যে সে অবধ্য। এদিকে দেবতারা বিপদ বুঝে দেবী মহামায়াকে হিমালয়ের পুত্রী পার্বতীরূপে জন্মগ্রহণ করতে অনুরোধ করেন।দেবী পার্বতীর নিরন্তর তপস্যায় তুষ্ট হয়ে শিব পুত্রলাভের নিমিত্তে পার্বতীর কাছে অবতীর্ন হন এবং শিব-পার্বতীর বিবাহ হয়।কিন্তু শিবের মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই দেবতারা তাঁর দরবারে হাজির হলেন।শিব ও শক্তি রূপিনী পার্বতীর এই যুগ্ম তেজ এক তীব্র অগ্নিপিন্ডের সৃষ্টি করে।পার্বতী নিজে তা নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে শিবের মাধ্যমে অগ্নি-দেবকে দান করেন, কিন্তু স্বয়ং অগ্নিদেবও সেই তেজ সহ্য করতে পারেন না এবং অগ্নি-পিণ্ডটি গঙ্গা নদীতে ফেলে দেন।সেই ভীষণ তেজ গঙ্গার জলকে উত্তপ্ত করে এবং গঙ্গা তা এক বনের মধ্যে নিক্ষেপ করেন।সেই অগ্নি-পিণ্ডটি বনবাসিনী ৬ জন কৃত্তিকার গর্ভে ভাগ হয়ে যায় এবং ৬ টি মাথা বিশিষ্ট ষড়ানন কার্তিকের জন্ম হয়।বনের মধ্যে কৃত্তিকার দ্বারা পালিত হওয়ায় এই শিশুর নাম হয় "কার্তিক"।পরে পার্বতী অতি সুন্দর ও লাবণ্যময় কার্তিকের জন্ম সংবাদ পেয়ে তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসেন।বাল্য-বয়সেই তাঁর বীরত্বের জন্য তিনি দেব-সেনাপতি নিযুক্ত হন।এরপর ইন্দ্রদেবের ও দেব-সেনাগনের সাহায্যে তিনি তারকাসুরের সাথে মহাযুদ্ধে লিপ্ত হন এবং যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে তারকাসুরকে বধ করেন।★মৃত্যুমুখে তারকাসুর বর চেয়ে নেন সর্বদা কার্তিকের সঙ্গে থাকার,তাই যুদ্ধে যে দুটি রূপে তারকাসুর অবতীর্ণ হয়েছিলেন- তা ময়ুর এবং মোরগ রূপে,সেভাবেই ময়ুর-বাহন রূপে সর্বদা কার্তিকের সাথেই থেকে যান😳😳 এবং মোরগটি কার্তিকের তারকাসুর বধের চিহ্ন হিসেবে পতাকাতে থেকে যায়।★আসলে কি জানেন "নির্মম সত্য বলিও না"????...তাহলে তুমি খারাপ হইবে‼️‼️‼️আমরা অনেক কিছু জানি কিন্তু সত্যিই কিছু জানি না। অষ্টম শতকের ভাস্কর্য কার্তিকের বাহন আলস্য-বিহীন ময়ুর।অসাধারণ কর্মতৎপর এই পক্ষী খুবই সুন্দর দেখতে।ময়ূরের পায়ে একটি সাপ অর্থাৎ অহংবোধ ও কামনা বাসনা বলি দিয়ে তিনি যুদ্ধ করতে ব্যস্ত।ময়ূর অত্যন্ত সজাগ এবং কর্মচঞ্চল পাখী।সৈনিক কার্তিকের সব গুণ গুলি সে বহন করে।ময়ূর খুব সামান্যই নিদ্রা যায়।সর্বদা সতর্ক। আলস্যহীন।ময়ুরের স্বজন-প্রীতি লক্ষণীয়। সৈনিক পুরুষ ময়ূরের মতো অনলস, কর্মকুশল এবং লোকপ্রিয় হবেন তা বলাই বাহুল্য।তাছাড়া,ময়ূর মেঘ দেখলে যেমন আনন্দে পেখম তুলে নৃত্য করে,তেমনই ধীর ব্যক্তি শত বিপদেও উৎফুল্ল থাকবেন।সৌন্দর্য ও শৌর্য – কার্তিকেয়ের এই দুই বৈশিষ্ট্যই তাঁর বাহন ময়ূরের মধ্যে বিদ্যমান।এ কথা গুলি আমার,হয়তো সকলে না মানতেই পারেন। ★★★দেবতাদের রূপ আর জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে নানা পূরণ আর উৎস সমূহ নানা ভাবে উপস্থাপনার দ্বারা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে।আমি আগে এক পোষ্টে লিখেছিলাম ,কবি গুরু টিপ্পনী কেটেছেন এই নিয়ে।★★★ একটি উৎস অনুযায়ী শিবের অন্য রূপ রুদ্র অগ্নির সঙ্গে এক হওয়ার পরে মহাদেব সপ্তর্ষি-পত্নীদের রূপে কামমোহিত হয়ে পরেন।তাঁকে তুষ্ট করতে স্বাহা অরুন্ধতী ছাড়া বাকি ছয় সপ্তর্ষি-পত্নী যথা সম্ভূতি,অনসূয়া,ক্ষমা,সন্নতি, প্রীতি ও লজ্জা ছদ্মবেশে ছ’বার অগ্নির সঙ্গে মিলিত হন।এর ফলে ছ’মাথা,দ্বাদশ বাহু যুক্ত যে কুমারের জন্ম হয় তিনি কার্তিক।আবার অন্য মতে হর-পার্বতীর মিলনের ফলে সৃষ্ট তেজ-ধারা পার্বতীর গর্ভ অতিক্রম করে ছ’বার পৃথিবীতে পরে।পার্বতী সেই তেজঃপুঞ্জকে এক করলে ছ’মাথা ও দ্বাদশ হাতযুক্ত এক বিক্রম কুমারের জন্ম হয়।কৃত্তিকা নক্ষত্রে তাঁর জন্ম হয়েছিল এবং ছয় কৃত্তিকার দ্বারা তিনি পুত্র রূপে গৃহীত ও প্রতিপালিত হন বলে তাঁর নাম কার্তিকেয় বা কার্তিক।তাঁর আরো অনেক নাম আছে যেমন.....👉 গুহ,পাবকি,মহাসেন,ষন্মুখ,কুমার,কুমারেশ, গাঙ্গেয়,বিশাখ,মহাসেন,কুক্কুটধ্বজ, নৈগমেয়।যখন তিনি গঙ্গার পুত্র,তখন তিনি কুমার।পার্বতীর পুত্র হলে স্কন্ধ|কৃত্তিকা বা মহাদেবতনয় হলে কার্তিকেয়|অগ্নিপুত্র হলে তাঁর পরিচয় গুহা।★আসলে তাঁর পরিচয় জন্মে ও কর্মে।ব্রহ্মার বরে মহাবলী তারকাসুরের নিধনের জন্যই অমিত বিক্রম যোদ্ধা কার্তিকের জন্ম হয়েছিল।দৈববলে অজেয় শক্তি সম্পন্ন এই দেবশিশু কার্তিকেয় তারকাসুর নিধন করেছিলেন।আর এই তারকাসুর নিধন করে দেবকুলে কার্তিক হয়ে গেলেন দেব-সেনাপতি।তাই কার্তিকের পুজো হয় মহা সমারোহে।দেবতা রূপে কার্তিক একসময়ে সারাভারতীয় উপমহাদেশেই খুব জনপ্রিয় ছিলেন।ভারতীয় পুরাণগুলির মধ্যে স্কন্দ পুরাণে কার্তিকের বিষয়ে সবিস্তারে লেখা আছে।তাছাড়াও মহাভারতে এবং সঙ্গম তামিল সাহিত্যে কার্তিকের নানা বর্ণনা রয়েছে।ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে বারোটি হাত যুক্ত কার্তিকের একটি অভিনব মূর্তি রক্ষিত আছে।কার্তিক হিন্দুদের উর্বরতার দেবতা।কার্তিক পূজার মাধ্যমে দম্পতিরা সন্তান প্রার্থনা করে থাকেন৷★★★কথিত আছে দেবকী কার্তিকের ব্রত করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে পুত্ররূপে লাভ করেছিলেন ৷🙏জয় শ্রী কৃষ্ণ🙏কথায় বলে কার্তিকের মতো চেহারা অর্থাৎ কার্তিকের দেহ আকৃতি অত্যন্ত সুন্দর ও বলিষ্ঠ এই কারণে কার্তিক পূজার মাধ্যমে দম্পতিরা সুন্দর ও বলিষ্ঠ চেহারার সন্তান প্রার্থনা করে থাকেন৷কার্তিকের পূজা খালি সন্তান প্রাপ্তির পূজা নয়,এ সব পুরান কথার সাপেক্ষে তৈরী স্থানীয় লোকাচার মাত্র।কথিত আছে কার্তিক ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর পুত্রীদের বিবাহ করেন।ব্রহ্মা ও সাবিত্রীর মেয়ে দেবী ষষ্ঠী পুরাণ মতে কার্তিকের স্ত্রী,যিনি জন্ম ও জন্মসুত্রের দেবী।সেই কারণেই হয়তো বঙ্গদেশে সন্তানলাভের আশায় কার্তিক পূজা করা হয়।কার্তিক দেবতাদের সেনাপতি তিনি অসীম শক্তিধর দেবতা,এজন্য তাকে রক্ষা কর্তা হিসেবে পূজা করা হয়৷কার্তিক নম্র ও বিনয়ী স্বভাবের দেবতা৷কিন্তু সমাজের অন্যায় ও অবিচার নির্মূলে তিনি অবিচল যোদ্ধা৷ আমি বলি কি আসুন সকলে,আমরা কার্তিকের ন্যায় প্রতিষ্ঠার আদর্শ অনুসরণে নীতিবান হতে চেষ্টা করি৷তাঁকে অনুসরণ করে বিনয়ী মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারি এবং আদর্শ সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেও পারি৷আমাদের সকলকেই কার্তিকের মতন নম্র ও বিনয়ী হওয়া উচিত এবং অন্যায় অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত৷,এই ঔচিত্ব যেনো লোক দেখানো না হয়। হে মহাভাগ,দৈত্যদলনকারী কার্ত্তিক দেব তোমায় প্রণাম করি।🙏হে মহাবাহু,ময়ূর বাহন, তোমাকে নমস্কার।🙏হে রুদ্রের (শিব) পুত্র,শক্তি নামক অস্ত্র তোমার হাতে।তুমি বর প্রদান কর।🙏 🥀🙏🥀🙏🥀🙏🥀🙏🥀 #শুভ কার্তিক পূজা #🔴আজকের ভক্তি ভিডিও স্ট্যাটাস😀 #ভক্তি #শুভেচ্ছা #কার্তিক ঠাকুর/ কার্তিক পুজো 🙏🏹🏹
35 likes
19 comments